পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জনসমাবেশে বা সভাস্থলে যদি কিছু না ঘটে থাকে, তবে বাইরের কোনো ঘটনার দায় আওয়ামী লীগ কেন নেবে; এমন প্রশ্ন রেখে দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তবে বাইরে কিছু ঘটে থাকলে তার দায় সরকারের আছে। জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে বাইরে কিছু ঘটলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনার অফিসে দলটির দপ্তর উপ-কমিটির প্রথম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ৭ মার্চের জনসমাবেশে জন-কোলহ বা দ্বদ্বর একটি প্রমাণও নেই দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, খুবই সুশৃঙ্খল একটি সমাবেশ হয়েছে। এতে শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই আসেননি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল শ্রেনীর মানুষ স্বত:স্ফ‚র্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা ও আশের সকল রাস্তা ও নদীর ধারা জনস্রোতে পরিণত হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসে মিশে। এটি একটি ঐতিহাসিক জনসভা। অনেকেই বিশ্বাস করতেই চায়নি এতো বড় সমাবেশ হবে। কিন্তু আমরা বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসের একটি স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ করতে সক্ষম হয়েছি। এর আগে এতো বড়, এতো কালারফুল সমাবেশ কেউ করতে পারেনি। তিনি বলেন, শুধু ঢাকাতেই না; এর আগে ঢাকার বাইরে সিলেট, বরিশাল, রাজশাহী, খুলনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সমাবেশ করেছেন সেগুলোতেও স্মরণকালে সর্ববৃহৎ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জনসভায় কোনো ব্যক্তি বা দলকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেননি দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে যাওয়া জাতির মুক্তির রূপরেখা ঘোষণা করেছেন। তিনি কথা বলেছেন আগামী নির্বাচন নিয়ে। সে নির্বাচনে যাতে কোনো জঙ্গিবাদী, সাম্প্রদায়িক শক্তি ক্ষমতায় আসতে না পারে। এতে বিএনপির অন্তর্জালা কেন? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামনে নির্বাচন। দলের সভানেত্রী হিসেবে তিনি সমাবেশে ভোট চাইতেই পারেন। এটা তো কারো আঁতে ঘাঁ লাগা বা অন্তর্জালার বিষয় না!
বিএনপির সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তারের অভিযোগ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, সিনিয়র নেতা বলতে যাদেরকে বুঝায় এমন কোনো নেতাকে গ্রেপ্তর করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। গতকাল (বুধবার) দেখলাম বিএনপির যারা সিনিয়ির নেতারা কারাগারে গিয়ে দলটির চেয়ারপার্সনের সঙ্গে দেখা করেছেন। ঘন্টাব্যাপি কথা বলেছেন। দেখলাম তারা হাসি মুখে বেরিয়ে এসেছেন।
আওয়ামী লীগের দপ্তর উপকমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন দলটির দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, উপ-কমিটির সদস্য খন্দকার তারেক রায়হান, মেহেদী হাসান, দেলোয়ার রহমান দিপু, নাসিম আল মোমিন রূপক, শাহীন আহমেদ, ইস্কান্দার মির্জা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।