পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় ২১৫ বার রাসায়নিক হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস। তারা জানায়, ২০১১ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ২১৫টি রাসায়নিক হামলা চালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ।
দামেস্ক সংলগ্ন সর্বশেষ বিদ্রোহী ঘাঁটি পূর্ব ঘৌটা। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে শুক্রবার রাত থেকে গত শনিবার সকাল পর্যন্ত হামলায় পূর্ব ঘৌটার অন্তত ৭০ জনের নিহত হওয়ার খবর জানা যায়। আসাদ বাহিনীর বিষাক্ত সারিন রাসায়নিক গ্যাস হামলায় তারা নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হোয়াইট হেলমেট। সিরিয়া অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করেছে। তবে রবিবার এ ব্যাপারে সিরীয় সরকারকে হুঁশিয়ার করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এর জন্য বাশার আল আসাদ সরকারকে চড়া মূল্য দিতে হবে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি জানায় এর আগেই সিরিয়িায় ২১৪টি হামলা চালিয়েছিল আসাদ বাহিনী। এবারেরটি তাই ২১৫তম। এর মধ্যে ইদলিবে হামলা হয়েছে ৪৫টি, হামায় ২৯টি, আলেপ্পোতে ২৭টি, হোমসে সাটি, দারায় চারটি ও দেইর আল জরে তিনটি।
পূর্ব ঘৌটায় ২০১১ সালে প্রথম সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। গত এক মাসের লাগাতার হামলার পর সেখান থেকে পালানো শুরু করে বিদ্রোহীরা। ১৮ ফেব্রুয়ারি আক্রমণ শুরু করা আসাদ বাহিনী এলাকাটিতে বিদ্রোহীদের প্রতিরোধ প্রচেষ্টাকে তিন অংশে বিভক্ত করে দিতে পেরেছিল। তাদের হামলায় তখন প্রায় ১ হাজার ৬০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এরপর শুক্রবার সেখানে রাসায়নিক হামলার খবর পাওয়া যায়। সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।