Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কালীগঞ্জে প্রিন্সিপালের রুমের তালা ভেঙে চেয়ার দখল!

আদালতের নির্দেশে দুদকের তদন্ত টিম মাঠে

মোস্তফা মাজেদ, ঝিনাইদহ থেকে | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সরকারীকরণের অপেক্ষায় থাকা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মাহতাব উদ্দীন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল আব্দুল মজিদ মন্ডল ও দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আশরাফ উদ্দীনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঝিনাইদহ বিজ্ঞ স্পেশাল জজ আদালতে ওই কলেজের প্রিন্সিপাল ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান মামলাটি করেন। অভিযোগটি ফৌজদারী মিস (স্পেশাল) মামলা হিসেবে রেজিষ্ট্রিভুক্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ১৩ উপবিধি ২ এর নির্দেশনা মতে ঝিনাইদহের বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৭৩২১ স্মারকে পাঠানো হয়। চীফ জুডিশিয়াল আদালত বাদীর অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কে নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে বাদীর অভিযোগ আসামী ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মজিদ মন্ডল ও সহকারী অধ্যাপক আশরাফ উদ্দীন কোন রুপ আইনের তোয়াক্কা না করে অধ্যক্ষের রুমের তালা ভেঙে রুম দখল, নেম প্লেট ভাঙচুর, হাজিরা খাতা থেকে প্রিন্সিপালের নাম মুছে ফেলা ও ষ্টীল কেবিনেটের তালা ভেঙে ভাউচার লুট করেছেন। এরপর তারা অস্তিত্বহীন ও আইন বহির্ভুত একটি অডিট টিম গঠন করে ২০০৮ সালের ৩১ জানুয়ারী থেকে ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত অনার্স ভবন নির্মাণে ১৫ লাখ ২২ হাজার টাকা আত্মসাতের কল্পিত রিপোর্ট তৈরী করে কলেজ প্রিন্সিপাল ড. মোঃ মাহবুবুর রহমানকে চুড়ান্ত বরখাস্তের ছক তৈরী করেন। এই অপকর্ম বৈধ করতে কালীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফ সরকারকে অডিট টিমের সদস্য করা হলেও তিনি তাতে সায় দেন নি এবং অডিট রিপোর্টে সাক্ষর করা থেকে বিরত থাকেন। ফলে কলেজ সভাপতির শুশ্বর শরিফুল ইসলাম ও শিক্ষক প্রতিনিধি আশরাফ উদ্দীনের সাক্ষরযুক্ত ওই ভুয়া অডিট রিপোর্ট প্রস্তুত করে বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করেন। আসামী দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আশরাফ উদ্দীন ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালকে ষ্টীল কেবিনেট ভাঙা ও জাল ভাউচার তৈরীতে সহায়তা করেন বলে মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয়। এদিকে প্রিন্সিপাল ড. মোঃ মাহবুবুর রহমানের মামলার প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকা অফিসের নিদের্শে অভিযোগটি তদন্ত করছেন সংস্থটির যশোর অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক সৌরভ দাস। তিনি ইতিমধ্যে কলেজে এসে তদন্ত শুরু ও কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের সাক্ষ্য নিয়েছেন। এ সংক্রান্ত কলেজের কাগজপত্রও পর্যালোচনার জন্য তলব করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনার আলোকে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশন যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আব্দুল গাফ্ফার জানান, বিষয়টি যেহেতু তিনি তদন্ত করছেন না তাই বিস্তারিত এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। উল্লেখ্য আদালতে দায়ের করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের ডিজি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রিন্সিপাল ড. মাহবুবুর রহমানকে স্বপদে বহাল করতে একাধিকবার চিঠি ইস্যু করলেও তাকে যোগদান করতে দেওয়া হয়নি। ফলে পদে পদে আইন লংঘনে মাহতাব উদ্দীন কলেজ পরিচালনা পর্ষদ ও ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মজিদ মন্ডলের খুটোর জোর নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিষয়টি জানতে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মজিদ মন্ডলের মুঠোফোনে গতকাল বৃহস্পতিবার একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আদালত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ