মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অতিরিক্ত মাছ ধরা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্লাস্টিকের দূষণের কারণে বিশ্বের সাগর-মহাসাগর এখন হুমকির মুখে। তাই ‘বøু ইকোনমি›-র মাধ্যমে সমুদ্র সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। মেক্সিকোতে ৭ মার্চ থেকে ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হলো বিশ্ব সমুদ্র সম্মেলন, যেখানে বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি বিশ্বের ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদরাও হাজির হয়েছিলেন। প্রতি বছর মূলত এতে আলোচনা হয় সাগরকে ঘিরে কীভাবে অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করা যায়। কিন্তু এবার বক্তাদের কথায় উঠে এলো কীভাবে সমুদ্র সম্পদ রক্ষা করা যায় এবং সাগরকে বাঁচানো যায়।
মূলত ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সাগরকে রক্ষা করার বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উঠে আসে আলোচনায়। এই পরিকল্পনার নাম দেয়া হয় ‘বøু ইকোনমি› বা নীল অর্থনীতি। বিশেষজ্ঞ আলেকজান্ডার কস্তো বলেন, ‘নীল অর্থনীতি আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা, মানুষের স্বাস্থ্য এবং পরিবেশকে রক্ষায় ভূমিকা রাখবে’। যেসব মানুষের জীবিকা সাগর-নির্ভর, তাদের জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে এর মাধ্যমে।
বিশ্বের অন্তত একশ’ কোটি মানুষ মৎস বা মাছের উপর নির্ভরশীল। আর কিছু ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র রয়েছে, যারা কেবল মাছ খেয়েই বেঁচে থাকে। এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্ব ব্যাংকের পরিবেশ বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা ক্যারিন ক্যাম্পার জানালেন, ‘অতিরিক্ত মাছ ধরার কারণে সমুদ্রের জীববৈচিত্রে অসামঞ্জস্যতা দেখা দিচ্ছে এবং খাদ্য নিরাপত্তা পড়ছে ঝুঁকির মুখে’।
জলবায়ু পরিবর্তনেরকারণে সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে, অমøতা বাড়ছে, যা প্রবালের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলা বাহুল্য, এই প্রবালপ্রাচীর মাছেদের অন্যতম আবাসস্থল। তাই মাছ তাদের আশ্রয় হারাচ্ছে।
মাছ কমে যাওয়ার আরো একটি বড় কারণ হলো প্লাস্টিক দূষণ। সাগরে প্লাস্টিকের পরিমাণ এত বেড়ে গেছে যে, তা পরিষ্কার করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য জলাশয় থেকে যে পরিমাণ মাছ ধরা হয়, সাগর থেকে ধরা হয় তার চারগুণ।
অ্যাকোয়াকালচার হতে পারে সাগরের মাছের বিকল্প। এরই মধ্যে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক ‘সি ফুড› অ্যাকোয়াকালচারের মাধ্যমে সরবরাহ হয়। ফলে এর মাধ্যমে সমুদ্রের মাছের উপর থেকে চাপ কমানো যেতে পারে। সমালোচকরা অবশ্য বলছেন, এই পদ্ধতিতে পরিবেশ দূষণ আরও বাড়বে এবং জীববৈচিত্রের জন্য এটি আরো একটি হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। তাই ব্লু ইকোনমির মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকাগুলোকে রক্ষা এবং সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সূত্র : ডয়েচে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।