পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ায় রাশিয়ার ঘোষণা অনুযায়ী প্রতিদিন পাঁচ ঘণ্টা যুদ্ধ বিরতি কার্যত অকার্যকর হয়ে গেছে। এটি কার্যকর করতে ব্যর্থ হওয়ায় পূর্ব ঘৌতায় ত্রাণ পৌঁছানো যাচ্ছে না। অন্যদিকে, পূর্ব ঘৌতায় বিদ্রোহীদের ওপর চাপ বাড়াতে সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে সিরিয়া। এতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনীকে সহায়তা করছে রাশিয়া। বার্তা সংস্থা এএফপির রিপোর্ট অনুযায়ী, যুদ্ধকবলিত ঘৌতায় ৪ লাখ মানুষের জন্য চল্লিশটিরও অধিক ত্রাণবোঝাই ট্রাকসহ সাহায্য পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ার পর জাতিসংঘের পক্ষ থেকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিতরূপে কার্যকর করার আহবান জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, মস্কোর পক্ষ থেকে দৈনিক পাঁচ ঘণ্টা যুদ্ধ বিরতি ঘোষণার পর যদিও কিছু সময়ের জন্য বোমাবর্ষণ কমানো হয়েছিল তবু গত মাসের লাগাতার বোমাবর্ষণে বহু সংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছে। অপর এক খবরে বলা হয়, সিরিয়ার দামেস্কর শহরতলী পূর্ব ঘৌতায় বোমা হামলায় ১৩ দিনে কমপক্ষে ৬৭৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছন। হোয়াইট হেলমেট হিসেবে পরিচিতি সিরীয় স্বেচ্ছাসেবী দল দ্য সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স গত শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ খবর জানিয়েছে। হোয়াইট হেলমেটের পক্ষ থেকে শুক্রবার বলা হয়, গত ১৮ ফেব্রæয়ারি থেকে সিরিয়ার রাজধানীর পাশের গ্রামাঞ্চলটিতে রাশিয়ার সহায়তার বিমান হামলা শুরু করে সরকারি বাহিনী। ওই হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৭০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। আসাদ সরকারের বিরোধীদের সর্বশেষ শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত পূর্ব ঘৌতায় প্রায় ৪ লাখ মানুষের বাস। ২০১৩ সাল থেকে এলাকাটি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে ধারাবাহিক বিমান হামলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তীব্র নিন্দার পর নিরাপত্তা পরিষদে ৩০ দিনের অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব সর্বসম্মত পাস হয়। কিন্তু তারপরও বিমান হামলা বন্ধ না হওয়ায় ওই অস্ত্রবিরতি এখনও কার্যকর হয়নি। হোয়াইট হেলমেটের সদস্য মাহমুদ আদম বলেন, তথাকথিত অস্ত্রবিরতির পরও এখন পর্যন্ত ১০৩ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ২২ শিশু ও ৪৩ জন নারী রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, পূর্ব ঘৌতার আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে সিরীয় ও রুশ বিমানের কৌশলগত হামলা এখনও বন্ধ হয়নি। পূর্ব ঘৌতার বাসিন্দারা ৫ ঘণ্টার দৈনিক মানবিক বিরতির বিষয়ে তাদের অবিশ্বাসের কথা জানিয়েছেন। ওই বিরতি ঘোষণার সময় বলা হয়েছিল, সেখানে মানবিক করিডোরের মাধ্যমে বেসামরিক ও আহত ব্যক্তিদের উদ্ধারের জন্য ত্রাণকর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হবে বলা হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত উদ্ধার সহায়তাকারীদের একটি দলও সেখানে প্রবেশ করতে পারেনি। আর বাসিন্দারা বলছেন, তারা সেখান থেকে চলে যাওয়ার সময় নিরাপত্তার কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। অপরদিকে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে দৈনিক পাঁচ ঘণ্টা যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা দেওয়ার আগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে ৩০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত মঞ্জুর করা সত্তে¡ও তা কার্যকরের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। ডন, বিবিসি, রয়টার্স, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।