পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে মুসলিমবিদ্বেষী চিঠি ছড়িয়ে পড়েছে। একই ধরনের চিঠি দিয়ে প্রচারণা চলছে অনলাইনেও। চিঠিতে ৩ এপ্রিল মুসলমান স¤প্রদায়ের মানুষের ওপর বিভিন্ন ধরনের হামলা ও নিপীড়নের আহŸান জানানো হয়েছে। এ নিয়ে যুক্তরাজ্যজুড়ে সংখ্যালঘু মুসলিম স¤প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। প্রেরিত চিঠিকে ‘বিদ্বেষের প্রতিনিধি’ বলে আখ্যা দিয়েছে পুলিশ। এরইমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তাদের সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট। মুসলিম বিদ্বেষ পর্যবেক্ষণে নিয়োজিত একটি সংস্থার দাবি, এর সঙ্গে স্থানীয় একটি চিঠি-পার্সেল আদান-প্রদান সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের সংযোগ রয়েছে।
৩ এপ্রিলকে ‘পানিশ অ্যা মুসলিম ডে’ ঘোষণা করে বিদ্বেষপ্রসূত চিঠিটি ছাড়া হয়েছে। ইংল্যান্ডের লন্ডন, ইয়র্কশায়ার ও মিডল্যান্ড এলাকার বাসিন্দারা এ ধরনের চিঠি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। অনলাইনে একই ধরনের একটি চিঠি ছড়ানো হয়েছে এ-ফোর সাইজ কাগজের ছবিতে। ছড়িয়ে পড়া চিঠিতে মুসলিম স¤প্রদায়ের ওপর মৌখিক আক্রমণ, নারীর হিজাব খুলে ফেলা, শারীরিক আঘাত, মসজিদে হামলা ও অস্ত্র হিসেবে এসিড ব্যবহারের মাধ্যমে সহিংসতা ঘটানোর আহŸান জানানো হয়েছে। পয়েন্ট দিয়ে এসব কর্মকাÐের পর্যায়ক্রমিক তালিকা তৈরি করে চিঠিতে বলা হয়েছে, সহিংসতায় অংশ নিলে পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকবে। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া চিঠিতে পূর্ববর্তী বেশ কিছু মুসলিমবিরোধী বিদ্বেষমূলক কর্মকাÐের বিবরণ হাজির করা হয়েছে। কেন এসব কর্মকাÐ সংঘটিত হয়েছে, তার ব্যাখ্যাও জুড়ে দেওয়া হয়েছে এতে।
দেশব্যাপী মুসলিমবিরোধী চিঠি ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাজ্যের কাউন্টার টেরোরিজম কর্মকর্তারা। প্রেরিত চিঠিকে ‘বিদ্বেষের প্রতিনিধি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তারা। পশ্চিম ইয়র্কশায়ার পুলিশ বলছে, তাদের অনুরোধে যুক্তরাজ্যের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট এই তদন্ত সমন্বয় করছে। পুলিশ বলছে, তাদের কাছে এ ধরনের বেশ কয়েকটি চিঠি রয়েছে। এগুলো বিশ্লেষণের মাধ্যমে উৎস জানার চেষ্টা চলছে। কাউন্টার টেরোরিজম পুলিশ এই চিঠিকে সম্ভাব্য ঘৃণাবাদী কর্মকাÐ বলে বিবেচনা করছে।
পশ্চিম ইয়র্কশায়ার পুলিশের অ্যাসিসট্যান্ট চিফ কনস্টেবল এঞ্জেলা উইলিয়াম বলেছেন, ‘পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের বাস করা স¤প্রদায়ের মানুষদের আমি আশ্বস্ত করতে চাই, চিঠি পাঠানোর এই ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে নেওয়া হয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি তারা সম্ভবত উদ্বেগ তৈরি করে মানুষদের বিপর্যস্ত করে তুলতে চায়, বিশেষ করে যারা সমাজের স্পর্শকাতর অংশের সদস্য।’ তিনি বলেন, নাগরিক নিরাপত্তাকে আমরা অগ্রাধিকারে রেখেছি আর আমাদের স¤প্রদায়গুলোকে সজাগ হওয়ার আহŸান জানাবো, তবে ভীত হতে নয়।
যুক্তরাজ্যে মুসলিমবিদ্বেষী কর্মকাÐ পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত একটি সংস্থা মেজারিং অ্যান্টি মুসলিম অ্যাটাক-এমএএমএ। সংস্থাটির দাবি, চিঠির খাম থেকে তারা নিশ্চিত হয়েছেন চিঠিগুলোর অন্তত একটি ইংল্যান্ডের দক্ষিণ ইয়র্কশায়ারের শেফিল্ড শহরের একটি চিঠি ও পার্সেল বিনিময়ের প্রতিষ্ঠান থেকে ছড়ানো হয়েছে। সংস্থাটির কর্মকর্তা ইমান আত্তা বলেন, স্থানীয় মানুষদের মনে চিঠিটি ব্যাপক ভীতি ছড়িয়েছে। ‘তারা আমাদের জিজ্ঞেস করছিল, আমরা কী নিরাপদ, ছেলেমেয়েদের বাইরে খেলতে দেওয়া কী নিরাপদ। আমরা তাদের শান্ত থাকতে বলেছি।‘ সংস্থাটি বলছে, ব্রাডফোর্ড, লেইসিসটার, লন্ডন, কার্ডিফ ও শেফিল্ডের মানুষদের ওই চিঠি পাওয়ার তথ্য পেয়েছেন তারা। সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।