নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গত ক’মাস ধরেই টাল-মাটাল বাংলাদেশের ক্রিকেট। ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে হঠাৎই বিদায় বলে দেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। দু’দিন আগে শেষ হওয়া নিদাহাস ট্রফির ঠিক আগ মুহূর্তে ছুটিতে সহকারী কোচ রিচার্ড হ্যালসলও। সেই ছুটি স্বেচ্ছায় নাকি বাধ্য করা হয়েছে তা নিয়ে ছিল জোর গুঞ্জন। তার রেশ কাটতে না কাটতেই গতকাল হ্যালসলের পদত্যাগ পত্র গ্রহণের কথা জানায় বিসিবি। গতকাল এক বিবৃতিতে বোর্ডের প্রধান নির্বাহী জানান, তারা বুঝতে পেরেছেন পরিবারের কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হ্যালসল, ‘রিচার্ড গত চার বছর ধরে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্টের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং জাতীয় দলের অনেক সাফল্যের সঙ্গী ছিলেন।’
২০১৪ সালের শেষের দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশের ফিল্ডিং উপদেষ্টা হিসেবে কাজ শুরু করেন হ্যালসল। সেই সফর শেষে তাকে ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব দেয় বিসিবি। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে পদোন্নতি পান হ্যালসল। তাকে করা হয় প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সহকারী। দায়িত্ব পান ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত।
গত বছর শেষের দিকে প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে সরে যান হাথুরুসিংহে। এবার গেলেন হ্যালসলও। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে কাটানো সময় তিনি কখনও ভুলবেন না, ‘প্রধমেই বিসিবিকে ধন্যবাদ দিতে চাই জাতীয় দলের সঙ্গে দারুণ কিছু বছর কাটানোর সুুযোগ দেবার জন্য। এই সময়ের মধ্যে অভিজ্ঞতা হয়েছে দুর্দান্ত সব সহযোদ্ধাদের সঙ্গে কাজ করার, যাদের সহযোগীতায় সুযোগ হয়েছে আমার ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করার। আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো যেভাবে বাংলাদেশ আমার পরিবারকে গ্রহণ করেছে এবং সুযোগ দিয়েছে খোঁজ খবর রাখার তার জন্য। অসম্ভব সুন্দর কিছু স্মৃতি সঙ্গে নিয়ে বিদায় বলছি যার মধ্যে অন্যতম ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়। বাংলাদেশে আমার এই সময়কাল আমি আজীবন মনে রাখবো। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের উত্তর উত্তর সাফল্য কামনা করি।’
হ্যালসলকে নিয়ে বাংলাদেশ দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের অসন্তুষ্টি বেশ কিছুদিন ধরেই ছিল ‘ওপেন সিক্রেট’। মাশরাফি বিন মুর্তজার টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে তার ভূমিকা, নানা সময়ে তামিম ইকবালের সঙ্গে টানাপোড়েন, মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্টের দূরত্ব, এমন আরও অনেক কিছুতে হ্যালসলের জোর ভূমিকার অভিযোগ আছে। এই সময়ে বরাবরই বোর্ড ছিল হ্যালসলের পাশে। তবে শেষের দিকে নানা কর্মকান্ডে বোর্ডও তার ওপর বিরক্ত বলে শোনা যাচ্ছিল। ক্রিকেটার-বোর্ড, দুই পক্ষের আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন বলেই তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে, এমন গুঞ্জন ছিল। বিসিবির কয়েকটি সূত্রের ধারণা ছিল, ছুটিতে থাকা এই ইংলিশ কোচকে আর ফেরানো হবে না।
প্রধান কোচের সন্ধানে থাকা বিসিবিকে এখন খুঁজতে হবে নতুন ফিল্ডিং কোচও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।