বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অব্যাহত ধর্ষণের ধারাবাহিকতায় এবার প্রকাশ্য দিনের বেলায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক মাদরাসা ছাত্রী। রাস্তা থেকে অপহরণ করে পঞ্চদশী এই মাদরাসা ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে কামরুল নামে ৩০ বছর বয়সী এক ইলেক্ট্রিশিয়ান। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মনোহরদী উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। ধর্ষক কামরুল একই গ্রামের সুরুজ মিয়ার পুত্র। গত ৯ বছরে নরসিংদীতে সহশ্রাধিক ধর্ষণ ঘটনার পর এ বছরের ৩ মাসেই নরসিংদীতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে কমবেশী ২৫ জন নারী ও শিশু। ধর্ষকদের হাত থেকে ২ থেকে ৫ বছরের শিশু রেহাই পাচ্ছে না।
ধর্ষিতার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, একই গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর কন্যা মাদরাসা ছাত্রী পঞ্চদশী স্থানীয় একটি দাখিল মাদরাসা থেকে এ বছর দাখিল পরীক্ষা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্ষিতা পঞ্চদশী বাড়ী থেকে বের হয়ে তার পার্শবতী এক চাচার বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। কিছুদূর যাবার পর পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা ধর্ষক কামরুল তার গতিরোধ করে। একপর্যায়ে সে পঞ্চদশীর মুখ চেপে ধরে তাকে জোরপূর্বক টেনে হেঁচড়ে পার্শবতী দেওয়ান আলীর একটি নির্জন পরিত্যক্ত বাড়ীতে নিয়ে যায়। সেখানে তার হাত-পা বেধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষিতা পঞ্চদশীর চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন দৌড়ে পরিত্যক্ত বাড়ীতে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাড়ীতে নিয়ে যায়। পরে এই ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে চেয়ারম্যান তাদেরকে থানায় মামলা করার পরামর্শ দেন। বৃহস্পতিবার রাতেই তাকে মনোহরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফখরুদ্দিন ভুইয়া সাংবাদিকদের নিকট ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।