চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
\ এক \
মহান আল্লাহপাক মানব জাতিকে সৃষ্টি করে তাদেরকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য যুগে যুগে অগণিত নবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন। সর্বশেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আগমণের মধ্যদিয়ে নবুয়তের পরিসমাপ্তি ঘটে। নবী সা. এর ওফাতের পর তার সুচারু দায়িত্ব পালন করেন সাহাবায়ে কেরাম। এরপর এই মহান দায়িত্ব পালন করেন উলাাময়ে কেরাম। এটাই ইসলামের মূলকথা। খোলাফায়ে রাশিদিনের শাসনের শেষ দিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক গোলযোগগকে কেন্দ্র করে নানা দল উপদলের সৃষ্টি হয়। তারা নিজ স্বার্থে কোরআন হাদীসের অপব্যাখ্যা করতে থাকেন। অন্তহীন সমস্যায় নিমজ্জিত হয়ে যায় গোটা মুসলিম উম্মাহ। মহান আল্লাহ পাক মুসলিম উম্মাহর উপর দয়াপরবশ হয়ে কোরআন হাদীসের সঠিক ব্যাখ্যা দেয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন কয়েকজন মুজতাহিদ আলেমের আবির্ভাব ঘটান। ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালিক, ইমাম শাফিয়ী, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল, আবুল হাসান আশআরী, আবু মনসুর মাতুরিদী, ইমাম তাহাবী ও ইমাম গাজ্জালী, (র.) এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এরা মুসলিম জনতার মধ্যে কোরআন হাদীসের সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরেন- ফলে গোটা মুসলিম উম্মাহ পেয়ে যায় সত্য সঠিক পথের সন্ধান। ইমাম আবু হানিফা (৮০-১৫০ হিজরী) ইমাম মালিক (৯৩-১৭৯হি.) ইমাম শাফিয়ী (১৫০-২০৪ হিজরী)। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (১৬৪-২৪১হি.) প্রত্যেকে এক একটি মাজহাব গঠন করেন। তৎকালীন বিশ্বের সকল উলামায়ে কেরামগণ একথায় একমত হন যে, উক্ত চার মাজহাবের চার ইমামই বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট মুজতাহিদ এবং তাদের ইজতেহাদই সত্য, সঠিক ও নির্ভুল। যে কেউ উক্ত চার ইমামের যে কোন একজনের অনুসরণ করবে সেই ব্যক্তিই সত্য ও সঠিক পথের অনুসারীই বলে গণ্য হবে। তবে উক্ত চার ইমামের মধ্যে ইমাম আবু হানিফা (রহ.)ই সর্বশ্রেষ্ট। বিশ্বের সিংহভাগ মুসলমান সেই ইমাম আবু হানিফা (রা.) এর মাজহাবের অনুসারী।
মুসলমান মাত্রই ইসলামী শরীয়তের সকল বিধি বিধান পালন করতে হবে। এটা প্রতিটি মুসলমানের উপর ফরজ। কোরআন হাদীসের সঠিক মর্ম উদঘাটন করা বা শরীয়তের সকল বিধান বুঝে নেয়া সকলের পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য কোরআন হাদীসকে সঠিকভাবে জানার জন্য ইসলামের বিধিবিধানকে পরিস্কারভাবে জানার জন্য ইলমে শরীয়ত ও ইলমে তাসাউফে অগাধ পান্ডিত্যের আধিকারী মুজতাহিদ আলেমের দ্বারস্থ হতে হবে। মুজতাহিদ উলামায়ে কেরামের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ট হচ্ছেন- চার মাজহাবের চার ইমাম। অর্থাৎ শরীয়তের বিধানাবলীকে সঠিকভাবে উপলব্দি করার জন্য চার মাজহাবের যে কোন ইমামের অনুসরণ করতেই হবে। সত্য ও সঠিক পথে চলার নিমিত্তে যে কোন মাজহাবের অনুসরণ বা ইলমে শরীয়ত ও ইলমে তাসউফে অগাধ পান্ডিত্যের অধিকারী মুজতাহিদ আলেমের অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহপাক ইরশাদ করেন- ১. ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুসরণ কর এবং তোমাদের মধ্যে যারা ‘উলিল আমর’ বা মুজতাহিদ আলেম তাদের অনুরসণ কর। (সূরা নিসা : আয়াত৫৯)। ২. “যখন তাদের কাছে শান্তি অথবা শংকা বিষয়ক কোন সংবাদ আসে তখন তারা তার প্রচারে লেগে যায়। অথচ বিষয়টি যদি তারা রাসূল সা. এবং তাদের মধ্যে যারা উলিল আমর’ আছে তাদের কাছে পেশ করতো তাহলে সুক্ষ্ণ বিচার শক্তির অধিকারী ব্যক্তিগণ বিষয়টির যথার্থতা উদঘাটন করতে পারতেন। (সূরা নিসা : আয়াত-৮৩)। উক্ত আয়াত দুটিতে ‘উলিল আমর বলতে মুজতাহিদ উলামায়ে কেরামকে বুঝানো হয়েছে এবং শরীয়তের বিষয়ে তাদের অনুসরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ৩. “তোমাদের ইলম না থাকলে আহলে জিকির বা আহলে ইলমদের নিকট জিজ্ঞেস করে জেনে নাও” (সূরা নাহল : আয়ত-৪৩, সূরা আম্বিয়া : আয়ত-৭)। উক্ত আয়াতেও আহলে জিকির দ্বারা মুজতাহিদ উলামায়ে কেরামের অনুরসণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ৪. “এদেরকে আল্লাহ সৎপথ দান করেছেন। সূতরাং তোমরা তাদেরকে অনুরসরন কর” (সূরা আনআম : আয়াত-৯০)। ৫. ইলমে দ্বীন অর্জনের জন্য প্রত্যেক দল থেকে একটি উপদল কেন বের হয় না? যেন ফিরে এসে স্বাজাতিকে তারা সতর্ক করতে পারে” (সূরা তওবা : আয়াত ১২২)। উক্ত আয়াতগুলোতে আল্লাহপাক আমাদেরকে মুজতাহিদ উলামায়ে কেরামের অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
উক্ত আয়াতগুলো দ্বারা মুজতাহিদ উলামায়ে কেরামের অনুসরণকে আল্লাহপাক আমাদের উপর ফরজ করে দিয়েছেন। অতএব, দিবালোকের ন্যায় প্রমাণ হল মাজহাব মানা আমাদের উপর ফরজ। সত্য ও সঠিক পথ পেতে হলে মাজহাব অবশ্যই মেনে নিতে হবে।
ইসলামে মাজহাব মানার গুরুত্ব অপরিসীম। কোন সমস্যার সমাধান সরাসরি কোরআন হাদীসে না পেলে কোরআন হাদীসের আলোকে এর উপর ইজতিহাদ করে উদঘাটিত বিষয়ের উপর আমল করার প্রতি হাদীসে অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। দ্বীনি বিষয়ে মুজতাহিদ আলেমের তাকলীদ বা অনুসরণকে রাসূলে পাক (সা.) অপরিহার্য ঘোষণা করেছেন। এব্যাপারে অগণিত হাদীস রয়েছে। ১. হযরত হুজাইফা (রা.) বর্ণিত হাদীসে রাসূলেপাক (সা.) ইরশাদ করেন- ‘জানিনা, আমি আর কতদিন তোমাদর মধ্যে বেঁচে থাকবো। তবে আমার পরে তোমরা আবু বকর ও ওমর এ দুজনের অনুসরণ করে যাবে” (তিরমীজি, ইবনে মাজাহ ও আহমদ)। ২. হযরত ইরবাজ ইবনে সারিয়া (রা.) বর্ণিত হাদীসে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন- “তোমরা আমার সুন্নতকে এবং খোলাফায়ে রাশিদীনের সুন্নতকে আকড়িয়ে ধরবে। (আহমদ, আবু দাউদ, তিরমীজি ও ইবনে মাজাহ)। অন্যান্য হাদীসে নবী সা. সাহাবায়ে কেরামের ইকতেদা বা অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। ৩. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বর্ণিত হাদীসে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন- তোমরা আমাকে দেখে আমার অনুসরণ কর আর তোমাদের পরবর্তীরা তোমাদের দেখে অনুসরণ করবে (বুখারী ও মুসলিম)। ৪. হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- জাবিয়া নামক স্থানে একবার খুতবা দানকালে ওমর (রা.) বললেন- হে লোক সকল! কোরআন সম্পর্কে তোমাদের কোন প্রশ্ন থাকলে উবাই ইবনে কাবের কাছে, ফারায়েজ সম্পর্কে কিছু জানতে হলে জায়েদ বিন সাবেতের কাছে, ফিকাহ সম্পর্কে কিছু জানতে হলে মুআজ বিন জাবালের কাছে যাবে, আর অর্থ সম্পদ বিষয়ক কোন প্রশ্ন থাকলে জানার জন্য আমার কাছেই আসবেন। কেননা আল্লাহ আমাকে এর বণ্টন ও তত্তাবধানের কাজে নিযুক্ত করেছেন (তিবরানী)। সাহাবায়ে কেরামের সময়ের কথা পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই। যাদের ইজতেহাদী যোগ্যতা ছিল না তারা নিঃসংকোচে ফকীহ ও মুজতাহিদ সাহাবাগণের শরণাপন্ন হতেন এবং বিনা দলীলেই তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে সে মোতাবেক আমল করে যেতেন। ৫. হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির ও হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদকে কুফায় পাঠানোর প্রাক্কালে কুফাবাসীদের নামে লেখা এক চিঠিতে হযরত ওমর (রা.) বলেছেন- “আম্মার ইবনে ইয়াসিরকে শাসক এবং আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদকে শিক্ষক ও পরামর্শদাতারূপে আমি তোমাদের কাছে পাঠালাম। এরা বিশিষ্ট বদরী সাহাবী। তোমরা তাদের অনুসরণ করবে। এবং যাবতীয় নির্দেশ মেনে চলবে”। ৬. হযরত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) কে ইয়ামন পাঠানোর সময় রাসূল (সা.) তাকে জিজ্ঞেস করলেন- হে মুআজ! উদ্ভুত সমস্যার সমাধান তুমি কিভাবে করবে? হযরত মুআজ (রা.) বললেন- “কোরআনের আলোকে সমাধান করব। রাসূল সা. তাকে জিজ্ঞেস করলেন, কোরআনে এর সমাধান না পেলে কি দিয়ে সমাধান করবে? হযরত মুআজ (রা.) বললেন- হাদীসের আলোকে এর সমাধান করবো। রাসূল (সা.) আবার মুআজ (রা.) কে জিজ্ঞেস করলেন- হাদীসেও সমাধান খুঁজে না পেলে কি করবে? হযরত মুআজ (রা.) বললেন- কোরআন হাদীসে সমাধান না পেলে আমি ইজতিহাদ করব এবং সঠিক সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়ার জন্য আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। এতে কোন ত্রুটি করবো না। হযরত মুআজ (রা.) এর কথা শুনে অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে রাসূল (সা.) তাঁর পবিত্র হাত মোবারক দ্বারা মুআজ (রা.) এর বুকে মৃদু আঘাত করে বললেন- আলহামদু লিল্লাহ! আল্লাহপাক তাঁর রাসূলের দূতকে রাসূলের সন্তুষ্টি মোতাবেক কথা বলার তওফিক দিয়েছেন (আবু দাউদ, তিরমীজি)।
উক্ত হাদীস দ্বারা দিবালোকের ন্যায় প্রমাণিত-কোরআন হাদীসে সরাসরি নেই এমন বিষয়ে ইজতিহাদ করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে যিনি ইজতেহাদ করবেন তাকে অবশ্যই ইলমে শরীয়ত ও ইলমে তাসাউফে অগাধ পান্ডিত্যের অধিকারী মুজতাহিদ আলেম হতে হবে। (যার মধ্যে ইলমে শরীয়ত ও ইলমে তাসাউফ উভয় প্রকার ইলম আছে তাকেই আলেম বলে।)। মুজতাহিদ পর্যায়ের আলেম ইজতেহাদ করে যে মাসআলা বের করবেন- তার উপর আমল করা যে ফরজ তা উক্ত হাদীসগুলো দ্বারা দিবালোকের ন্যায় প্রমাণিত। উল্লেখ্য,যে, যেসকল বিষয়ে আগেকার মুজাতহিদ উলামায়ে কেরামগণ চুড়ান্ত ফায়সালা দিয়ে গেছেন সেসব বিষয়ে আর ইজতেহাদ করার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ আগেকার আলেমগণ ছিলেন তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী, ইলম ও আমলে ছিলেন শ্রেষ্ট ত্বের অধিকারী। তাদের ফতোয়াই ছিল সঠিক ও নির্ভুল। তারাই অগ্রগণ্য। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে- “আর অগ্রবর্তীগণই তো অগ্রবর্তী, উহারাই নৈকট্যপ্রাপ্ত (সূরা ওয়াকিয়া : আয়াত- ১০-১১)।
ইসলামে মাজহাব মানার গুরুত্ব অপরিসীম। মাজহাব মানার বিষয়টি কোরআন হাদীস দ্বারা সুস্পষ্ট প্রমাণিত। যারা মাজহাব মানে না তারা পথভ্রষ্ট হতে বাধ্য। কেউ কেউ বলতে পারেন- আমরা সরাসরি কোরআন হাদীস থেকে মাসআলা বের করে আমল করবো। কিন্তু কোন ইমামের মাজহাব মানবো না। আমি এর জবাবে বলবো- যারা ইসলাম সম্পর্কে গভীর জ্ঞানের অধিকারী মনে করলাম তারা কিছুটা মাসআলা বের করে আমল করলো কিন্তু যারা জাহিল বা অজ্ঞ তারা কি কোরআন হাদীস থেকে মাসআলা বের করতে পারবে? তারা তো কোনক্রমেই তা পারবে না। প্রশ্ন হল এরা কিভাবে ইসলামী জীবনযাপন করবে? আজ যারা নিজেদেরকে আলেম দাবী করে মাজহাব অস্বীকার করছেন- মাজহাব মানছেন না। তারা কি কখনও চার মাজহাবের চার ইমামের কারো মতো আলেম হতে পেরেছেন? বা কখনও এরূপ আলেম হতে পারবেন? আমি এর জবাবে বলবো- আজকে যে যত বড় আলেম দাবী করেন না কেন তিনি কখনও সেই চার মাজহাবের ইমামের কারো মত আলেম হতে পারবেন না। তাই আমি বলবো- আলেম হোক বা জাহিল হোক সবাইকে অবশ্যই মাজহাব মানতে হবে। মাজহাব মানা সকলের জন্য অতি জরুরী। সকলের জন্য ফরজ।
মাজহাব মানে পথ, মত ও নীতি। একজন মুজতাহিদ আলেম আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নীতি অনুসারে যে নীতি প্রণয়ন করেন- সেটাই হচ্ছে মাজহাব। যারা মাজহাব মানে না তারা মাজহাব বিরোধী নানা ধরণের অবান্তর প্রশ্ন করে থাকেন। তারা যেসব প্রশ্ন করে থাকেন তা হচ্ছে- রাসূল (সা.) এর মাজহাব কি ছিল? সাহাবায়ে কেরামের মাজহাব ছিল কোনটি? চার মাজহাবের চার ইমাম কোন মাজহাবের অনুসারী ছিলেন? আমি এর জবাবে বলবো- রাসূল (সা.) ছিলেন স্বয়ং শরিয়ত প্রণেতা ও শরিয়তের মূল ব্যাখ্যাদাতা। তিনি তো সর্ববিষয়ে আল্লাহর অনুসরণ করেছেন। সাহাবায়ে কেরামগণ সরাসরি রাসূল (সা.) এর অনুসরণ করেছেন। রাসূল (সা.) এর আদর্শই ছিল সাহাবায়ে কেরামের মাজহাব। আর চার মাজহাবের চার ইমাম বড় বড় সাহাবী ও তাবেয়ীদের সাহচর্য লাভ করত: তাদের অনুসরণ করেছেন। এভাবে চার মাজহাব সৃষ্টি হওয়ার আগে যারা মারা গিয়েছেন তারা কোন না কোন মুজতাহিদ আলেমের অনুসারী ছিলেন। আমাদের মধ্যে অনেকে মাজহাব মানেন কিন্তু তারা মাজহাব মানতে ভুল করে থাকেন। যেমন তারা নামাজের ক্ষেত্রে ইমাম আবু হানিফার মাসআলা গ্রহণ করেন কিন্তু রোজার ক্ষেত্রে ইমাম আবু হানিফার মাসআলার বিরোধীতা করে থাকেন। এরূপ যারা করেন তাদের মাজহাব মানা হবে না। এরূপ করা মাজহাব অস্বীকার করার নামান্তর। মাজহাব মানার ক্ষেত্রে কখনও সুবিধাবাদী হওয়া যাবে না। যে ইমামের মাজহাব অনুসরণ করবেন সকল মাসআলার ক্ষেত্রে সেই ইমামের ফতোয়া অবশ্যই মেনে নিতে হবে। মাজহাব মানা আমার মতে ফরজ। সত্য ও সঠিক পথে চলতে হলে চার মাজহাবের যে কোন ইমামের মাজহাব মেনে নেয়া উচিত।
লেখক- শিক্ষক ও নিবন্ধকার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।