নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অসুস্থ ছিলেন বছর দেড়েক ধরেই। ব্রেনে টিউমার ধরা পড়েছিল, ডিমেনশিয়ায়ও (স্মৃতিভ্রষ্টতা) ভুগছিলেন। হাসপাতাল-বাড়িই করতে হচ্ছিল বেশ। স¤প্রতি শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিছুটা উন্নতি হওয়ায় বাসায় নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এরপরই আবার হাসপাতালে নিতে হয় তাঁকে। সেখান থেকেই গতকাল সকালে না ফেরার দেশে চলে গেলেন সাবেক ক্রিকেটার সামিউর রহমান। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
সংখ্যার বিচারে তার পারফরম্যান্সের হিসাব বলবে, বাংলাদেশের হয়ে দুটি ওয়ানডে খেলেছিলেন সামিউর রহমান। ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলিংয়ে ২ ম্যাচে ৩০ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। ব্যাট হাতে করেছেন ৪ রান। কিন্তু সংখ্যা ছাপিয়েও যা বিশেষ, তা হলো, ১৯৮৬ সালের ৩১ মার্চ মোরাতুয়ায় পাকিস্তানের বিপক্ষে যে ওয়ানডে দিয়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু, সেটিতে বাংলাদেশ দলের পেসার ছিলেন সামিউর রহমান। ছয়দিন পর ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ও শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
তবে ক্রিকেটার পরিচয় ছাপিয়েও সামিউর রহমান বাংলাদেশের ক্রিকেটে বড় হয়ে আছেন বিসিবির ম্যাচ রেফারি পরিচয়ে। আজীবন ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন, ফার্স্ট ক্লাস ও লিস্ট এ ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করেছেন ২৮ ম্যাচে। ম্যাচ রেফারি ছিলেন ১১১ ম্যাচে! টি-টোয়েন্টিতে ২৫টি ম্যাচেও ম্যাচ রেফারিং করেছেন। সামিউর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোকে আচ্ছন্ন দেশের ক্রিকেট। গুণী এই ক্রিকেট ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। এছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), ঢাকা আবাহনী লিমিটেড ও বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস কমিউনিটি (বিএসজেসি) গভীর শোক প্রকাশসহ মরহুমের শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। এদিন সকালে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তার স্মৃতির স্মরণে কক্সবাজারে ৪০তম জাতীয় ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচের আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সেই শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই বিকেলে এলো আরেকজনের পরপারে পাড়ি জমানোর খবর। সেই ক্যান্সারের সঙ্গে তিন বছর ধরে তুমুল লড়াইয়ের পর অবশেষে আর পেরে উঠলেন না, সব চেষ্টা ব্যর্থ করে, সব ভালোবাসাকে ছিন্ন করে চলে গেলেন মোশাররফ হোসেন রুবেল। মাত্র ৪০ বছর বয়সে ঢাকার একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
দেশের হয়ে ৫টি ওয়ানডে খেলা মোশররফ রুবেলের মস্তিস্কে টিউমার ধরা পড়ে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে। এরপর সিঙ্গাপুরে গিয়ে অস্ত্রোপচার করিয়ে সেই টিউমার অপসারণও করা হয়েছিল। মোটামুটি সুস্থই হয়ে উঠেছিলেন তিনি। গতকাল হুট করে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রুবেলকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
২০১৯ সালে রুবেলের মস্তিস্কে ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর সিঙ্গাপুরে অস্ত্রোপচার করে টিউমার অপসারণ করা হয়। ২৪টি কোমোথেরাপি লেগেছিল তার। এরপর মোটামুটি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কিছু দিন আগে নতুন করে টিউমার ধরা পড়ে তার মস্তিষ্কে। অবশ হয়ে যায় শরীরের একদিক। গত মাসে তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। তবে প্রায় এক মাস পর গত ১৫ এপ্রিল হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছিলেন রুবেল। তার মৃত্যুতেও শোক প্রকাশ করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। শোক জানিয়েছে বিসিবি, বিএসজেসি ও আবাহনী সহ বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।