পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান অভিযোগ করে বলেছেন, সিরিয়ার ভেতরে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর ক্ষেত্রে মদদ দিচ্ছে ফ্রান্স। সিরিয়ার কুর্দি ইস্যুতে যখন তুরস্ক এবং অন্য ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা বাড়ছে, তখন এরদোগান গত শনিবার নিজ সমর্থকদের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন। সিরিয়ার আফরিন এলাকায় কুর্দি গেরিলাদের বিরুদ্ধে তুরস্কের চলমান সামরিক অভিযানের বিষয়ে যেসব দেশ প্রকাশ্যে সমালোচনা করে থাকে ফ্রান্স হচ্ছে তার অন্যতম। গত ২৯ মার্চ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ভবন এলিসি প্রাসাদে কুর্দি-প্রভাবিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস বা এসডিএফ›র একটি প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন। বৈঠকে তিনি মার্কিন সমর্থিত কুর্দি গেরিলাদের মদদ দেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এরপর থেকে ফ্রান্স ও তুরস্কের সম্পর্কে টানাপড়েন মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। বৈঠক সম্পর্কে এরদোগান বলেছেন, ফ্রান্স, আপনি এলিসি প্রসাদে তাদের অতিথি হিসেবে গ্রহণ করে সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দিয়েছেন। আপনি এ ঘটনার কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারবেন না। যতক্ষণ পশ্চিমারা সন্ত্রাসীদের লালন করতে থাকবে ততক্ষণ সন্ত্রাসবাদের এই বোঝা থেকে আপনি নিজে মুক্তি পাবেন না। অপর এক খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনাদের শিগগিরই ফিরিয়ে নেয়ার কথা বললেও সেটা এখনই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ সেখানে জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর ঝুঁকি রয়েছেই। অন্যদিকে রাশিয়া, ইরান এবং তুরস্কের অবস্থানের কারণে সিরিয়ায় নতুন মেরুকরণ হচ্ছে। সব মিলিয়ে সিরিয়া নিয়ে জটিলতা বাড়ছে। এমন প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প চাইলেও সিরিয়া থেকে শিগগিরই মার্কিন সেনাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে কিনা, সেই প্রশ্ন এখন উঠছে। দেখা গেছে, গত সপ্তাহেই ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনাদের দ্রæত সরিয়ে আনার কথা বলেছিলেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি তার অবস্থান পাল্টিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রাম্প নিরাপত্তা পরিষদ এবং উপদেষ্টাদের সাথে যে বৈঠক করেছেন, সেখানে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-এর ঝুঁকির বিষয় আলোচনায় এসেছে। আর এই আলোচনায় উপদেষ্টারা আইএস এর ঝুঁকি সম্পর্কে ট্রাম্পকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন। সে কারণে তিনি অবস্থান থেকে সরে এসে সিরিয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য মার্কিন সেনাদের রাখতে রাজি হয়েছেন বলা হচ্ছে। সিরিয়ায় প্রায় দুই হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। পূর্ব সিরিয়ায় কুর্দিস এবং আরব মিলিশিয়াদের সম্মিলিত বাহিনী সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স নাম নিয়ে আইএস এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। তাদের সমর্থনে কাজ করছে মার্কিন সৈন্যরা। আনাদোলু, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।