নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া হকির মর্যাদাপূর্ণ আসর প্রিমিয়ার লিগকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে দলবদলের দিনক্ষণ চুড়ান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন (বাহফে) আগেই ঘোষণা দিয়েছে ২৭, ২৮ ও ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে প্রিমিয়ার লিগের দলবদল কার্যক্রম। এ সিদ্ধান্তে বাহফে অনড় থাকলেও বেঁকে বসেছে লিগের শীর্ষস্থানীয় চার ক্লাব। তারা দলবদল কার্যক্রম পেছাতে বলছে। ক্লাবগুলো হলো- ঊষা ক্রীড়া চক্র, ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, ওয়ারী ও বাংলাদেশ স্পোর্টিং ক্লাব। এ চার ক্লাব দলবদল পেছাতে ইতোমধ্যে ফেডারেশন বরাবর চিঠিও দিয়েছে। কিন্তু তাদের দাবী মানতে নারাজ বাহফে। দেশের হকির অভিভাবক সংস্থাটি বলছে, পূর্ব নির্ধারীত সময়েই দলবদল কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।
আসন্ন প্রিমিয়ার লিগকে সামনে রেখে ভালোমানের দল গড়তে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি ক্লাবেরই প্রয়োজন প্রচুর অর্থের। ক্লাবগুলো সব সময়ই স্পন্সরের উপর নির্ভরশীল। স্পন্সর টাকা দিলে তবেই তারা শক্তিশালী দল গড়তে উঠে-পড়ে লাগে। কিন্তু এবারের দলবদল কার্যক্রমের দিন ঘনিয়ে আসলেও নানা জটিলতায় অনেক ক্লাবই নিজেদের তহবিল সংগ্রহের জন্য মাঠে নামতে পারেনি। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য এই চার ক্লাব। তাদের বক্তব্য, হাতে সময় নেই বিধায় তারা স্পন্সরদের কাছে যেতে পারছে না। ফলে টাকার অভাবে ভালোমানের দলও গড়া হচ্ছেনা চার ক্লাবের। তাই তারা দলবদল কার্যক্রম একমাস পিছিয়ে দিতে বলছে। এই সময়ের মধ্যে স্পন্সর জোগার করে শক্তিশালী দল গড়া সম্ভব বলেই আশা করছেন এই চার ক্লাব কর্তারা।
প্রিমিয়ার হকির দলবদল পেছাতে গেল ১৩ মার্চ বাহফে’কে প্রথম চিঠি দেয় ওয়ারী ক্লাব। এর পরের দিন বাংলাদেশ স্পোর্টিং ক্লাব ও ১৫ মার্চ ঊষা ক্রীড়া চক্র দলবদল পেছাতে বাহফে’কে চিঠি দেয়ার পর ১৮ মার্চ মোহামেডানও তাদের পথ অনুসরণ করে। তাদের দাবী আমলে না নিয়ে বাহফে উল্টো ১৯ মার্চ মোহামেডান ছাড়া বাকি তিন ক্লাবকে চিঠি দেয় পূর্ব নির্ধারিত সময়ে দলবদলে যোগ দিতে। ফেডারেশন কর্তারা বলছেন, কোন অবস্থাতেই দলবদল পেছানো যাবে না। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো: হুমায়ুন বলেন, ‘আমরা সব সময়েই স্পন্সরদের উপর নির্ভরশীল। তারা টাকা দিলে তবেই আমরা স্বাচ্ছন্দে ক্লাব চালাতে পারি। গড়তে পারি ভালোমানের দল। আসন্ন প্রিমিয়ার লিগকে সামনে রেখে দলবদল একেবারেই দোরগোড়ায়। এমাসের শেষ দিকে যদি দলবদল কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয় তবে আমাদের পক্ষে শক্তিশালী দল গড়া সম্ভব হবে না। কারণ এখনো আমরা স্পন্সরের নাগাল পাইনি।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমি আমার কথা বলতে পারি, ব্যাক্তিগত কাজে দীর্ঘদিন বিদেশ ছিলাম। ফলে ভালোমানের দল গঠনের জন্য আর্থিক সহযোগিতা পেতে কোন স্পন্সরের সঙ্গেই যোগাযোগ করতে পারিনি। তাই ফেডারেশনের কাছে দলবদল কার্যক্রম একমাস পিছিয়ে দিতে দাবী জানিয়েছি। আশাকরছি এই সময়ে মধ্যে আমরা স্পন্সর জোগার করতে পারবো। গড়তে পারবো শক্তিশালী দল।’ হুমায়ুন আরো বলেন, ‘নিজেদের অংশগ্রহণে লিগকে আকর্ষণীয় করে তুলতে এবং আর্থিক সংকট কাটাতেই ফেডারেশনের কাছে আমাদের এই আবেদন। আমি বুঝতে পারছি না একমাস পর দলবদল হলে কি এমন ক্ষতি হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।