Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কোটা বাতিল বা কমানো হবে না জনপ্রশাসন সচিব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

কোটার শূন্যপদ সাধারণ পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে পূরণ করার সিদ্ধান্ত এলেও কোটা বাতিল বা কমানোর পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কোটা সংস্কারের দাবিতে চাকরি প্রত্যাশীদের একাংশের আন্দোলন চলার মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, কোটায় পর্যাপ্ত প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে তা পূরণ করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।
সচিব বলেন, এখন থেকে কোনো শ্রেণির মেধা কোটা পাওয়া না গেলে সাধারণ মেধা কোটা থেকে পূরণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা বা অন্য কোনো কোটাকে ছোটো করা হচ্ছে না। এসব কোটা সংরক্ষিত থাকবে। তবে সেখানে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সাধারণ মেধা কোটা থেকে নেয়া হবে। আন্দোলনকারীরা কোটার পরিমাণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছেন। সচিব বলেন, এ বিষয়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। মূল শ্রেণির কোটাভুক্ত পদ পূরণ করা না গেলে শুধুমাত্র এ ব্যবস্থার (মেধা তালিকা থেকে পূরণ) কথা বলা হয়েছে। সরকারের চিন্তা কোটা বহাল থাকবে। তবে মেধাবীরা যাতে বঞ্চিত না হয়, এ জন্য আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বর্তমানে দেশে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন ১০ শতাংশ, পশ্চাৎপদ জেলাগুলোর জন্য ১০ শতাংশ, নৃগোষ্ঠীর জন্য পাঁচ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য এক শতাংশ কোটা রয়েছে। তবে কোটায় পর্যাপ্ত যোগ্য পরীক্ষার্থী পাওয়া যায় না বলে প্রতিটি নিয়োগ পরীক্ষাতেই বেশ কিছু পদ শূন্য রয়ে যায়। এতদিন এসব শূন্য পদে কাউকে নিয়োগ দেয়া হতো না। জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা বলে আসছেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূল ধারায় নিয়ে আসতে কোটার কোনো বিকল্প নেই। পৃথিবীর সব দেশেই এই পদ্ধতিতে নিয়োগ দেয়া হয়। বরং সরকারি চাকরির পাশাপাশি বেসরকারি চাকরিতেও কোটা রয়েছে অনেক দেশে। আন্দোলনকারীরা কোটাকে বৈষম্যমূলক দাবি করে আসলেও জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা একে ইতিবাচক বৈষম্য হিসেবে অভিহিত করে থাকেন। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসক সচিব জানান, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা হয়নি। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০। তবে এটিকে ৩৫ করার দাবিতে বেশ কিছু বছর ধরে নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ৯ মার্চ, ২০১৮, ৯:৪২ এএম says : 0
    আমি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খানকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি তার বলিষ্ট বক্তব্যের জন্য। তার দেয়া এই ব্যাখার পর আরকোন আন্দলোন চলা উচিৎ নয় অনেকেরই ধারনা। এখন ছাত্রদের একাংশ আন্দোলন করছে এরা যদি মেধাবী ছাত্র হয়ে থাকে তাহলে এরা এত সময় কোথায় পায় এসব আন্দোলন করার জন্য এটা একটা প্রশ্ন নয় কি??? অনেকে মনে করে সরকারের উচিৎ এসব ছাত্রদের মূল উদ্দেশ্য কি সেটা বের করা এবং সেভাবেই এগিয়ে যাওয়া নয় কি??? আল্লাহ্‌ আমাদের দেশের নতুন প্রজন্মকে সত্য কথা বলা এবং সততার সাথে চলে নিজেকে আল্লাহ্‌র হুকুম মত শিক্ষিত হয়ে উঠার ক্ষমতা দিন। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সচিব


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ