চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
৮৬ বছরে ১ মিনিটের জন্যও কোরআন তেলাওয়াত বন্ধ হয়নি যে মসজিদে
টাঙ্গাইলের নবাব প্যালেস মসজিদে ১৯২৯ সাল থেকে ২৪ ঘণ্টা তেলাওয়াত হচ্ছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এখনো ১ মিনিটের জন্য বন্ধ হয়নি কোরআন তেলাওয়াত। মোগল স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত মসজিদটির আকার-অবয়বে বেশ ক’বার পরিবর্তন করা হয়েছে। তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদে লাগোয়া সুদৃশ্য ও জাঁকজমকপূর্ণ একটি মিনার রয়েছে। মসজিদকে কেন্দ্র করে মানত প্রথা প্রচলিত রয়েছে। মসজিদটি প্রায় ১০ কাঠা জমির ওপর অবস্থিত। আদি মসজিদটি ছিল আয়তাকার। তখন এর দৈর্ঘ্য ছিল ১৩ দশমিক ৭২ মিটার (৪৫ ফুট) এবং প্রস্থ ছিল ৪ দশমিক ৫৭ মিটার (১৫ ফুট)। কিন্তু সংস্কারের পর মসজিদটির আকার রীতিমতো বদলে যায়। প্রচলিত নিয়মে এ মসজিদের পূর্বদিকের তিনটি প্রবেশপথ বরাবর এর অভ্যন্তরে কিবলা দেয়ালে তিনটি মেহরাব নির্মিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় মেহরাবের কুলুঙ্গিটি অষ্টভূজাকার ও বহু খাঁজবিশিষ্ট খিলান সহযোগে ফুলের নকশায় অলঙ্কৃত। উভয় পাশের দুটি ও বহু খাঁজবিশিষ্ট খিলানযোগে গঠিত তবে অলংকারহীন। মসজিদের অভ্যন্তরভাগ সর্বত্র চীনামাটির টুকরা দ্বারা মোজাইক নকশায় অলংকৃত। মসজিদসংলগ্ন অর্ধবিঘা আয়তনের অনুচ্চ প্রাচীরবেষ্টিত একটি প্রাচীন কবরস্থান রয়েছে। কবরটি নওয়াব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর মাজার। পাশে সৈয়দ নওয়াব আলীর আত্মীয়দেরও বেশ কয়েকটি কবর রয়েছে, যা মূল কম্পাউন্ডের বাইরে। বর্তমানে এটি একটি বর্গাকৃতির মসজিদ এবং সাধারণ তিন গম্বুজবিশিষ্ট আয়তাকৃতির মোগল মসজিদের সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। সংস্কারের পর বর্তমানে এর অনেক বৈশিষ্ট্যই ভিন্ন আঙ্গিক গ্রহণ করেছে এবং সেই সাথে এর প্রাচীনত্ব লুপ্ত হয়েছে এবং চাকচিক্য অনেক বেড়েছে। সুন্দর কারুকার্যময় এ মসজিদের পূর্বদিকে বহু খাঁজবিশিষ্ট খিলানযুক্ত তিনটি প্রবেশপথ, এ ছাড়া উত্তর ও দক্ষিণে আরো একটি করে সর্বমোট পাঁচটি প্রবেশপথ রয়েছে। মসজিদটি বর্ধিতকরণ ও সংস্কার সাধনের পরও এর ওপরস্থ তিনটি গম্বুজ ও পাঁচটি প্রবেশপথে প্রাচীনত্বের ছাপ লক্ষ করা যায়। প্রচলিত নিয়মে এ মসজিদের পূর্বদিকের তিনটি প্রবেশপথ বরাবর এর অভ্যন্তরে কিবলাদেয়ালে তিনটি মিহরাব নির্মিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় মিহরাবের পাশে একটি মিম্বার রয়েছে। মসজিদের অভ্যন্তরভাগ সর্বত্র চীনামাটির টুকরা দ্বারা মোজাইক নকশায় অলংকৃত, যার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফুলের নক্শা লক্ষণীয়। মসজিদসংলগ্ন অর্ধবিঘা আয়তনের অনুচ্চ প্রাচীরবেষ্টিত একটি প্রাচীন কবরস্থান রয়েছ। বিস্ময়কর হলেও সত্য ১৯২৯ সাল থেকে ২৪ ঘণ্টা তেলাওয়াত হচ্ছে এই মসজিদে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এখনো ১ মিনিটের জন্য বন্ধ হয়নি কোরআন তেলাওয়াত। বর্তমানে এখানে সাতজন ক্বারি নিযুক্ত রয়েছেন। ২ ঘণ্টা পর পর একেকজন কোরআন তেলাওয়াত করে থাকেন। ৮৬ বছর ধরে এই বিষয়টি হয়ে আসছে। এটি বিশ্বের বুকেও একটি বিরল ঘটনা। এ মসজিদে একসঙ্গে ২০০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।
ইসলামী আন্দোলন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, দেশের মানুষ শান্তি ও মুক্তি চায়। ঈমান ও আমলের নিরাপত্তা চায়। বাঁচার মতো বাঁচতে চায়। আর বর্তমান শাসনব্যবস্থা মানুষের চাহিদা পূরণে ও শান্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ‘মানবতার স্থায়ী শান্তি ও সার্বিক মুক্তির লক্ষ্যে মানুষ ঈমান ও ইসলাম নিয়ে বাঁচতে চায়। নিরাপদে বসবাস, ব্যবসা-বাণিজ্য, চলাফেরা করতে চায়। হয়রানি থেকে মুক্ত থাকতে চায়। সন্তানরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ চায়। ন্যায়বিচার ও সুশাসন চায়। অবাধ-সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। ইজ্জত-আব্রæর নিরাপত্তা চায়। চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ ও দখলদারিত্বমুক্ত বাংলাদেশ চায়। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও কায়েমি স্বার্থবাদের মূলোৎপাটন করে দেশে ইসলামী সমাজ গঠনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা কর্মীদের আগামী সংসদ ও সিটি নির্বাচনে অগ্রানী ভুমিকা পালন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যেভাবে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, গুম, খুন, ব্যাংক লুটের মতো ঘটনা ঘটেছে; দেশ ও মানবতাবিরোধী কর্মকাু পরিহার করে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও দুঃশাসনমুক্ত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে আরেকটি ভয়াবহ উপসর্গ হলো, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস। যা জাতিকে মেধাশূন্য করার বিশাল ষড়যন্ত্র। বরিশালের চরমোনাইতে বিভিন্ন পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমান দূরাবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সকলকে ইসলামে ফিরে আসতে হবে।
-প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।