মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে বিশ্বে চলমান শঙ্কায় নতুন মাত্রা যোগ করল যুক্তরাষ্ট্র। এবার ভারতের রফতানি ভর্তুকি নিয়ে দেশটির বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর)। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, ভারতের এ ধরনের কর্মসূচির কারণে প্রতিযোগিতার ‘অসম’ ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে; যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মার্কিন কর্মীরা। অন্যদিকে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলার বাণিজ্য উদ্বৃত্ত কমাতে চাপ দেয়া হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে এশিয়ার দুই বৃহত্তম অর্থনীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণাত্মক মনোভাব আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ভারতের বিরুদ্ধে ডব্লিউটিওতে উত্থাপিত নালিশে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, দেশটির কমপক্ষে অর্ধডজন কর্মসূচি রয়েছে, যেগুলো রফতানিকারকদের বিশেষ আর্থিক সুবিধা দিয়ে থাকে। প্রাপ্ত আর্থিক সুবিধার কারণেই মার্কিন কর্মী ও ম্যানুফ্যাকচারারদের ক্ষতি করে সস্তায় পণ্য বিক্রি করতে পারেন ভারতীয় রফতানিকারকরা। যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি রয়েছে ভারতের এমন কার্যক্রমগুলো হচ্ছে- মার্চেন্ডাইস এক্সপোর্টস ফ্রম ইন্ডিয়া স্কিম, এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড ইউনিটস স্কিম এবং নির্দিষ্ট কিছু খাতের জন্য নির্ধারিত স্কিম (এর মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিকস হার্ডওয়্যার টেকনোলজি পার্কস স্কিম, স্পেশাল ইকোনমিক জোনস, এক্সপোর্ট প্রমোশন ক্যাপিটাল গুডস স্কিম ও ডিউটি ফ্রি ইমপোর্টস ফর এক্সপোর্টার্স প্রোগ্রাম)। ইউএসটিআরের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসব কর্মসূচির আওতায় নির্দিষ্ট শুল্ক, কর ও ফি থেকে রফতানিকারকদের অব্যাহতি দেয় ভারত। ইস্পাতপণ্য, ফার্মাসিউটিক্যাল, কেমিক্যাল, তথ্যপ্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট পণ্য, বস্ত্র ও পোশাক খাতের রফতানিকারকরা এসব কর্মসূচি থেকে সুবিধা পেয়ে আসছেন। এএফপির হাতে আসা মার্কিন প্রশাসনের কিছু গোপন নথিতে দেখা গেছে, মৌলিক নীতিমালা ভঙ্গকারী সদস্য দেশগুলোকে শাস্তি দেয়ার লক্ষ্যে ডব্লিউটিওতে সংস্কার আনার প্রস্তাব করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির এ পদক্ষেপ স্পষ্টতই চীনকে লক্ষ্য করে। কারণ ট্রাম্প প্রশাসন শুরু থেকেই বলে আসছে, চীন বাজার অর্থনীতির দেশ নয় এবং এটি বহুপক্ষীয় সংস্থা ডব্লিউটিওর সদস্য হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। এদিকে ভারত সরকারের নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, ভারতের এসব কর্মসূচি থেকে দেশটির কয়েক হাজার কোম্পানি বছরে ৭০০ কোটি ডলারের আর্থিক সুবিধা পাচ্ছে। ইউএসটিআর বলছে, রফতানিতে ভর্তুকি একটি নিয়মবহির্ভূত প্রতিযোগিতা সুবিধা পাইয়ে দেয়। পিটিআই, এএফপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।