Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহবান

আবু মালিহা | প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সাম্প্রতিক কালে ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংসতম জাতিগত দাঙ্গা শুরু হয়েছে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীদের উপর। যার চিত্র এবং রিপোর্ট বিভিন্ন দেশীয় এবং আর্ন্তজাতিক চ্যানেল গুলোর মাধ্যমে অত্যন্ত করুণভাবে প্রদর্শিত হচ্ছে। যা দেখলে কোন বিবেকবান মানুষ আর স্থির থাকতে পারে না। এমনই ভয়াবহ দৃশ্য দেখতে হচ্ছে গোটা বিশ্বকে বোবা এবং নির্বাক চাহনীতে। বিশেষ করে মুসলিম বিশ্ব আজ নির্বাক ও হতবুদ্ধি হয়ে আছে যেন! এ কোন বিশ্বে আমরা বসবাস করছি। হায়েনাদের নৃশংসতাকেও হার মানিয়েছে মায়ানমারের মগ সেনা ও পুলিশের কর্মকান্ডে। মনে হচ্ছে যেন এরা মানুষ মারছেনা যেন হিংস্র পশুদের তাড়া করছে এবং জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিচ্ছে। হায় মানবতা! মজলুম মনুষ্য জাতির উপর এ কেমন বর্বরতা। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে টেকনাফ ও উখিয়া পার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কক্সবাজারের উপকূল এলাকায় এসে আশ্রয় নিচ্ছে। যদিও ইতোমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশ সাড়া দিচ্ছে এবং ত্রান বহর পাঠাচ্ছে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের সাহায্যার্থে। আমরা বিশ্বের মুসলিমরা অসহায়ের মত তাকিয়ে আছি! যেন তাদের কিছুই করার নেই। মুসলিম বিদ্বেষীদের কাছে যেন অসহায়ের মত আত্মসমর্পণ করে আছে মুসলিম বিশ্ব! তবুও এরই মধ্যে তুরস্ক, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া সহ অনেক দেশই সাড়া দিচ্ছে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পক্ষে। কুটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে মায়ানমার সরকারকে এ সমস্ত নিপীড়ন থেকে বিরত রাখার জন্য বাংলাদেশ সহ আরো অনেক দেশ তৎপর হচ্ছে তাদেরকে চাপ দিয়ে সমস্যার সমাধানের জন্য। এবং জাতি সংঘ সহ সকল দেশের সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে খবরে প্রকাশ। তবে এ প্রসঙ্গে একটু বলা দরকার যে, রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন সাম্প্রতিক সময়েই শুধু ঘটে নাই। অনেক আগে থেকেই তাদের উপর এ ধরনের নির্যাতন হচ্ছে। এর সূত্রপাত অনেক আগে থেকে শুরু হলেও বৃটিশ শাসনের সময়ে এ বিষয়টিকে আরো উস্কিয়ে দিয়েছিল ইংরেজরা। তৎকালীন সময়ে বার্মার জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের শ্লোগান ছিল ‘‘বার্মা বর্মীদের জন্য (Barma of the Burmese) ’’ কিন্তু বৃটিশ সরকার একে প্রচার করে ’’বার্মা বৌদ্ধ ধর্মাম্বলীদের জন্য (Barma For the buddist Barmas)’’। একই সাথে বৃটিশ সরকার প্রচার করলো বার্মার মুসলমানরা হলো বহিরাগত (Burmese Muslims are foreign immigrants of Kalas) বৃটিশ সরকার এ নীতি মুসলমানদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে তুলে। যা অতীতে কখনো ছিলনা। মুসলিম নেতৃবৃন্দ ১৯৪৬ সালের সংবিধানে বার্মায় বসবাস করা মুসলমানদের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখার লক্ষ্যে রেঙ্গুনস্থ বৃটিশ জেনারেলের কাছে আবেদন জানান। তখন দ্বায়িত্বে ছিলেন স্যার এটলী। কিন্তু সরকার এতে কর্ণপাত করেননি। এমনকি মুসলিম নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাৎ পর্যন্ত দেননি।....ফলে, বার্মার জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মধ্যে একটি বৌদ্ধ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। উল্লেখ্য, ১৯৩০ সালের বর্মী ভাষার দ্বন্ধ, ১৯৩৮ সালের বৌদ্ধ মুসলিম দাঙ্গা, ১৯৪৮ সালে আরাকানের নৃসংশ রোহিঙ্গা হত্যা প্রভৃতি বৃটিশ সরকারের সৃষ্ট বৌদ্ধ সাম্প্রদায়িকতার ফলশ্রুতি।”(সূত্র: রোহিঙ্গা জাতির ইতিহাস, পৃষ্ঠা-১১৫) তারই রেশ এখনো চলছে। তবে এর মাত্রা বহুগুণে বেড়ে গেছে। অন্তত আজকের দিনে এসব তো হওয়ার কথা ছিল না, যেখানে মানবাধিকার নিয়ে অনেক বড় বড় কথা হয়, মানবাধিকার রক্ষায় এবং ঘৃন্য মানবাধিকার লংঘনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার জন্য। কিন্তু কি হচ্ছে বার্মায়! এই কী মানবতার সংজ্ঞা। এখন পর্যন্ত চীন এবং ভারত মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। সাম্প্রতিক কালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি মায়ানমার সফর করে এলেন, সবার প্রশ্ন তিনি কী আরো উস্কে দিলেন! জাতিগত দাঙ্গা বাড়াতে! এ যেন আগুনে ঘি ঢালার মতই। কিন্তু তাদের স্মরণ করা উচিত স্বামী বিবেকানন্দের ভাষায়,-‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।’-এ কথাগুলো বিবেককে নাড়া দিলে কখনো মানবতার বিরুদ্ধে ঘৃন্য তৎপরতায় কেউ সহযোগিতা করতে পারে না, কেননা এর চেয়ে বড় মানবতা বিরোধী অপরাধ আর কিছুতেই নেই।
বর্তমান বিশ্বে মুসলিমদের আজ বড় দুর্দিন। দেশে দেশে মুসলিম নির্যাতন অহরহই হচ্ছে এবং এর বিস্তৃতি দিন দিন বাড়ছে। আমরা মুসলিম বিশ্ব এগুলো এখন না দেখার মতই যেন চলছে। কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই! নেই উদ্বেগ উৎকন্ঠা এবং কোন প্রতিকারের ব্যবস্থা। এটা যেন একটা গা সওয়া হয়ে ব্যাপার দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিককালে নির্যাতনের সর্বশেষ নজির স্থাপন করেছে মায়ানমার সরকার। রাখাইন প্রদেশের বিভিন্ন রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় জাতিগত দাঙ্গায় অসংখ্য মুসলিমদের মৃত্যুপুরিতে পাঠিয়ে দিয়েছে এবং কঠোর নির্যাতনের মাধ্যমে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে অসংখ্য মুসলিম নারী, শিশু, বৃদ্ধ, যুবক যুবতী সহ অনেকেই। এ যেন জুলুমের মহোৎসব চলছে। অথচ অবিসংবাদিত নেত্রী হিসাবে পরিচিত গণতন্ত্রের জন্য সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অং সাং সূচি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করে মানবতার জন্য শান্তিতে নবেল পুরস্কার পেয়েছেন! বিভিন্ন পত্রিকার রিপোর্ট এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সুবাদে এমন সংবাদ আসছে যে, এ সমস্ত জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে তার হাত রয়েছে! টু শব্দটি ব্যবহার করছেন না। প্রকারান্তরে আন্তর্জাতিক মিডিয়া বলে বেড়াচ্ছেন তা মায়ানমারের অভ্যন্তরিন বিষয়।
অন্যদের নাক গলাবার কিছু নেই। পত্র পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী ৫০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। ৩৫ হাজারেরও বেশী মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে। প্রায় ১০০০টি গ্রাম জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করা হয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রায় ৫ লাখেরও অধিক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে এবং নাফ নদীতে নৌকা ডুবিতে অনেকে প্রাণ হারিয়েছে। এখন এসব সে দেশের নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। বিশ্ব যেন এসব দেখেও না দেখার ভান করছে। যদিও ইন্টারন্যাশনাল সহ কিছু কিছু মানবতাবাদী সংস্থাগুলো কিছু প্রতিবাদ ও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে, এ যেন কারো বিবেককে নাড়া দেয়ার মতো কোন আলোড়ন নয়। যাই হোক, বাস্তবতা হলো মুসলিম নির্যাতন অহরহই ঘটছে, তার একমাত্র কারণ হলো, এরা মুসলিম। এটাই যেন এদের একমাত্র অপরাধ! এর কোন অন্য সংগা নেই। মুসলিম হিসাবে জন্ম নিয়েছে, এইতো বেশ ......আর কী চাই। তোমার জন্য নির্যাতনই একমাত্র পাওনা। বিস্ময়ে হতবাক হতে হয় বিশ্ব বিবেককে দেখে! কোথায় মানবতাবাদী গোষ্ঠীদের বড় বড় মোড়লেরা। অন্য কোন ধর্মের মানুষের উপর ছিটে ফোটা আঘাত না ঘটতেই যেখানে তাদের রা রা শব্দে বিশ্ব প্রতিবাদের ঝড় তোলে। সেখানে আজ তাদের মুখে কুলুপ আঁটা কেন! কে তাদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে। মুসলিমদের নিয়তিই যেন আজ তাদের দুর্ভাগ্য জাতিতে পরিণত করেছে। কোথায় মুসলিম বিশ্ব! কোথায় তাদের ঐক্যবদ্ধ চেতনা, কোথায় ঙ ও ঈ-আজ দিকে দিকে মুসলিম জনপদগুলো যেন দিক ভ্রান্ত, বিপর্যস্ত। কোথাও যেন তাদের দাঁড়াবার স্থান নেই। কারো কাছে যেন ফরিয়াদ জানাবার লোক নেই। এহেন দিকভ্রান্ত মুসলিমদের কেন এ দশা। এখনও কি মুসলিমদের সম্বিৎ ফিরে আসবে না, এ প্রশ্ন আজ বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দের কাছে। আমরাও জাতীয় কবির ভাষায় বলতে চাই “আল্লাহতে যার পূর্ণ ঈমান/ কোথা সে মুসলমান।
”মিডিয়ার বদৌলতে আরাকানে মুসলিমদের নির্যাতনের চিত্র দেখে কোন মুসলমান স্থির হয়ে বসে থাকতে পারে না। তারা এখন মুসলিম নির্যাতনে বিশ্ব সেরা হয়েছে। আরাকানে এককালের মুসলিম সভ্যতা ও ঐতিহ্যের মূলে কুঠারাঘাত করে সেখানে মুসলিমদের বধ্য ভ‚মিতে পরিণত করে বিরান করে চলেছে। তথাকথিত মানবতা বাদী এবং গণতন্ত্রের ধ্বজাধারীদের ধিক্কার! বর্ণবাদী এসমস্ত গোষ্ঠীদের নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে হলে আজ মুসলিম ঐক্য গড়ার কোন বিকল্প নেই। মুসলিমতো বিশ্বে মার খেতে আসে নাই, বরং মানবতা প্রতিষ্ঠায় বিজয়ী হতে এসেছে। অথচ ঐক্যের অভাবে আজ আমরাই পদ দলিত, মানবতা বিরোধী নির্যাতনে জর্জরিত। এ দুঃখের এবং নির্যাতনের অবসান কবে হবে! এ প্রশ্ন আজ গোটা মুসলিম বিশ্বের। তবে কথা হচ্ছে-হঠাৎ করে মায়ানমারের অহিংস বৌদ্ধ সম্প্রদায় সহিংস হয়ে উঠলো কেন! কী তাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য! এ ধরনের জাতি গত দাঙ্গায় মেতে উঠলো কোন কারণে। অহিংসবাদীতার এ কোন ধস শুরু হল তাদের। অহিংস আবরনের আড়ালে এ কেমন সহিংস অগ্নৎগীরন! কেন তাদের এ নৈতিক অধপতন! এবং কারাই বা তাদের এ ব্যাপারে উৎসাহিত করলো ! কিন্তু এর কী কোন কারণ উদঘাটন করতে পেরেছে। পারলেও হয়তো বা তাদের স্বার্থ বিরোধী হওয়ায় এবং গুমড় ফাঁক হওয়ার লক্ষ্যে ঘটনার কার্যকারণ চাপা দিয়ে রেখেছে। কেননা ষড়যন্ত্রের গভীরে রয়েছে মুসলিম বিদ্বেষ! এটাই বাস্তবতা ! তবে আমরা মানবতার স্বার্থে এ সমস্ত সংকীর্ণ মানসিকতার উর্দ্ধে উঠতে হবে সকল মানুষকে। কেননা আবারও সেই জাতীয় কবির উদ্ধৃতি, ‘গাহি সাম্যের গান/ মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই/ নহে কিছু মহীয়ান’। তাই প্রকৃত সত্য-হচ্ছে, মানুষ কে ভালবাসতে হবে এবং মানুষের কল্যানেই কাজ করতে হবে। কেননা ইসলাম মানুষকে মানবতাবাদী হতে শিক্ষা দেয়। বিশেষ করে আমরা যারা মুসলমান, এ সমস্ত জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে এবং সকল মানুষের ইজ্জ্বত-সম্মান রক্ষা করতে হবে। এবং জুলুম কে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। কেননা, একবার মানবতার আদর্শ রসুল (স:) সাহাবাদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন যে, ‘তোমরা জুলুমকারী এবং মজলুম কে সাহায্য করো, সাহাবারা বললেন ইয়া রাসুলুল্লাহ (স:) মজলুম কে না হয় সাহায্য করা বুঝলাম কিন্তু জালিমকে কী ভাবে সাহায্য করবো। তিনি, বললেন জালিমের হাতকে কঠোর ভাবে ধরাই হলো জালিম কে সাহায্য করা।”এখন আমাদের সময় এসেছে রসুল (স:) এর নির্দেশনা অনুযায়ী জালিমের হাতকে কঠোর ভাবে ধরা। বর্তমানে গোটা বিশ্ব ব্যাপী বিপন্ন মানুষ গুলোর পক্ষে দাড়ানো এবং বিশ্ব ব্যাপী জুলুম নির্যাতনের অবসান ঘটানো। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারকেও বলবো, আসুন মানবতার পক্ষে দাঁড়ান, তাদের কে তাড়িয়ে দিবেন না। প্রথমত, এরা আমাদের মুসলিম ভাই-বোন। সর্বোপরি মানুষ। এদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার পক্ষে কাজ করুন। কেননা মানবতার পক্ষে খুব বেশী শ্লোগান দেওয়া হচ্ছে! অথচ মানুষগুলোকে আশ্রয় না দেয়া, এবং আবারও কঠিন জুলুমের দিকে ঠেলে দেয়ার মত চরম মানবতা বিরোধী অপরাধ আর হতে পারে না। তাই আসুন, মায়ানমারের সামরিক জান্তার মুসলিম নির্যাতনের ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী এবং মানবতাবাদী বিশ্ব নেতৃবৃন্দের এ ব্যাপারে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য অনুরোধ করছি। বর্তমান সময়ে নির্যাতিত মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের পক্ষে বাংলাদেশের সরকার দৃঢ় পদক্ষেপ নিবে বাংলাদেশেরে জনগণ এই প্রত্যাশা করে।
পাশাপাশি মানুষ হিসাবে মানুষের প্রতি দ্বায়িত্ববোধ থেকে আমরা সচেতন হই এবং মানবতার প্রতি জুলুম ঠেকাতে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের মর্যাদাকে সর্বোচ্চে তুলে ধরি। তবেই ধরিত্রী মানবতার জয়গানে গেয়ে উঠবে। প্রকৃত পক্ষে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের বিশ্ববাসীকে অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে, নতুবা এ সংকটের সমাধান সুদুর পরাহতই থাকবে। এ ব্যপারে কোন সন্দেহ নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ