Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমার জেনারেলের বক্তব্যে স্তম্ভিত জাতিসংঘ প্রধান

| প্রকাশের সময় : ২৮ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের বক্তব্যে জাতিসংঘসহ পুরো বিশ্ব স্তম্ভিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেস। জাতিসংঘ প্রধানের মুখপাত্র ফারহান হক এক বিবৃতিতে এ কথা জানান। দেশটির উত্তরাঞ্চলের কাচিন প্রদেশে এক জনসভায় সেনাপ্রধান জেনারেল ইউমিন বলেন, ‘রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক নয়। তারা মিয়ানমারের কোন সংস্কৃতি লালন করে না, তারা বাংলাদেশি’। তার এই বক্তব্যের জের ধরেই জাতিসংঘ প্রধান প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। বিবৃতিতে জাতিসংঘ প্রধানের মুখপাত্র জানান, মিয়ানমারের ঐক্য ধরে রাখতে সব পক্ষকে একটি একক পদক্ষেপ নেওয়ার আহŸান জানান। এজন্য মিয়ানমারের নেতাদের তিনি বলেন, রাখাইন উপদেষ্টা কমিশনের সুপারিশ মেনে দেশটিতে সব ধরনের বৈষম্য দূর করতে হবে। আর এরজন্য মিয়ানমারে প্রকৃত নেতৃত্ব জরুরি হয়ে পড়েছে।
এদিকে মিয়ানমারে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার মূল কারণের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন মিয়ানমার নেতৃত্বকে সব নাগরিককে নিরাপত্তা দিতে হবে। এ ছাড়া মিয়ানমারের নেতৃত্বকে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার জন্য উদ্যোগ নিতে পরামর্শ দেন তিনি। সূত্র : তাস।
চীনা প্রকল্পের মূল্য মালদ্বীপের জিডিপি’র ৪০%-এর বেশি
ইনকিলাব ডেস্ক : মালদ্বীপে চীনের তিনটি বড় প্রকল্পের আর্থিক মূল্যমান দ্বীপ রাষ্ট্রটির জিডিপি’র ৪০%-এর বেশি। নতুন এক বিশ্লেষণে এ তথ্য পাওয়া গেছে। মালদ্বীপ ঋণ পরিশোধ সমস্যা পড়তে পারে বলে হুশিয়ারির মধ্যে এই তথ্য প্রকাশ পেলো।
ভারতের মুম্বাইভিত্তিক থিংক ট্যাংক গেটওয়ে হাউজ জানায়, মালদ্বীপে ২০১২ সাল থেকে চীনের বিনিয়োগ ও সহায়তা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে চীনারা আবাসন প্রকল্প, বিদ্যুৎকেন্দ্র, সেতু, বর্জ্য শোধন প্লান্ট, হোটেল, এয়ারলাইন্সহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেছে।
গবেষণায় বলা হয়, তিনটি বড় চীনা প্রকল্পের আর্থিক মূল্য একত্রে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ‘এতে নিশ্চিতভাবে ঋণ পরিশোধ সমস্যা তৈরি হবে। শ্রীলংকার মতো আরেকটি দেশ চীনের ঋণ ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে।’
গবেষণায় বলা হয়, মালদ্বীপের পর্যটন শিল্প ব্যাপকভাবে চীনের ওপর নির্ভরশীল। প্রতিবছর বৃহৎ এশিয় দেশটি থেকে প্রচুর সংখ্যায় পর্যটকের আগমন ঘটে। ‘এসব পর্যটক যে বিমানবন্দরে এসে নামেন সেটিও উন্নয়ন করেছে চীনা কোম্পানি। তাদেরকে যেসব সীপ্লেন বিভিন্ন আইল্যান্ড রিসর্টে নিয়ে যায় সেগুলোও চীনারা পরিচালনা করে।’
এতে আরো বলা হয় যে মালদ্বীপের রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে। আর তা হলো বড় আকারের চীনা বিনিয়োগ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করতে পারে।
বিশ্লেষণে ভারতকে হুশিয়ার করে দিয়ে বলা হয় যে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে চীনা বিনিয়োগ ভারতের ভূ-রাজনীতিকে আমূল বদলে দিতে পারে। গত মাসে মালদ্বীপ সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশকে কেন্দ্র করে দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট দেখা দেয়। যার জেরে সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
এর পর কয়েক সপ্তাহ ধরে সেখানে অশান্ত অবস্থা বিরাজ করছে। প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিন তার সরকার উৎখাতের জন্য ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আনেন বিরোধীদের বিরুদ্ধে। গণ গ্রেফতার চলে। ২০টি সাংবিধানিক অধিকার স্থগিত এবং সারা দেশে মিডিয়া ও সরকার বিরোধী সভা-সমাবেশের ওপর দমন অভিযান চালানো হয়। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ