মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত পর্যন্ত লাখ লাখ মাইলজুড়ে গতকাল বন্দুকবিরোধী প্রতিবাদ কর্মসূচিত যোগ দেয় দেশটির স্কুল-শিক্ষার্থীরা। বন্দুক-সহিংসতা ও বন্দুক-লবির বিরুদ্ধে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ এ প্রতিবাদ সমাবেশে প্রতিটি স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা দলে দলে রাস্তায় নেমে আসে।
লাখ লাখ নয়, সব মিলিয়ে কোটি ছাত্রছাত্রী বন্দুক-ব্যবসা ও বন্দুক লবির বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণা প্রকাশে বিভিন্ন ¯েøাগান দেয় এবং প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন ব্যবহার করে। সরকারকে কঠোর বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন করতে বাধ্য করাই তাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য।
পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, দেশজুড়ে স্মরণকালর সর্ববৃহৎ এই প্রতিবাদ সমাবেশের উদ্যোক্তা কিশোর-তরুণ বয়সী ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই। তারা নিজেরাই নিজেদের প্রেরণা। যুক্তরাষ্ট্রের এক উপকূল থেকে অন্য উপকূল পর্যন্ত সবখানে রাস্তাঘাট দখলে নেয় প্রতিবাদকারী এই কিশোর-তরুণরা। ওদের মূল সমাবেশটি হয় রাজধানী ওয়াশিংটনে। তাও আবার ক্যাপিটল হিলের খুব কাছে। যাকে বলে ঢিল ছোড়া দূরত্বে।
আয়োজকরা প্রতিবাদ সমাবেশটির নাম দেয় ‘মার্চ ফর আওয়ার লাইভস’ (‘আমাদের জীবনের জন্য পদযাত্রা’)। ফ্লোরিডার মারজোরি স্টোনম্যান ডগলাস হাইস্কুলে ১৪ ফেব্রæযারির মর্মান্তিক বন্দুক সহিংসতাই গোটা মার্কিন মুল্লুকের সব তরুণ-তরুণীকে বন্দুক লবি ও হীন বন্দুক ব্যবসার বিরুদ্ধে একাট্টা করেছে। ওই স্কুলেরই ১৯ বছর বয়সী সাবেক এক ছাত্রের গুলিতে মোট ১৭ জনের মৃত্যু হয়।
ছাত্রছাত্রীরা চাইছে, কঠোর আইন করে অ্যাসল্ট রাইফেলের মতো প্রাণঘাতী মারাত্মক অস্ত্র নিষিদ্ধ করা হোক। আইন প্রণেতাদের কাছে তাদের এই জোরালো দাবি। কিন্তু বন্দুক লবির কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে সিনেটর-কংগ্রেসম্যানরা নীরব হয়ে আছেন। চোখে ঠুলি পরে আছেন যেন তারা। যেন কিছুই দেখতে পারছেন না তারা। ঘুষের (ভদ্রভাষায় লবির টাকা) টাকা তাদের আন্ধা করে দিয়েছে। খিল মেরে দিয়েছে বিবেকের ঘরে।
তাই ছাত্রছাত্রীরা আইনপ্রণেতাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ‘হয় আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন, না থাকলে বুঝবো আছেন বন্দুকবাজদের পক্ষে’।
যুক্তরাজ্যজুড়ে ৮০০টিরও বেশি বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও কিছু দেশে কর্মসূচি পালিত হয়েছে সংহতি জানিয়ে।
বন্দুকবাজি ও বন্দুক লবির বিরুদ্ধে ২০০০ সালে অনুষ্ঠিত মায়েদের প্রতিবাদ সমাবেশ ‘মিলিয়ন মম মার্চ’-এর পর এতোবড় প্রতিবাদ সমাবেশ যুক্তরাষ্ট্রে আর হয়নি। অর্থাৎ মায়েদের পর আক্ষরিক অর্থেই এবার মাঠে নেমেছে তাদের সন্তানরা। সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।