পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সিরিয়ার পূর্ব ঘৌতায় শুক্রবার রাশিয়া ও আসাদ বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৬১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকাটির একটি জনাকীর্ণ বাজারে বিমান হামলায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। সিরিয়ার স্বেচ্ছাসেবী বেসরকারি উদ্ধারকারী সংস্থা হোয়াইট হেলমেটস এ বিমান হামলা ও হতাহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর। হোয়াইট হেলমেটস জানিয়েছে, পূর্ব ঘৌতার কাফর বাতনা শহরে চালানো ওই হামলায় ৬১ জন বেসামরিক নিহত হয়েছেন। আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, কাফর বাতনার প্রধান মার্কেট লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। এদিকে তীব্র মানবিক বিপর্যয় আর অবিরাম বোমা বর্ষণের কারণে সিরিয়ার পূর্ব ঘৌটা থেকে ৫০ হাজারের বেশি বাসিন্দা পালিয়ে গেছেন। অবিরাম ছুঁড়তে থাকা বোমা আঘাতে প্রাণ হারানোর চেয়ে শেষ চেষ্টা হিসেবে সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করছেন বাসিন্দারা। এর মধ্যেই বোমা হামলায় প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকে। বিদ্রোহীদের হাত থেকে পুনরুদ্ধারের নামে সিরীয় সরকারি বাহিনীর অবিরাম বোমা বর্ষণ আর অবরোধের মুখে পূর্ব ঘৌটায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় সেখান জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে আসলেও সিরিয়া মানছে না। এক্ষেত্রে সিরীয় সরকারকে সামরিক ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। চলতি সপ্তাহে অষ্টম বছরে পা দিয়েছে সিরিয়ার বহুপক্ষীয় যুদ্ধ। এরই মধ্যে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ এ যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে, বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখের বেশি মানুষ। এ মুহূর্তে দেশটিতে দুটি অঞ্চলে বড় লড়াই চলছে। পূর্ব ঘৌতার নিয়ন্ত্রণ নিতে সরকারি বাহিনী গত মাসে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। অন্যদিকে জানুয়ারিতে কুর্দি বিদ্রোহীদের অপসারণে আফ্রিনে হামলা শুরু করে তুরস্ক। উভয় অঞ্চলেই কয়েক লাখ মানুষ যুদ্ধক্ষেত্রের ভেতরে আটকা পড়ে আছে। অবজারভেটরি জানায়, পূর্ব ঘৌতায় বিমান হামলায় গতকাল কফর বাতনা শহরে অন্তত ৩৩ জন এবং সাকবায় আরো অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। রাশিয়ার বিমান থেকে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে। এদিকে গত শুক্রবার সকালে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ জন সিরীয় ঘৌতা ত্যাগ করেছে বলে রুশ সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ১২ হাজারের বেশি মানুষ এ অঞ্চল ত্যাগ করে বলে রাশিয়া দাবি করে। অপরদিকে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে হাজার হাজার নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার নারী-শিশু, তাদের আত্মীয়স্বজন, প্রত্যক্ষদর্শী, আইনজীবী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে ৪৫৪টি সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন জাতিসংঘের কমিশন অব ইনকয়ারির তদন্তকারীরা। অসংখ্য নারী-শিশু-কিশোরী এমনকি ছেলেদেরকে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন করেছে সিরিয়ার সরকারি ও মিত্রবাহিনী। ২৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে জাতিসংঘ তদন্তকারীরা বলেন, সিরিয়ায় যুদ্ধের বিভিন্ন পক্ষ অব্যাহতভাবে ভয়াবহ এ ধর্ষণকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। রয়টার্স, বিবিসি, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।