মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : গ্লোবাল মিলিটারি স্ট্রেন্থ ইনডেক্স সূচকে মার্কিন সামরিক বাহিনীকেই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে। এর খুব কাছে রয়েছে রাশিয়া ও চীন। সামরিক বাহিনীর মোট সদস্যের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াকে পেছনে ফেলে দিয়েছে চীন। উদীয়মান পরাশক্তি চীনের মোট সামরিক শক্তি ৩,৭১২,৫০০ জন। রাশিয়ার ৩.৩৭১,০২৭, যুক্তরাষ্ট্রের ২,৩৬৩,৬৭৫। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে ১৩তম সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রুপটির ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। অপরদিকে ভারতীয় সামরিক বাহিনীকে রাখা হয়েছে চতুর্থ স্থানে। তাদের স্কোর ০.১৫৯৩। জিএফপি অনুযায়ী, ভারতে সামরিক বাহিনীর জন্য বার্ষিক বাজেট বরাদ্দ ৫১ বিলিয়ন ডলার। পাকিস্তানের চেয়ে তা প্রায় সাত গুণ বেশি। পাকিস্তানের চেয়ে তার জনসংখ্যা পাঁচ গুণ বেশি। তার সামরিক বাহিনীর সদস্য ৪,২০৭,২৫০। এদের মধ্যে সক্রিয় দায়িত্বে রয়েছে ১,৩৬২,৫০০। মোট বিমান যেখানে পাকিস্তানের ৯৫১টি, সেখানে ভারতের ২,১০২টি। ইন্টারসেপ্টর ৬৭৬টি, অ্যাটাক বিমান ৮০৯টি, হেলিকপ্টার ৬৬৬টি। ব্যাটল ট্যাংক, সাজোঁয়া যান, নৌ সম্পদ, সাবমেরিন ইত্যাদি সবই পাকিস্তানের প্রায় দ্বিগুণ আছে ভারতের। গেøাবাল ফায়ারপাওয়ার (জিএফপি) ১৩৩টি দেশের অর্ধশতাধিক বিষয় বিবেচনা করে এ তালিকা প্রণয়ন করেছে। যেসব বিষয় তারা বিবেচনা করে তার মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগত শক্তি সূচক (পিআই) স্কোর, স্থল, সাগর ও বিমানবাহিনীর প্রচলিত যুদ্ধ করার সামর্থ্য। তালিকা প্রণয়নের সময় সংস্থাটি প্রতিটি দেশের হাতে থাকা অস্ত্র, অর্থনৈতিক ভিত্তি, ভৌগোলিক অবস্থানও বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থাটি জানিয়েছে। প্রতিটি সামরিক বাহিনীকে ব্যক্তিগত ও সম্মিলিত উপাদান হিসেবে বিচার করা হয়। তাছাড়া অস্ত্রের সংখ্যা নয়, বরং বৈচিত্র্যকে তারা বেশি গুরুত্ব দেয়। তবে পরমাণু অস্ত্রের হিসাবটি তারা বিবেচনা করে না। তারা একে বোনাস পয়েন্ট হিসেবে গ্রহণ করে। আর ভৌগোলিক অবস্থান ও জনশক্তিকে তারা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কোনো বিশেষ দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বকে তারা বিবেচনা করে না। বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনার ফলে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বেড়ে গেছে। অনেক দেশই তাদের বিদ্যমান অস্ত্রভান্ডার আধুনিকায়নের দিকে নজর দিচ্ছে। বিজনেস ইনসাইডারে মতে, ২০১২ থেকে ২০১৬ সময়কালে ১৯৯০ সালের পর সবচেয়ে বেশি অস্ত্র রফতানি করা হয়েছে। স্থল, সমুদ্র ও বিমানবিষয়ক সামর্থ্য, আর্থিক সচ্ছলতা, সীমান্ত এলাকার ভৌগোলিক অবস্থান ইত্যাদি দিক থেকে ১৩৩টি দেশের মধ্যে পাকিস্তানকে আনা হয়েছে ১৩ নম্বরে। এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।