ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রমনার বটমূল এবং শাহবাগের মোড়সহ সারাদেশে উন্মুক্ত স্থানে পহেলা বৈশাখ নববর্ষে অনুষ্ঠান চলবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। তবে রবীন্দ্র সরোবরে অনুষ্ঠান চলবে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান উন্মুক্ত স্থানে বিকাল ৫ টার মধ্যে শেষ করতে হবে।

মঙ্গলবার (০৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে আইন শৃঙ্খলা বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের একথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিকাল ৫টার মধ্যে উন্মুক্ত স্থানে পহেলা বৈশাখের সব অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। তবে রাজধানীর রবীন্দ্র সরোবরে বৈশাখের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত করা যাবে।

তিনি বলেন,নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিঘ্ন ঘটনার কোনও ধরনের আশঙ্কা নেই। তারপরও সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুখে মুখোশ পড়া যাবে না। তবে তা হাতে নিয়ে প্ল্যাকার্ড হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। আবার বাজানো যাবে না ভুভুজেলা । ইভটিজিং প্রতিরোধে সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দেবেন। মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করা হবে।

পহেলা বৈশাখের মূল অনুষ্ঠান রমনার বটমূলে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এদিন গোটা ঢাকা শহর ও বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজিত সব অনুষ্ঠানস্থল সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকবে।

বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,ডাক্তারদের দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় সরকার ব্যবস্থা নেবে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের পিঁপিঁ রথিশ চন্দ্র ভৌমিক ওরফে বাবু সোনার সন্ধানে সরকার তৎপর আছে।

এছাড়া উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান চলাকালে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল কাজ করবে।