Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্ধুত্বের নামে আমরা বিজাতীয় সংস্কৃতিতে হাবুডুবু খাচ্ছি -মুফতি ফয়জুল করীম

স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমীর শাইখুল হাদীস আল্লামা মুফতী সৈয়দ মো: ফয়জুল করীম বলেছেন, আল্লার বান্দা মুসলমানরা কখনো বিজাতিদের বন্ধু হতে পারে না। আমরা আল্লার নিয়ামত ভোগ করছি। কিন্তু পূজা করছি বিজাতীয় সংস্কৃতির। বন্ধুত্বের নামে নিজেদের ভোগ বিলাসের স্বার্থে বিজাতীয় সংস্কৃতি বা পূজা সংস্কৃতি আমদানী করলে পরিণাম হবে জাহান্নাম। পয়লা বৈশাখ মুসলমানদের সংস্কৃতি নয়। অথচ মুসলমান হয়ে আমরা বিজাতীয় সাজে সজ্জিত হয়ে বিজাতীয় ঢংয়ে আমরা বৈশাখী অনুষ্ঠান করছি। আমরা বিজাতীয় সংস্কৃতিতে হাবুডুবু খাচ্ছি। তিনি গত বুধবার রাতে সাটিরপাড়া স্কুল মাঠে বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড, নরসিংদী আয়োজিত এক ইসলামী মহা-সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের মহা-সচিব আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী। মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, কথিত প্রগতিবাদের নামে উদারতা দেখানোর জন্য আমরা বিজাতিদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করেছি। আমরা বন্ধুত্ব দিয়ে আর কিছু না আনতে পারলেও এনেছি পূজার সংস্কৃতি। বন্ধুত্বের সুযোগে তারা বলছে “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার”। আর এই সুযোগেই তারা শারদীয় দূর্গোৎসব, রং উৎসবকে মুসলমানদের উৎসব বলে চালিয়ে দিচ্ছে। বসন্তবরণ, বৈশাখ বরণের নামে মুসলমানদের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে কপালের তিলক, লাল পেড়ে সাদা ও হলুদ শাড়ী পড়ার সংস্কৃতি। এগুলো মুসলমানদের ধ্বংস করার কু-লক্ষণ। তিনি বলেন, আল্লাহর ইচ্ছাই আমাদের ইচ্ছা। আল্লার নেয়ামত ভোগ করে অন্যের পূজা করলে তা হবে বেইমানের কাজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্ধুত্ব


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ