পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নেপালে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ বাংলাদেশির জানাজা রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়াম অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর্মি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে জানাজা নামায অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নিহতদের রুহের মাগফিরাত শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
জানাজা শেষে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বিএনপি নেতা অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমদ, প্রাক্তন নৌবাহিনী প্রধান ও বিএনপি নেতা এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরীসহ বিভিন্ন নেতারা নিহতদের শ্রদ্ধা জানান। পরে নিহতদের লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে নেপাল থেকে ২৩ জনের মরদেহবাহী বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ প্লেন (কার্গো) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। এরপর লাশবাহী কফিনগুলো নাম ধরে ধরে অ্যাম্বুলেন্সে ঢোকানো হয়। সেখান থেকে মৃতদেহগুলো দ্বিতীয় জানাজার জন্য অ্যাম্বুলেন্সযোগে আর্মি স্টেডিয়ামে আনা হয়। বিকেল ৫টা ৮মিনিটে মৃতদেহগুলো সেখানে পৌঁছানোর পর ৫টা ২৫মিনিটে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়
আর্মি স্টেডিয়ামের মাঠে ফুল দিয়ে সাজানো মঞ্চে মৃতদেহগুলো রাখা হয়। সেখানে সরকারের মন্ত্রী, সচিব, সেনাবাহিনীর ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, আত্মীয়-স্বজনসহ কয়েক হাজার মানুষ জানাজায় অংশ নেন। এর আগে বিকেল বিমানবন্দরে মৃতদেহগুলো পৌঁছলে সেগুলো গ্রহণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল।
নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ বাংলাদেশি যাদের জানাজা হয়েছে তারা হলেন- আঁখি মনি, বেগম নুরুন্নাহার, শারমিন আক্তার, নাজিয়া আফরিন, এফএইচ প্রিয়ক, উম্মে সালমা, বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান, পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান।
এছাড়া তিন বাংলাদেশির মরদেহ এখনও শনাক্ত হয়নি। তারা হলেন- নজরুল ইসলাম, পিয়াস রয় ও আলিফুজ্জামান। ডিএনএ পরীক্ষার পর তাদের মরদেহ শনাক্ত করা হবে বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।