মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অতীতের ধারাবাহিকতায় বিগত ৫ বছরেও অস্ত্র রফতানিতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি অতীতের থেকে রফতানির পরিমাণ বাড়িয়েছে তারা। ২০১৩-২০১৭ মেয়াদে বিশ্বব্যাপী মোট রফতানিকৃত অস্ত্রের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি যুক্তরাষ্ট্রের। আর পূর্ববর্তী মেয়াদের তুলনায় তাদের অস্ত্র রফতানি বৃদ্ধির পরিমাণ ২৫ শতাংশ। অস্ত্র বিক্রির পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিগত ওবামা প্রশাসনের ধারাবাহিকতায় অস্ত্র রফতানিকে আরও গতিশীল করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরিবর্তন এসেছেন বেচাবিক্রির ধরনেও। সবমিলে অস্ত্র রফতানিতে তাদেরকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো কেউ নেই আপাতত। ভবিষ্যতেও যুক্তরাষ্ট্র বহুদিন রফতানিতে এই অপ্রতিরোধ্য অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হবে বলে আভাস দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। সংঘাত ও সশস্ত্রীকরণ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট (এসআইপিআরই) এর সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বে রফতানিকৃত অস্ত্রের ৩৪ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রের। ওই প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র প্রস্তুতকারক করপোরেশনগুলোও বিপুল অর্থ আয় করছে। পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট এর তালিকায় ২০১৬ সালে শীর্ষ অস্ত্র বিক্রেতা কোম্পানির স্থানটি অর্জন করেছে স্টকস ফর লকহিড মার্টিন। ২০১৩ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটির অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ ক্রমাগত বেড়েছে। পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট-এর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্টকস ফর বোয়িং কোম্পানিটি। ২০১৩ সাল থেকে এ কোম্পানিরও অস্ত্র বিক্রি বেড়েছে। বিশ্বব্যাপী মার্কিন নিরাপত্তা সহযোগিতা বিশ্লেষণে নিয়োজিত সংগঠন সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসির ‘সিকিউরিটি অ্যাসিসটেন্স মনিটর’ শীর্ষক কর্মসূচির পরিসংখ্যান বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়াদের প্রথম বছরে ৫৭০ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র বিক্রি হয়েছে। এ হার ২০১৬ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার ক্ষমতার শেষ বছরে যে পরিমাণ অস্ত্র বিক্রি করেছেন তার চেয়েও বেশি। দুই প্রশাসনের মেয়াদেই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বিক্রির মধ্য দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র রফতানিকারক দেশ হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্য সিকিউরিটি অ্যাসিসটেন্স মনিটরের প্রতিবেদনে ওবামা ও ট্রাম্পের শাসনামলে অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাবের ক্ষেত্রে আরেকটি পার্থক্য দেখা গেছে। তারা বিদেশি সরকারের কাছে যে ধরনের সরঞ্জাম বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিলেন তা আলাদা। ওবামার শাসনামলে সামরিক বিমান বিক্রিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। আর ট্রাম্পের শাসনের প্রথম বছরে ক্ষেপণাস্ত্র আর বোমা বিক্রি প্রাধান্য পেয়েছে। আর্মস অ্যান্ড মিলিটারি এক্সপেন্ডিচার প্রোগ্রামের পরিচালক ড. অডে ফ্লিউর্যান্ট বলেছেন, ‘ওবামার আগে যেসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সেগুলো থেকে দেখা যায়, ১৯৯০ সালের পর ২০১৩-২০১৭ মেয়াদেই যুক্তরাষ্ট্রর অস্ত্র রফতানি ছিল সবচেয়ে বেশি। এইসব চুক্তি এবং ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত হওয়া আরও কিছু বড় অস্ত্র চুক্তির কারণে যুক্তরাষ্ট্র সামনের বছরগুলোতেও অস্ত্র রফতানিকারক হিসেবে এগিয়ে থাকবে। ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।