বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের এক শীর্ঘ মাদক কারবারি ৫শ পিস ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ জেলাকারাগারে আটক রয়েছে। তাই উপজেলার গোলাকান্দাইল এলাকায় মাদক কারবারিদের আনাগোনা অনেকটা কমে গেছে। শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত একই এলাকার সাইফুল ইসলাম উপজেলার গোলাকান্দাইল এলাকার শরাফত আলীর ছেলে। সাইফুলের প্রভাবে মাদকে অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত পায় গোলাকান্দাইল এলাকা। হাত বাড়ালেই পাওয়া যেত ভয়ানক মাদক ইয়াবা। তাই স্থানীয় মাদকসেবী ও খুচরা বিক্রেতারা এক নামেই চিনতো মাদকের স¤্রাট খ্যাত সেই সাইফুলের নাম। রূপগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জানুয়ারী ২০১৮ইং সাইফুল ইসলাম নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ৫’শ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করে পুলিশ। ওইদিন রোববার বিকেলে উপজেলার গোলাকান্দাইল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নাসিরউদ্দিন জানান, মাদক কারবারি সাইফুল ইসলাম উপজেলার একজন শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী। ইয়াবা ব্যবসার বদৌলতে সাইফুল ইসলাম আলিশান বাড়ি, গাড়িসহ অটেল সম্পদের মালিক বনে গেছে বলেই জানে এলাকার লোকজন। তার প্রভাবশালী আতœীয় স্বজন রয়েছে। তাই তার বিরুদ্ধে কথা বললেই মাদক মামলায় ফাঁসানো ভয়ভীতি দেখায়। এছাড়াও একাধিকবার ভুলতা ফাঁড়ি পুলিশের হাতে মাদকসহ আটক হলে ওই প্রভাবে অবৈধ লেনদেন করে বেরিয়ে যায়। গোলাকান্দাইল এলাকার বাসিন্দা জাইদুল হক্ব স্বপন জানান, তার রড সিমেন্ট ব্যবসার আড়ালে বহুদিন যাবৎ এ এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তার রয়েছে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১৫ জনের সিন্ডিকেটের এক দল সেলসম্যান। তাদের মধ্যে রয়েছে প্রধান মাদক কারবারি একই এলাকার মিলন মিয়ার ছেলে মাসুম বিল্লাহ । সূত্র জানায়, তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। এছাড়াও নান্নু সরকারের ছেলে রুবেল, ইয়াকুব মিয়ার ছেলে লুৎফর ও মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল্লার মাধ্যমে আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছিল মাদক।
তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। আটককৃতকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাকে জেলে আটক রাখে। এখন আর আগের মত মাদক কারবারের অভিযোগ নেই বললেই চলে। কিন্তু সাইফুলের সহযোগী মাছুম বিল্লাহ ও তার সিন্ডিকেট সদস্যরা পুনরায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এতে সঙ্কিত হয় স্থানীয় জনগণ। প্রশাসন ও উপর মহলের কাছে দফায় দফায় স্মারক লিপি দিয়েও উক্ত মাদক কারবারি ছাড়া পাওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন তারা। অভিযোগ রয়েছে এখনো আশপাশের গ্রামে জেলে বসেই একই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চালাচ্ছেন তার মাদক সাম্রাজ্য। আর সাইফুলের নির্দেশনা এখনো তৎপর মাছুম বিল্লাহসহ শক্তিশালী ওই সিন্ডিকেট। এ বিষয়ে গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুঞ্জুর হোসেন বলেন, সাইফুল আটকের পর থেকে ওই এলাকায় কোন প্রকার মাদকের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে সম্প্রতি তার কিছু সহযোগী সরব হয়ে ওঠেছে। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী যাহাতে পুনরায় মাদক বিস্তার করতে না পারে এ বিষয়ে প্রশাসন সজাগ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।