পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সরকারের সঙ্গে সম্পাদিত একটি চুক্তির আওতায় সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্ন ঘৌতার একটি শহর পরিবারসহ ছাড়তে শুরু করেছে সেখানকার বিদ্রোহীরা। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে এখনও পর্যন্ত ৮৮ বিদ্রোহী ও ৪৫৯ বেসামরিক নাগরিক হারাস্তা ছেড়েছে। আশরার আল-শাম নামে একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দেড় হাজার যোদ্ধা ও ৬ হাজার বেসামরিক নাগরিককে হারাস্তা থেকে বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি ইদলিবে নেয়া হবে। ঘৌতার এ অঞ্চলে মাসখানেক আগে সরকারপন্থি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর এটিই প্রথম উদ্বাসন চুক্তি যাতে দু’পক্ষ সম্মত হতে পেরেছে। পর্যবেক্ষণকারী একটি সংস্থার হিসাবে অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত দেড় হাজার বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া পায়ে হেঁটে অবরুদ্ধ এলাকা থেকে ছেড়েছেন ৫০ হাজার মানুষ। সিরিয়া সরকারের মিত্র রাশিয়ার মধ্যস্থতায় এ উদ্বাসন চুক্তি সম্ভব হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে বন্দী বিনিময়ের মধ্যে দিয়ে চুক্তি কার্যকর হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টিভিতে বলা হয়েছে বিদ্রোহীদের হাতে বন্দী ১৩ জন মুক্ত হয়েছেন। এ ১৩ জনের একজনের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে ওই টেলিভিশন চ্যানেলে। সেখানে তিনি নিজের মুক্তদশার জন্য আল্লাহ ও সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সানা নিউজ এজেন্সির খবর অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টা পর্যন্ত বাসে করে ৫৪৭ জন হারাস্তা ছেড়েছেন। আগে হারাস্তা নিয়ন্ত্রণ করে আসা আহরার আল-শাম নামে একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইদলিব অভিমুখে তাদের নিরাপদ পথের বিনিময়ে হারাস্তায় অস্ত্র ফেলে যেতে রাজি হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে একই ধরনের চুক্তি সম্পাদনের ভাবনা চলছে। বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারের চুক্তিটি হয়েছে সিরিয়ার মিত্র রাশিয়ার উদ্যোগে। বৃহস্পতিবার সকালে বন্দি বিনিময় দিয়ে চুক্তিটির বাস্তবায়ন শুরু হয়। রাষ্ট্রীয় টিভির খবরে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীদের হাতে বন্দি ১৩ জন মুক্তি পেয়েছে। এভাবে দু’পক্ষে বন্দি বিনিময় হয়েছে মোট ১৮ জন। চুক্তির আওতায় নিরাপদে গৌতা ছেড়ে যাওয়ার বিনিময়ে হারাসতায় অস্ত্রসমর্পণে রাজি হয়েছে শহরটির নিয়ন্ত্রণে থাকা বিদ্রোহী গোষ্ঠী আহরার আল-শাম। তাছাড়া, এ চুক্তির ফলে পূর্ব গৌতার অন্যান্য অংশের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিদ্রোহীরাও এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার চাপে পড়েছে। উত্তরাঞ্চলীয় দৌমা এলাকার নিয়ন্ত্রণে থাকা জঈশ ই-ইসলাম গোষ্ঠী এবং দক্ষিণাঞ্চলের আরবিন ও জামালকা জুড়ে নিয়ন্ত্রণে থাকা ফায়লাক আল-রহমান গোষ্ঠীর সঙ্গেও সরকার একই ধরনের চুক্তি করার পথে রয়েছে। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।