পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে দেশবাসী ও প্রবাসী বাঙালিসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে এদিন আমাদের সবার জীবনে যাতে অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনে তার জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নতুন বছরের প্রথম দিনে আমরা অতীতের ব্যত্যয় এবং গøানি ভুলে জীবনের এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে আশায় বুক বাঁধি। দেনাপাওনা চুকিয়ে নতুন করে শুরু হয় জীবনের জয়গান। পহেলা বৈশাখ তাই যুগ যুগ ধরে বাঙালির মননে মানসে শুধু বিনোদনের উৎস নয়, বৈষয়িক বিষয়েরও আধার।
গতকাল শুক্রবার ‘বাংলা নববর্ষ ১৪২৫’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা প্রগতি এবং অগ্রগতির দিকে ধাবিত হচ্ছি। বাংলাদেশ এখন আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশ্বের ‘রোলমডেল’। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে।
এ স¦ীকৃতি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিগত বছরটি ছিল বাংলাদেশের জন্য প্রভূত সাফল্যময়।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পণ্যের ক্রয়বিক্রয়, হালখাতা উৎসব, নতুন পোশাক এবং মিষ্টান্নসহ হরেক রকমের খাবারের জমজমাট ব্যবসা, সব মিলিয়ে বাংলা নববর্ষ বিনোদনের পাশাপাশি আজ দেশের অর্থনীতিতে নতুনত্ব এনেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালির এই শাশ্বত সার্বজনীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য বাংলা নববর্ষ উৎসব ভাতা প্রবর্তন করা হয়েছে। বাংলা নববর্ষ এবং বাঙালির জাতীয়তাবাদ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। বাঙালি জাতি বর্ষবরণ উৎসবকে ধারণ করেছে তাদের জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলা নববর্ষের উন্মেষ মূলত গ্রামীণ জীবন ঘিরে। হালখাতা উৎসব এবং গ্রামীণ মেলা ছিল একসময় এর মূল আকর্ষণ। হালখাতা উৎসব কালক্রমে প্রবেশ করেছে নগর জীবনে। দেশের প্রতিটি শহরেই পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণ ঘিরে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়। রাজধানী ঢাকার ষাটের দশকের সংযোজন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’, আজ জাতিসংঘের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যমআয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের আগেই উন্নতসমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার আহŸান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসুন বাংলাদেশকে প্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত এবং সুখীসমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।