নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : নিদাহাস ট্রফির রুদ্ধশ্বাস ফাইনালের শেষ বলে হেরে আবারও স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের। শেষ ওভারে বোলার সৌম্য সরকার থাকলেও দায়টা পড়ছে এর আগের ওভারে ২২ রান দেওয়া রুবেল হোসেনের ওপর। যদিও ওই ওভার ছাড়া এদিন শুরু থেকে দুর্দান্ত বল করেছেন রুবেল। ম্যাচের আগের ৩ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ইনফর্ম ব্যাটনম্যান শেখর ধাওয়ান ও সুরেশ রায়নার উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচটাকে শেষ ওভারে নেওয়ার পেছনে কম অবদান ছিল না তার। কিন্তু নিয়তির কি পরিহাস, ১৯তম ওভারেই সেই রুবেল দিলেন ২২ রান। একই সঙ্গে ম্যাচটিও চলে যায় অনেকটা ভারতের নিয়ন্ত্রণে। তাই হারের দায়টা অনেকটা যে রুবেলের ওপর পড়ছে সেটা উপলব্ধি করতে পেরেছেন ডানহাতি এই পেসার। আর এ কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন রুবেল। আবেগঘণ সেই স্ট্যাটাসে রুবেল লেখেন, ‘ম্যাচ শেষ হওয়ার পর থেকেই খুব খারাপ লাগছে। সত্যি বলতে আমি কখনোই ভাবিনি আমার কারণে বাংলাদেশ দল জয়ের এত কাছে এসেও ম্যাচ থেকে এভাবে ছিটকে যাবে। সবার কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমাকে ক্ষমা করে দেবেন সবাই।’
যদিও এরপর কমেন্টে ক্ষমা চাওয়ার কিছুই নেই বলে জানিয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমী বাংলাদেশিরা। তাদের দাবি, ‘আপনি নিজের শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করেছেন। ভাগ্য আমাদের পক্ষে ছিল না।’ একই মত অস্ট্রেলিয়ার সাবেক স্পিডস্টার ব্রেট লিরও।
ফাইনালে প্রথম ৩ ওভারে ১৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন রুবেল। খেলেছেন প্রত্যেকটি ম্যাচ। ওখানে বিশেষজ্ঞ ধারাভাষ্যকার হিসেবে ছিলেন ব্রেট লি। ভিন্ন অ্যাকশনের বোলার রুবেলের খেলাটা খুব মন দিয়েই দেখেছেন অজি সাবেক পেসার। রুবেলের বোলিং বৈচিত্রে মুগ্ধ হয়েছেন খুব। এর সাথে তার মন কেড়েছে রুবেলের ইয়র্কারের ধারাবাহিকতাও, ‘আমার কাছে সেই সম্ভবত একমাত্র খেলোয়াড় যে এই টুর্নামেন্টে সিমের ব্যবহার যথাযথ করতে পেরেছে, ছোটো রান আপে এসে ভালো ইয়র্কার দিয়েছে।’ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৭৬ টেস্টে ৩১০ এবং ২২১ ওয়ানডেতে ৩৮০ উইকেট শিকারী ৪১ বছরের ব্রেট লি বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আসরে সবাই ইয়র্কার দিয়েছে কিন্তু এটা আমি আরো বেশি দেখতে চাই।’
২৮ বছর বয়সী রুবেল বাংলাদেশের হয়ে ২৫ টেস্টে ৩৩, ৮৫ ওয়ানডেতে ১০৭ এবং ২২ টি-টুয়েন্টিতে ২৩ উইকেট শিকার করেছেন। বাংলাদেশকে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে তুলতেও তার ভূমিকা ছিল। টুর্নামেন্ট শেষে বোলিং তালিকার চতুর্থ স্থানে তিনি। বাংলাদেশের সফলতম বোলার এই আসরে। ৫ ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়েছেন। ওভার প্রতি দিয়েছেন ৮.৭৪ রান। স্ট্রাইক রেট ১৬.৮।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।