পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেছেন, ইনকিলাব বাণিজ্যিক মনোবৃত্তিতে নয়, দেশ জনগণের বিশ্বাস ও দর্শন লালনের লক্ষ্যে কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়েও তার নিজস্ব অবস্থান বজায় রেখে চলেছে। চলমান এ অবস্থান অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্টদের আরো মনোযোগী ও কঠোর পরিশ্রমী হওয়ার আহবান জানান তিনি। তিনি বলেন, ব্যুরো ও আঞ্চলিক অফিসের আওতাধীন জেলা ও উপজেলা সংবাদদাতাদের এ ব্যাপারে বিশেষ সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণ করবেন প্রতিষ্ঠানের আদর্শ ও নীতির প্রতি তারা অনুগত ও বিশ্বস্ত। বৈরী যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় এর বিকল্প নেই বলে তিনি উল্লেখ করে বলেন, দেশ-জাতির প্রতি কমিটেড হয়ে কাজ করার প্রত্যয় থাকলে কর্মরত প্রতিষ্ঠানের নিজের সর্বোচ্চ দেয়ার মধ্য দিয়েও যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়। সে জন্য জবাবদিহিতা ও শৃঙ্খলা জরুরি। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যুরো ও আঞ্চলিক অফিসের অধীনেই জেলা ও উপজেলা সংবাদদাতারা কাজ করবেন এবং নিজেদের অনন্য যোগ্যতা দেখাতে সক্ষম হবেন। গতকাল শনিবার দুপুরে দৈনিক ইনকিলাব-এর ব্যুরো ও আঞ্চলিক অফিস প্রধানদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইনকিলাব সম্পাদক বলেন, টিভি মিডিয়া আজ স্বার্থান্বেষী বলয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়ে নিরপেক্ষতা হারিয়েছে, অনলাইন নিউজ পোর্টাল গালগল্পের চটকদার দায়িত্বহীন সংবাদ প্রকাশ করে হারিয়েছে নির্ভরতা। সে কারণে প্রিন্ট মিডিয়া এখন সচেতন মহলের মুখপাত্র ও আমজনতার বিশ্বাস ও আস্থার নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। তিনি উপস্থিত ব্যুরো ও আঞ্চলিক প্রধানদের উদ্দেশে বলেন, সে কারণে কোয়ালিটি বৃদ্ধি ও মর্যাদা রক্ষায় সকলকে সচেষ্ট হতে হবে। তিনি বলেন সকলকে মনে রাখা দরকার দৈনিক ইনকিলাব অন্যায়ের সাথে আপোষ করে না। ইনকিলাব এ দেশ ও দেশের স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরী। আমাদের হাত-পা বাঁধা নেই। আমরা সময়ের কাজ সময়েই করে প্রমাণ করি আমরা দেশ-জাতির পক্ষের প্রকৃত শক্তি। সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও আস্থাহীন পরিবেশ উত্তরণে বিবেকবোধ সজাগ রেখে সামাজিক ভূমিকায় আত্মনিয়োগ করার জন্যও তাগিদ দেন ইনকিলাব সম্পাদক। তিনি বলেন, অতীতের মতো স্বচ্ছতা ও অনিয়ম দুর্নীতিমুক্ত থাকতে পারলে অভাবনীয় সাফল্যে ও মর্যাদায় অভিষিক্ত হবে ইনকিলাব সংশ্লিষ্টরা। দলীয় লেজুড়বৃত্তি করে দু’কলম লিখে ব্যক্তিস্বার্থ আদায় করা যায়, কিন্তু সার্বজনীন চরিত্র ও দায়িত্বশীল ফিগার হওয়া যায় না। সেই উপলব্ধি ইনকিলাব সংশ্লিষ্টদের মন-মেজাজ ও কর্মে থাকতে হবে। তিনি বলেন, সত্যের মৃত্যু নেই এটাই চিরন্তন। দৈনিক ইনকিলাব সংশ্লিষ্টরা শুরু থেকে আজ অবধি স্বমহিমায় ঠিকে রয়েছে এটা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। ইনকিলাব সম্পাদক বলেন, আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে আপনারা এখনই সজাগ দৃষ্টি রাখবেন। কেননা এই নির্বাচন জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন নিয়ে দৈনিক ইনকিলাব অতীতে যেমন সর্বজন বিশ্বাসযোগ্য তথ্য ও বিশ্লেষণ তুলে ধরেছে এবারও তার যেন কোনো ব্যত্যয় না ঘটে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ইনকিলাবের পরিচালক (প্রশাসন ও বাণিজ্য) মো: আবদুল কাদের, বার্তা সম্পাদক এ এস এম হাফিজুর রহমান, সহকারী সম্পাদক মুনশি আবদুল মান্নান, সহকারী সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, বিশেষ সংবাদদাতা ও ক্রীড়া সম্পাদক রেজাউর রহমান সোহাগ, বিশেষ সংবাদদাতা স্টালিন সরকার, চিফ রিপোর্টার রফিক মুহাম্মদ, মহাব্যবস্থাপক (হিসাব ও অর্থ) শেখ সিরাজুল ইসলাম, কালেকশন ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম তুহিন, উপ-অর্থ ব্যবস্থাপক মো: মঈনউদ্দিন ভূইয়া, প্রধান ফটোগ্রাফার ইকবাল হাসান নান্টু, আইটি প্রধান সৈয়দ এ রহমান গালিব, মফস্বল সম্পাদক আলম শামস। চিফ কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্ব পালন করেন মো: রবিউজ্জামান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশেষ সংবাদদাতা ও চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান শফিউল আলম, বিশেষ সংবাদদাতা ও যশোর ব্যুরো প্রধান মিজানুর রহমান তোতা, বিশেষ সংবাদদাতা ও রাজশাহী ব্যুরো প্রধান রেজাউর রহমান রাজু,
বিশেষ সংবাদদাতা ও নোয়াখালী ব্যুরো প্রধান আনোয়ার হক আনোয়ার, বিশেষ সংবাদদাতা ও বরিশাল ব্যুরো প্রধান মো: নাছিম উল আলম, বিশেষ সংবাদদাতা ও বগুড়া ব্যুরো প্রধান মহসিন আলী রাজু, বিশেষ সংবাদদাতা ও কক্সবাজার ব্যুরো প্রধান শামসুল হক শারেক, ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান মো: শামসুল আলম খান, খুলনা ব্যুরো প্রধান আবু হেনা মুক্তি, দিনাজপুর আঞ্চলিক অফিস প্রধান মো: মাহফুজুল হক আনার, সিলেট ব্যুরো প্রধান ফয়সাল আমীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।