চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
প্রশ্ন : এক লোক একা একা ফরয নামায পড়ছিলো; এমন সময় ঐ নামাযেরই জামাআত কায়েম হলো; তখন তাকে কী করতে হবে?
উত্তর : ফজর এবং মাগরিব নামাযে দ্বিতীয় রাকাতের সিজদাহ না করে থাকলে নামায ছেড়ে দিয়ে জামাআতে এসে শামিল হবে। আর দ্বিতীয় রাকাতের সিজদাহ করে ফেলে থাকলে ঐ নামাযই পূর্ণ করবে। আর যোহর-আসর-এশার নামাযে দ্বিতীয় রাকাতের সিজদাহ না করে থাকলে নামায ছেড়ে দিয়ে জামাআতে এসে শামিল হবে। আর যদি দ্বিতীয় রাকাতের সিজদাহ করে ফেলে থাকে তাহলে মধ্যবর্তী বৈঠক করে সালাম ফিরিয়ে ফেলবে এবং জামাআতে এসে শামিল হবে। যাতে ঐ দুই রাকাত নফল হিসাবে গণ্য হয়। আর যদি যোহর-আসর ও এশার তিন রাকাতের সময় জামাআত কায়েম হয় এবং সে তৃতীয় রাকাতের সিজদাহ না করে থাকে তাহলে নামায ছেড়ে দিয়ে জামাআতে শামিল হবে। আর তৃতীয় রাকাতের সিজদাহ করে ফেলে থাকলে নিজের নামাযই পূর্ণ করবে। এরপর জামাআতের সাথে নামায পড়লে নফলের সওয়াব পাবে। তবে আসর-মাগরিব এবং ফজরের নামাযের ক্ষেত্রে নিজের নামায শেষ করার পর আবার জামাআতে শামিল হওয়া ঠিক হবে না। কারণ আসর এবং ফজরের পর নফল নামায নেই। আর মাগরিব নামাযের পর এইজন্যে পড়া যাবে না যে, মাগরিব নামায তিন রাকাত। আর তিন রাকাত বিশিষ্ট কোন নফল হয় না।
প্রশ্ন : চার রাকাত বিশিষ্ট সুন্নতের দুই রাকাতে শেষ করার কারণে কয় রাকাত কাযা করবে, দুই না চার?
উত্তর : চার রাকাত কাযা করবে। আর ঐ দুই রাকাত নফল হিসাবে গণ্য হবে।
প্রশ্ন : ফরয নামাযের জামাআত হওয়ার সময় কেউ মসজিদে এসেছে। সে জামাআত-পূর্ব সুন্নত কখন আদায় করবে?
উত্তর : ফজরের নামাযের জামাআত হলে এবং শেষ বৈঠক পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে জামাআতের ভিতরই সুন্নত পড়তে হবে। আর শেষ বৈঠক পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে বাধ্য হয়ে জামাআতে শামিল হতে হবে। যোহর বা জুমআর সুন্নত হলে জামাআতের ভিতর সুন্নত নামায শুরুই করা যাবে না।
-মুফতী ওয়ালীয়ুর রহমান খান
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।