নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দেশের মাটিতে আলো ছড়িয়েছেন। এবার বিদেশের মাটিতেও ঝলক দেখাচ্ছেন সাবিনা খাতুন। ভারতীয় মহিলা ফুটবল লিগে একের পর এক গোল কর চলেছেন। আর নিজের দল সেতু এফসিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ভিসা জটিলতায় যার ভারত সফরই পড়ে গিয়েছিল অনিশ্চয়তায়, সেই সাবিনায় সওয়ার সেতু এফসি শীর্ষ দুইয়ে। গতকাল শিলংয়ের জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে তার জোড়া গোলের সুবাদে ইন্দিরা গান্ধী একাডেমিকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে তামিলনাড়ুর সিথু এফসি।
ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ফেসবুক পেজে বারবার রিপ্লে করে দেখানো হলো সাবিনা খাতুনের দ্বিতীয় গোলটি। বাংলাদেশ অধিনায়কের পা থেকে আসা এমন দুর্দান্ত গোল বারবার না দেখিয়ে উপায় আছে! ইন্দিরা গান্ধী একাডেমি বক্সের বাঁ প্রান্তে সাবিনার উদ্দেশে রক্ষণচেরা থ্রু ইন্দুমাথির। উইং দিয়ে দৌড়ে ভেতরে ঢুকে সাবিনার সে বলটি ওয়ান টাচের প্লেসিং শটে হাওয়ায় ভাসিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে পাঠাল জালে। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক কোমরে হাত দিয়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে। হয়তো ভাবছিল, এভাবেও গোল করা যায়!
দুর্দান্ত সেই গোলটির আগেও এক গোল করে দলকে এগিয়েও নিয়েছিলেন সাবিনাই। ৭৫ মিনিট পর্যন্তও ১-১ গোলে ড্রয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ম্যাচ। এরপরই সাবিনার ৬ মিনিটের ঝলক। গোলের খাতা খুলেছে ৭৬ মিনিটে। ডান প্রান্ত থেকে মনীষার ক্রস পেয়ে ব্যবধান ২-১ করে সাবিনা। এর পাঁচ মিনিট পরই সেই দুর্দান্ত গোল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভীষণ সাড়া ফেলেছে গোলটি।
ভারতে গিয়ে প্রথম ম্যাচে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিল সাবিনা। কিন্তু এরপর থেকে টানা চার ম্যাচে একাদশে সুযোগ পেয়ে প্রতিদিনই গোল করে প্রমাণ দিচ্ছে নিজের যোগ্যতার। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত তাঁর গোলসংখ্যা ৬। ইন্ডিয়ান উইমেন্স লিগে এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচে জোড়া গোল করল সাবিনা। আর সব মিলিয়ে টানা চার ম্যাচে গোল। এ চার ম্যাচেই জয় পেয়েছে তার দল। সাবিনা গোল করলেই যেন তার দল জেতে! পাঁচ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সেতু এফসি উঠে এসেছে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। ফাইনাল রাউন্ড শেষে শেষ চারে ওঠা দলগুলোর সেমিফাইনাল ম্যাচ হবে ১১ এপ্রিল। আর ফাইনাল হবে ১৪ মার্চ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।