Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কারিগরি দিক দিয়ে পিছিয়ে নেই নারীরা

| প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : কারিগরি দিক দিয়ে নারীরা মোটেই পিছিয়ে নেই। প্রয়োজনীয় সহায়তা এবং সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলতে পারলে অনেক নারীই নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। বর্তমানে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা দিনদিন বেড়ে চলেছে। নারী দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং বাংলাদেশের (আইডিইবি) অডিটোরিয়ামে চলমান ‘উইমেন টেক এক্সপো ২০১৮’-তে অংশগ্রহণ করে এমন অভিমত প্রকাশ করেন নারী উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) ও বাংলাদেশ উইমেন ইন আইটির (বিডবিøউআইটি) যৌথ উদ্যোগে দিনব্যাপী এক্সপোর উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। এক্সপোতে সারাদেশের ৩৫ জন নারী উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন। দিনব্যাপী চলছে উদ্যোক্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও দিক নির্দেশনামূলক সেমিনার। এতে বক্তা হিসেবে থাকছেন বিভিন্ন ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক এবং বিভিন্ন এনজিও’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
নারীদেরকে উদ্যোক্তা হওয়ার পাশাপাশি আইসিটি খাতে অবদান রাখতে হবে। এক্ষেত্রে তারা ঘরে বসেও কাজ করতে পারবেন বলেই এ খাতটি তাদের জন্য খুবই উপযুক্ত বলে মনে করেন উইমেন ইন ডিজিটাল নামক প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা আছিয়া নীলা। এক্সপোতে অংশগ্রহণ করতে পেরে দারুণ আনন্দিত এই নারী উদ্যোক্তা জানান, আমি কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়ালেখা করেছি। এরপর আমি চাকরির জন্য গিয়ে দেখলাম এখাতে নারীদের অংশগ্রহণ একেবারে নেই বললেই চলে। তাই আমি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার নারীদের নিয়ে কাজ শুরু করলাম। এখন আমার সফটওয়্যার ফার্মে ২৫ জন নারী সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন।
নারী উদ্যোক্তা বা কর্মক্ষেত্রে নারীদের উপস্থিতি বাড়ানোর ক্ষেত্রেও অবদান রেখে চলেছেন এই নারী উদ্যোক্তা। সে বিষয়ে তিনি বলেন, একটা প্রকট সমস্যা হচ্ছে মেয়েরা শিক্ষিত হয়েও ঘরে থাকতে পছন্দ করে। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। ঢাকার বাইরেও কাজ করছি। আমাদের একটা ওয়েবসাইট আছে যেখানে মেয়েদের পরামর্শ দেওয়া হয় ক্যারিয়ার গঠনের সুবিধার্থে। এছাড়া এক্সপোতে স্থান পেয়েছে নারীদের তৈরি হস্তশিল্প, কাপড়, খাবারসহ বিভিন্ন পণ্য। উল্লেখযোগ্য হলো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এনজিওর স্টল। এদের মধ্যে সিপিএ আইটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুক্তি জানান, আমরা আইটি বিষয়ক বিভিন্ন কোর্স করিয়ে থাকি। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে আমরা এখন ৭০ ভাগ ছাড় দিচ্ছি। এছাড়া বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্টের ডেপুটি ম্যানেজার ফাতেমা মোহাম্মাদ জানান, আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে মেয়েরা যে অপদস্ত হয় সে বিষয়ে কাজ করি। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে মেয়েদের সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে সারাদেশে কাজ করি। এদিকে ব্যবসায়িক খাতে অর্থ লেনদেনের ব্যাপারে আই-পে দিচ্ছে সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা। ব্যাংকের লেনদেন হচ্ছে অ্যাপসের মাধ্যমে। যেখানে টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনো চার্জ রাখছে না কোম্পানিটি। এবং এভাবে ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা লেনদেন তাও অনলাইনে অ্যাপসের মাধ্যমে, যা বাংলাদেশে প্রথম।
এক্সপোর আয়োজক কমিটির প্রধান জনতা ব্যাংকের চেয়ারপারসন ও বিডবিøউআইটির সভাপতি লুনা শামসুদ্দোহা জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তা মাত্র তিন শতাংশ। সংখ্যাটা খুবই নগণ্য হলেও বাংলাদেশের জন্য একটি সাফল্য বটে। তাছাড়া আমরা মনে করি বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলে এ ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আর নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বাড়াতে আমরা সচেষ্ট। যেখানে সরকার মেয়েদের জন্য আলাদা বাজেট রাখছে, চাকরিতে কোঠা রাখছে। সেখানে আমাদের এগিয়ে না আসাটা বিশাল বড় মুর্খতা হবে। আমরা আশা করি আগামী বছর এ এক্সপো আরো বড় আকারে দাঁড় করাতে পারবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কারিগরি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ