Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১, ০৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার

| প্রকাশের সময় : ১২ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বালাগঞ্জ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা :সিলেটের বালাগঞ্জে দুই পাষান্ড কর্তৃক স্কুল ছাত্রী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। গত শনিবার সকাল ১০টায় উপজেরা সদর এলাকা নবীনগরে স্কুলে যাওয়ার পথে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার দুইজনকে আসামী করে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বালাগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্তরা হচ্ছে, উপজেলার সিরিয়া গ্রামের সাবেক মেম্বার আশিক মিয়ার ছেলে আরিফ মিয়া (১৯) ও হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জের দত্তগ্রামের (বর্তমান উপজেলা সদরের নবীনগরের) উপেন্ড দাশের ছেলে রোমন দাশ (১৭)।
জানা যায়, উপজেলা সদরের তয়রুন নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রণির ছাত্রী প্রতিদিনের মত গত শনিবার সকাল ১০টার সময় স্কুলে যাওয়র পথে প্রলোভন দেখিয়ে ২নং আসামী রোমন দাশের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ভয় দেখিয়ে আরিফ ও রোমন মিলে ছাত্রীকে কয়েক বার ধর্ষন করে। মেয়ে বাড়ি যাওয়ার পর তার অবিভাবকদের বিষয়টি খুলে বলে। ধর্ষিতার পিতা বিষয়টি দ্রæত থানায় জানালে পুলিশের পরামর্শে সিলেট ওসমানীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ২জনকে আসামী করে ধর্ষিতার পিতা বাদি হয়ে রোববার থানা মামলা দায়ের করা করেন। এ ঘটনায় উপজেলাজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। স্থানীয় সচেতন মহল দাবী জানিয়েছেন ধর্ষকদের দ্রæত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার। গত বছর এক নং আসামী আরিফ কর্তৃক স্কুল ছাত্রকে চাকু দিয়ে আঘাত করে আহত করে। এব্যাপারে থানায় তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, বালাগঞ্জ উপজেলা সদর নবীনগরে বাড়ছে অপরাধ প্রবনতা। গত ২৪ আগষ্ট উপজেলা মসজিদের মুয়াজ্জিন কর্তৃক বালাগঞ্জ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থী বলৎকারের শিকার হয়। এ ঘটনায় শিশুটির পিতা দিন মজুর বাদশা মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। কোন প্রকার অঘটন ঘটলে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীরা ধামাচাপা দিয়ে শেষ করেন বলে এ ধরণের অপকর্ম বাড়ছে বলে স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছেন। এছাড়া স্থানীয়রা জানান এখানে নেশাখোরদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। শিকার হচ্ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। অনেক শিক্ষার্থীরা নেশার পাল্লা পড়ে লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে
এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী ও বালাগঞ্জ থানার ওসি মামলার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টির তদন্ত চলছে। প্রমান পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ