মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তৈরি করা একটি সমাধান প্রস্তাবের খসড়া প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার। দেশটির দাবি, প্রস্তাবের কয়েকটি অনুচ্ছেদ অনধিকার প্রবেশমূলক এবং তা সরাসরি মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করে। গতকাল রোববার মিয়ানমার নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া খবরটি জানিয়েছে। মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে স¤প্রতি একটি সমাধান প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। মিয়ানমার নিউজ এজেন্সিকে উদ্ধৃত করে সিনহুয়া জানায়, শুক্রবার জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কাউন্সিল (ইউএনএইচআরসি)-এর ৩৭তম নিয়মিত অধিবেশনে এ সমাধান প্রস্তাব কার্যকরের ব্যাপারে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু প্রস্তাবটি কার্যকরে ব্যবস্থা গ্রহণের আগেই তা প্রত্যাখ্যান করে জাতিসংঘে নিয়োজিত মিয়ানমারের স্থায়ী প্রতিনিধি উ থিন লিন একটি বিবৃতি দেন। তার দাবি, এ প্রস্তাবের কয়েকটি অনুচ্ছেদ সরাসরি মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করছে। বিবৃতিতে সতর্ক করে বলা হয়, মিয়ানমার রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বে অনধিকার প্রবেশের কোনও প্রচেষ্টা সরকার গ্রাহ্য করবে না। জাতীয় সমন্বয়সাধন, শান্তি প্রতিষ্ঠা, উন্নয়ন ও মানবাধিকার বিষয়ক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সহায়তা করতে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় যদি গঠনমূলক প্রক্রিয়া নিয়ে এগিয়ে আসে তবে মিয়ানমার তাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। এদিকে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমার কিভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে জাপানের পররাষ্ট্র দফতরের সংসদীয় সহকারী মন্ত্রী আইওয়াও হোরি রাখাইন পরিদর্শন করেছেন। জাপানি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে’র প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শনিবার পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইনের একটি এলাকায় নির্মিতব্য অস্থায়ী ক্যাম্প পরিদর্শন করেন তিনি। গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে এসেছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় ৭ লাখ মানুষ। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পন্ন হলেও তা কার্যকরের বিষয়টি এখনও প্রক্রিয়াধীন। এখন পর্যন্ত কেবল ৩৮৮ জনকে ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া চালু রাখার কথা জানিয়েছে মিয়ানমার। সিনহুয়া,এনএইচকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।