পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদেশি কোন উপদেশ খয়রাতের দিকে আওয়ামী লীগ তাকিয়ে নেই বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদেশি কোন চাপ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আমাদের বিবেকের চাপ, বাংলাদেশের জনগনের চাপ, একটা ঐতিহ্যবাহী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগনের চাপকে গুরুত্ব দেই। আমাদের দেশের গণতন্ত্র আমরাই পরিচালনা করবো।
গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর নিউমার্কেট কাঁচাবাজার এলাকায় ৭ই মার্চের আওয়ামী লীগের জনসভা সফল করার জন্য লিফলেট বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা মনে করি, কেউ ধোয়া তুলশী পাতা নয়। যারা আমাদের উপদেশ দিচ্ছে তাদের দেশের গণতন্ত্রের চেহারা, তাদের দেশের নির্বাচনের চেহারা সেটা সারা দুনিয়া জানে, আমরাও জানি। কাজেই আমাদেরকে উপদেশ দিতে হবে না। তিনি বলেন, আমরা একটা অংশ গ্রহণযোগ্য ফ্রি ফেয়ার এবং বিশ্বাস যোগ্য একটা নির্বাচন করবো। আমরা কারো উপদেশ খয়রাতের দিকে তাকিয়ে নেই। আমাদের দেশের নিয়ম অনুযায়ী আমাদের দেশের গণতন্ত্র চলবে। আমাদের দেশের নিয়ম অনুযায়ী আমাদের নির্বাচন চলবে। কাজেই এ নিয়ে বাইরে থেকে কে চাপ দিল সেটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়।
আমরা আমাদের নিয়ম অনুযায়ী, আমাদের সংবিধান অনুযায়ী একটা অবাদ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সরকারী অর্থ ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী ভোট চাইছেন এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগনের কাছে যাওয়ার অধিকার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর আছে। এখনো নির্বাচনের শিডিউল ঘোষনা হয়নি। এই প্রশ্নটা হতে পারে তখন, যখন নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের শিডিউল ঘোষনা করবে। এই মূহুর্তে দেশের প্রধানমন্ত্রী তিনি যে সকল উন্নয়ন করেছেন সেই সব নিয়ে জনগনকে অবহিত করার অধিকার প্রধানমন্ত্রীর আছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যেহেতু আমাদের প্রধানমন্ত্রী শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি। আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নৌকার ভোট চাওয়ার অধিকার প্রধানমন্ত্রীর আছে। তাতে এখানে কোন ব্যত্যায় ঘটেনি।
ওবায়দুল কাদের জানান, এবারের ৭ই মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বরণকালের সববৃহৎ সমাবেশ হবে। এ লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। তিনি বলেন, প্রচারণায় আমাদের দেশের রাজনীতির যে ঐতিহ্য সেটাকে আমরা অনুসরণ করছি। একসময় মাইকে প্রচারণা হতো জনসভার, সেটা এখন নেই। আমরা ১ তারিখ থেকে মাইকে প্রচারণা করছি। এরপর পাড়া মহল্লায়, বাড়িতে, মার্কেটে সর্বত্রই আমরা হ্যান্ডবিলের মাধ্যমে প্রচারনা করছি। এই হ্যান্ডবিলের প্রচারনাও এখন চোখে পড়ে না।
বিএনপির আন্দোলনের কৌশল মোকাবেলায় আওয়ামী লীগের অবস্থান কি জানতে চাইলে কাদের বলেন, তাদের কৌশল, সেটা তাদের ব্যাপার। এটা নিয়ে আমাদের কোন বক্তব্য নেই। তারা কি কৌশল প্রয়োগ করবে সেটা তাদের ব্যাপার। আমরা দেখবো তাদের কৌশল যদি রাজনৈতিক হয় তাহলে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবো। তাদের কৌশল যদি ভায়োলেন্স-সহিংসতার দিকে যায় তাহলে সহিংসতার জবাব উদ্বুত পরিস্থিতিতে সেটা আমাদের জানা আছে। রাজনীতি রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা করবো, সহিংসতা মোকাবেলার জন্য আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আছে। তারা যখন যেটা দরকার সেটাই করবে।
এবারের ৭ই মার্চের সমাবেশে স্বরণকালের সবচেয়ে বেশি জনসমাগম হবে আশা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সমাবেশে আমাদের পার্টির সভাপতি শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন এবং এ সময়ের ষড়যন্ত্র চক্রান্তের মুখে আমাদের করণীয়, দেশবাসির করণীয়, নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখতে জনগণকে তিনি আহবান জানাবেন। প্রধানমন্ত্রী দিক নির্দশেনামূলক বক্তব্য রাখবেন, সেজন্য আমরা জনগণকে দাওয়াত দিচ্ছি। জনগণকে আমরা সেদিন যতটুকু সম্ভব ভোগান্তির জায়গা থেকে সহনশীল রাখা যায় সেই চেষ্টা করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।