Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন পরিচয়ে বাংলাদেশ

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণ

হাসান সোহেল | প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০৬ এএম, ১৮ মার্চ, ২০১৮

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল বাংলাদেশÑনতুন এ পরিচয়ে উল্লোসিত দেশের মানুষ। এই কাতারে উঠতে যে শর্ত দরকার, তা পূরণ করায় আবেদন করার যোগ্য হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের উন্নয়ন নীতি সংক্রান্ত কমিটি (সিডিপি) গত শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে এ ঘোষণা দেয়। শুক্রবার নিউইয়র্কে সিডিপি’র ঘোষণা সংক্রান্ত একটি চিঠি জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর ঐতিহাসিক এই উত্তরণে উৎসবে ভাসবে বাংলাদেশ। এ জন্য অবশ্য অর্ধযুগে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। চ্যালেঞ্জগুলোর বহুমাত্রিক প্রভাব মোকাবেলা করতে প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাজার সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি বণ্টন ব্যবস্থার উন্নয়নের দিকেও নজর দেয়ার তাগিদ দেন তারা।
যদিও বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে অর্থ কোনো সমস্যা নয় বলে জানিয়েছেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রেসিডেন্ট তাকেহিকো নাকাও। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, তা কতটা সম্ভব- এ প্রশ্নে তাকেহিকো নাকাও বলেন, অসম্ভব নয়। তবে খুবই কঠিন। উন্নত দেশ হওয়ার জন্য ধারাবাহিকভাবে ১০ শতাংশের ওপরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ডলারে নিয়ে যেতে হবে। আর সে জন্য প্রচুর বিনিয়োগ করতে হবে। দেশি বিনিয়োগের পাশপাশি বিপুল বিদেশি বিনিয়োগ লাগবে। জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে বাংলাদশের প্রোফাইলে এখন বলা আছেÑ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার যোগ্যতা এই মার্চেই অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় ছিল বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায়ের পথে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হল। আগামী ২০২৪ সালে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক উত্তরণ ঘটবে। এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য আয়, মানব সম্পদ সূচক ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি সূচক (ইভিআই) এই তিন শর্ত পূরণ করতে হয়, যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পূরণ হয়েছে। মাথাপিছু জাতীয় আয় এক হাজার ২৫ ডলারের নিচে থাকলে সে দেশ এলডিসিভুক্ত হয়, এই আয় ১ হাজার ২৩০ ডলার অতিক্রম করলে ধাপ উন্নয়নের যোগ্যতা অর্জন হয়। বাংলাদেশের এখন এক হাজার ২৭৪ ডলার। মানব সম্পদ সূচকে বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ৭২। এক্ষেত্রে ৬২ পর্যন্ত দেশগুলো এলডিসিভুক্ত, ৬৪ ছাড়ালে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার যোগ্যতা অর্জিত হয়। অর্থনৈতিক ঝুঁকির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ২৫ দশমিক ২। এই পয়েন্ট ৩৬ এর বেশি হলে এলডিসিভুক্ত হয়, ৩২ এ আনার পর উন্নয়নশীল দেশে যোগ্যতা অর্জন হয়।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ সরকারের কর্তাব্যক্তিরা আশাবাদী, এভাবে চললে ২০২৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে কোনো সমস্যা হবে না। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তার কার্যকর বাস্তবায়ন হলে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব। তবে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উন্নীত হওয়ায় বাংলাদেশকে কিছু কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে। এর বহুমাত্রিক প্রভাব মোকাবেলা করতে হবে বাংলাদেশকে। এর মধ্যে বড় আকারে দুই ধরনের ঝুঁকি রয়েছে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এর একটি হলো- স্বল্পোন্নত দেশ হওয়ায় বাংলাদেশ বহির্বিশ্ব থেকে এখন যতটা সহজ শর্তে ঋণ পায়, উন্নয়নশীল দেশ হলে সেটি পাওয়া যাবে না। দ্বিতীয়ত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডার বাজারে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি) পাওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি হবে। পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হলে সুযোগের ক্ষেত্রে যে বৈষম্য রয়েছে, তা দূর করতে হবে। মানুষকে কেন্দ্র করেই প্রবৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। ভাবতে হবে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীকে নিয়ে।
জানা গেছে, গত ২২ জানুয়ারি গণভবনে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এলডিসি উত্তরণের বিষয়টি অবহিত করা হয়। একই সঙ্গে এ অর্জনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপনের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। পরবর্তীতে ২০ মার্চ থেকে সপ্তাহব্যাপী উৎসব উদযাপন কর্মসূচী পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এরই অংশ হিসেবে দেশ গঠনে অসামান্য অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে আগামী ২২ মার্চ। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের তত্ত¡াবধানে এদিন সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে উত্তরণ আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি থাকবেন। প্রধানমন্ত্রীর হাতে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পত্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে। এতে জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে স্মারক ডাক টিকিটও উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে বিদেশিদেরও। ওই দিন বেলা ৩টায় ঢাকার চার স্থান থেকে একযোগে বের করা হবে শোভাযাত্রা। সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে থাকছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ভিডিও কনফারেন্সে এটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। আতশবাজি ও লেজার শো’ও থাকবে এতে।
এছাড়া সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ, উন্নয়ন সহযোগী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও, সিভিল সোসাইটি, দেশি-বিদেশি বরেণ্য ব্যক্তিকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার সাফল্য অর্জনের কর্মসূচি হিসেবে ২০ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী সরকারের সব বিভাগের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি পালন করা হবে। এ সময়ে দেশের সব এনজিও, বেসরকারি সংস্থা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প-কারখানায় মালিক-শ্রমিক সাফল্য উদ্যাপন উৎসব করবে। এতে থাকবে শ্রমিকদের মধ্যে ভালো খাবার পরিবেশন করার পাশাপাশি পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নকরণ। এর বাইরে সারা দেশে রোডশো হবে।
২৩ মার্চ সকাল ১০টায় হোটেল রেডিসন বøুতে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করা হবে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র ও রেডিসন বøু হোটেলে পালিত হবে মূল কর্মসূচি। এদিন সন্ধ্যায় হাতিরঝিলে হবে লেজার শো।
উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের জন্য ঢাকা শহরকে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হবে। এ স্তরে উত্তরণে বাংলাদেশের কর্মপ্রচেষ্টা নিয়ে তথ্যচিত্র দেখানো হবে। প্রকাশ করা হবে স্মরণিকা। দেশি-বিদেশি অর্থনীতিবিদ, সুশীল সমাজ, উন্নয়নকর্মী ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। পরে একই স্থানে বিশেষজ্ঞ আলোচকদের নিয়ে মতবিনিময়ের আয়োজন করা হবে।
পরদিন থেকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে থাকছে সেমিনার, চিত্র প্রদর্শনী, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ নানা আয়োজন। ব্যানার-ফেস্টুনসহ নানাভাবে সাজসজ্জা এবং গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চালানো হবে এ উৎসবের প্রচার। তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে গণমাধ্যমেও থাকবে নানা আয়োজন।
এসব অনুষ্ঠান চলবে ২৬ মার্চ অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবস পর্যন্ত। সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের এ বার্তা সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা, অধিদফতর, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এমনকি ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারিভাবে পাঁচ দিনব্যাপী উৎসব আয়োজন করা হলে তা হবে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম উদযাপন।
এছাড়া ঢাকা শহরকে চারটি জোনে ভাগ করে নির্দিষ্ট পয়েন্ট থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ স্ব স্ব উদ্যোগে এ র‌্যালি বের করবে এবং রাজধানী প্রদক্ষিণ করবে। সন্ধ্যাকালীন কর্মসূচিতে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়া এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এতে সমবেতরা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। অনুষ্ঠানে ৫-৭ মিনিটের একটি লেজার শো এবং ১০-১২ মিনিটের একটি ফায়ার ওয়ার্কস পরিবেশিত হবে। পুরো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে দুই ঘণ্টাব্যাপী।
২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালে উন্নত দেশের কাতারে যেতে চায় বাংলাদেশ। তবে আরও ছয় বছর এলডিসির সুযোগ-সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। এই ছয় বছরের মধ্যে তিন বছর করে দুই টার্ম বাংলাদেশকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের বিষয়ে জানতে চাইলে এ বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক অর্থনীতিবিদ খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেছেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে সরাসরি কোনো লাভ পাওয়া যাবে না। তবে উত্তরণের পর বাংলাদেশ সম্পর্কে বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন হবে। বিষয়টি নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য সহায়ক হতে পারে। তিনি জানান, বাংলাদেশের অগ্রগতি যেভাবে আছে, তার কোন বড় ধরনের ব্যত্যয় না ঘটলে ২০২৪ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হবে। এটি যেমন মর্যাদার তেমনি এর সঙ্গে বেশ কিছু অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ যুক্ত হবে। দেখার বিষয়, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ কতটা দক্ষতার পরিচয় দিতে সক্ষম হয়। এটা ঠিক, এই স্বীকৃতির বড় বিষয় মর্যাদার। বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে, এটি তারই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতি এখনো পুরোপুরি শিল্পায়িত হয়নি। এই পরিপ্রেক্ষিতে রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণের পাশাপাশি আমাদের পরিস্থিতিনির্ভর অর্থনীতি থেকে উৎপাদনশীলতানির্ভর অর্থনীতির দিকে যেতে হবে। প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অর্জনের জন্য আমাদের প্রযুক্তির আধুনিকায়ন, দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
সেইসঙ্গে অবকাঠামোসহ ব্যবসায় পরিবেশ সক্ষমতা, বন্দর সক্ষমতাও বাড়াতে হবে। যাতে শুল্কমুক্ত সুবিধা না পেলেও পণ্যের দাম ঠিক রেখে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বজায় রাখা যায়।
তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর অর্থনীতিতে এগিয়ে নিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। উৎপাদন ও প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বাড়াতে হবে। নতুন শিল্পায়ণ ও নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে। পণ্যের বহুমূখিকরণ করতে হবে। প্রাইমারি ও মাধ্যমিক শিক্ষা উন্নয়নে মনোযোগী হতে হবে। সবচেয়ে জরুরি সুশাসন নিশ্চিত করা। না হলে সুযোগ ব্যাহত হবে।
এদিকে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরই একটি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০১০-২১ প্রণয়ন করে। সেখানে রয়েছে ২০২১ সাল নাগাদ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার আকাক্সক্ষার কথা বলা হয়েছে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের লক্ষ্য মাথাপিছু আয় ২হাজার ডলার করা। সরকারের পরিকল্পনায় আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে বিশ্বের ২৩ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে এই অবস্থান ৩৮ তম। সিটি গ্রæপের বিবেচনায়ও ২০১০ হতে ২০৫০ কালপর্বে বিশ্বের যে ১১টি দেশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে শীর্ষ পর্যায়ে থাকবে বাংলাদেশ তাদের মধ্যে অন্যতম। বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে জেপি মরগানের ফ্রন্টিয়ার ফাইভ তালিকাতেও স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিকমানের রেটিং এজেন্সির সার্বভৌম ঋণমান মূল্যায়নে বাংলাদেশ সন্তোষজনক ঋণমান বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।



 

Show all comments
  • মারিয়া ১৮ মার্চ, ২০১৮, ৩:৪০ এএম says : 2
    খুব ভালো খবর
    Total Reply(0) Reply
  • তামান্না ১৮ মার্চ, ২০১৮, ৩:৪০ এএম says : 0
    আমাদের মত সাধারণ মানুষ কেন আছে সেটা একটু খোঁজ নেয়া উচিত।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohon S Khan ১৮ মার্চ, ২০১৮, ১১:৩৬ এএম says : 0
    Choto belay porchi Bangladesh is a developing country tahole seta ki vul chilo
    Total Reply(0) Reply
  • Jasim Uddin ১৮ মার্চ, ২০১৮, ১১:৩৭ এএম says : 0
    এবার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত হতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • রাসেল ১৮ মার্চ, ২০১৮, ৩:২৮ পিএম says : 0
    শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আরো অনেক এগিয়ে যাবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ