পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : যুক্তরাজ্যেরর নিষেধাজ্ঞা প্রতাহারের প্রায় এক মাস পরেও বিমানের পণ্যবাহি কর্গো বিমান এখনও সরাসরি লন্ডন যাচ্ছে না। ফলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কার্গো পরিবহণ খাতের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি বেড়েই চলেছে। প্রতিমাসে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বিমান। বাংলাদেশ থেকে লন্ডনসহ বিভিন্ন দেশে পণ্য পরিবহনের একমাত্র প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স। যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার কারণে বিমান এ খাতে বছরে প্রায় ২০ কোটি টাকার আয় থেকে বঞ্চিত। যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলেও এখন ইউরোপিয় ইউনিয়নের কাছ থেকে বিমানের এসিসি-৩ সনদ নাপাওয়া পর্যন্ত সরাসরি কার্গো ঢাকা-লন্ডন রুটে চালু হয়নি।
বিমানের মহাব্যবস্থাপক মোসাদ্দেক আহম্মেদ ইনকিলাবকে বলেছেন, খুব দ্রæত সরাসরি কার্গো যুক্তরাজ্যে যাবে। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশ করছি এ মাসেই চালু করা সম্ভব হবে।
আকাশ পথে ঢাকা থেকে লন্ডন রুটে সরাসরি পণ্য পরিবহনের নিষেধাজ্ঞা চলতি বছরের মধ্য ফেব্রæয়ারীতে প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাজ্য। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে সুযোগ পাচ্ছে না দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বিমানের এসিসি-৩ সনদ এর নবায়ন না হওয়ায় এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সংস্থাটি।
কার্গো পরিবহনে ইউরোপিয়ান এভিয়েশন সিকিউরিটি এজেন্সির কাছ থেকে এসিসি-৩ সনদের নবায়ন না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বিমানকে। তবে উপরোপিয় সংস্থাটি থেকে আসা একজন পরিদর্শক গত সোমাবার থেকে কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জিএম (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ।
পণ্য পরিবহনে বিমানের পুরনো বাজারটি দ্রæতই পুনরুদ্ধারের আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আশা করছি মার্চের মধ্যেই সদন নবায়ন সম্ভব হবে এবং কার্গো পরিবহনে বিমান তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে।
অন্যদিকে আগামীতে বিমানকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংসহ কার্গো পরিবহনে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির সাবেক পরিচালক নাফিজ ইমতিয়াজ।
তিনি বলেন, অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে যাত্রীর পাশাপাশি পণ্যপরিবহনেও বিমানকে আরও নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি করতে হবে।
উল্লেখ্য, হজরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের নিরাপত্তা শঙ্কা আর বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশের অজুহাতে ২০১৬ সালে ঢাকা থেকে লন্ডন রুটে সরাসরি কার্গো ফ্লাইটের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাজ্য। তবে গত মাসে নিষেধাজ্ঞা প্রতাহার করে যুক্তরাজ্য।সেই সঙ্গে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ ফিরে পেয়েছে তার হারানো মর্যাদাও।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে কার্গো পরিবহনে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরেও বিমান ঢাকা-লন্ডন রুটে কার্গো ফ্লাইট পরিবহনের সুযোগ পায়নি। এ কারণে বাংলাদেশী রপ্তানিকারকরা এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। তারা বলছেন, সরাসরি কার্গো ফ্লাইট লন্ডনে প্রবেশ করতে না দেয়াতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে পণ্য পাঠাতে হছে। এতে করে ব্যবসায়ীদের গত দুই বছরে শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি এ খাতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সর মোটা অংকের আয় হাত ছাড়া হয়েছে। বিমান লন্ডরে সরাসরি কার্গো পরিবাহন করে মাসে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা আয় করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে এ মাসেই কার্গো ফ্লাইট সরাসরি লন্ডন যাওয়ার কথা রয়েছে।
গত বছরের ইওরোপিয় ইউনিয়নের দ্বারা পরিচালিত আরেকটি নিষেধাজ্ঞার কারণে এখনো এই ধরনের ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারচ্ছে না বিমান। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য, তৃতীয় পক্ষের এয়ারপোর্টে তাদের ইউকে বন্ড ক্যার্গোকে পরিবহণ করে। তারা ২০১৬ সালের মার্চ থেকে এ কাজ করছে। যখন থেকে ইউকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।