পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720368074](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বলিষ্ঠ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে অনুক‚ল রাজনৈতিক রাজনৈতিক পরিবেশে নেপাল ও চীন তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় স্থাপন করতে চলেছে। নেপালের বাম-প্রধান সরকারকে চীন বান্ধব হিসেবে দেখা হচ্ছে, অন্যদিকে চীনে সাফল্যজনক ভাবে পুনর্বিাচিত ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে বিশে^র দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিকে এ শতকের মাঝামাঝি নাগাদ একটি অগ্রসরকৃত ও সমৃদ্ধশালী সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে মানব সমাজের জন্য অংশীদারিত্বমূলক ভবিষ্যতসহ সমাজ বিনির্মাণ’-এর ব্যাপক ভিত্তিক ধারণার আওতায় চীনের পররাষ্ট্র নীতিকে ন্যস্ত করা হয়েছে। দারিদ্র, অসমতা বিশ^ পর্যায়ে বিচ্ছিন্নতা অবসানের লক্ষ্যে দেশটি সাড়াজাগানো বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। একেবারে নিকট প্রতিবেশি হিসেবে নেপাল বেল্ট অ্যান্ড রোড (বিআরআই) উদ্যোগের মাধ্যমে বিনিয়োগ, সাহায্য, বাণিজ্য, অবকাঠামো উন্নয়ন ও কানেক্টিভিটি ক্ষেত্রে প্রাপ্ত সুযোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে।
নেপালের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারির প্রতি সম্প্রতি প্রেরিত অভিনন্দন বার্তায় চীােনর প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, তিনি চীন-নেপাল সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যাপক গুরুত্ব আরোপ করছেন এবং চলমান অর্জন ও বন্ধুত্ব আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দু’দেশের মধ্যে এক ব্যাপক ও স্থায়ী অংশীদারিত্বের উন্নয়নে আগ্রহী।
শি জোর দিয়ে বলেন, চীন ও নেপাল নিকট প্রতিবেশি এবং চীন সব সময় নেপালি জনগণের সামাজিক ব্যবস্থা ও উনয়নের পথ বিষয়ে তাদের স্বাধীন ইচ্ছাকে সম্মান করে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন যে, শি’র মেয়াদ কালে নেপাল-চীন সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে। প্রেসিডেন্ট পদে শি’র পুননির্বাচনে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, নেপাল ও চীনের মধ্যে আন্তরিক সম্পর্ক বিদ্যমান। নেপাল এক চীন নীতির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং তার ভ‚খন্ডকে কখনো চীনের বিরুদ্ধে তৎপরতা চালাতে ব্যবহার করতে দেবে না।
প্রেসিডেন্ট শি এ বছরের শেষে নেপাল সফর করতে পারেন বলে নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রদীপ জিয়ওয়ালি জানান। তিনি বলেন, নেপাল ভারত ও চীনের সাথে সম ও হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে শি ও নরেন্দ্র মোদি উভয়েরই সফরের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের অক্টোবরে শি’র নেপাল সফরের কথা থাকলেও লজিস্টিক্যাল কারণে তা আর অনুষ্ঠিত হয়নি।
২০১৭ সালে চীন ও নেপালের মধ্যে গুরুতপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক কর্মকান্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বছর মে মামে দু’দেশ শতাব্দীর প্রকল্প নামে বর্ণিত বিআরআই উদ্যোগ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এ চুক্তি নেপালকে তার বিনিয়োগ ও অবকাঠামো উন্নয়ন ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। চীন নেপালে বহুমুখী বিনিয়োগ করছে।
ভারতীয় অবরোধ ও ২০১৫ সালে ভ‚মিকম্প সঙ্কটে চীনের মানবিক সাহায্যের প্রেক্ষিতে চীনের প্রতি নেপালিদের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে উঠছে।
নেপালে বাম জোটের সরকা গঠনের পর বিআরআই বাস্তবায়নে পরিবেশ অনুক‚ল হয়েছে। নেপাল চীনের অর্থনৈতিক সাহায্যের সদ্ব্যবহার করতে পারে। চীন নেপালের ৮ হাজার পণ্যের উপর শুল্ক মওকুফ করলেও নেপাল সে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেনি। নেপাল ও চীন আন্তঃসীমান্ত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।