Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন

১ বছর ধরে নকলনবিশের বেতন নেই

| প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নকল নবিশেরা গত এক বছর থেকে বেতন পাচ্ছেনা। ফলে পরিবার নিয়ে বহু কষ্টে দিনযাপন করছে বলে নকল নবিশেরা জানিয়েছেন। এছাড়াও শিবগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে কোটি কোটি টাকা সরকারকে রাজস্ব দিলেও নেই তাদের কোন নিজস্ব অফিস ভবন। শুধু তাই নয়, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিলগুলো সংরক্ষণের জন্য নেই কোন সঠিক ব্যবস্থা। এবিষয়ে জেলা ভারপ্রাপ্ত সাব-রেজিস্ট্রার ও খন্ডকালীন শিবগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্র্রার নজরুল ইসলাম জানান, শিবগঞ্জ উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসগুলোতেও নকল নবিশেরা এক বছর থেকেই তাদের বেতন নেই। এরমধ্যেÑ শিবগঞ্জ উপজেলায় ৪৪ জনসহ মোট ১৭২ জন নকল নবিশেরা দীর্ঘ এক বছর থেকে বেতন পায়নি। জেলা ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ও দায়িত্বরত শিবগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলাম জানান, ২০১৭ সালে জেলার পাঁচটি রেজিস্ট্রি অফিস থেকে মোট ৭০ কোটি ৬৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা সরকারকে রাজস্ব দেয়া হয়েছে। তবে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব দেয়া হলেও শিবগঞ্জ, ভোলাহাট ও নাচোলে নিজস্ব কোন সাব-রেজিস্ট্রি অফিস নেই। এদিকে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে অর্থ বরাদ্দ না আসায় তাদের বেতন ভাতা হচ্ছেনা। শিবগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসটি গণপূর্ত বিভাগের পুরাতন কোর্ট চত্বরে রয়েছে। ভোলাহাট উপজেলায় একই ধরণের ভবনে রয়েছে। অন্যদিকে নাচোল উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসটি প্রতিমাসে ভাড়া পরিশোধ করতে হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের এজলাস ছাড়া অফিস কক্ষ নেই। একটি ছোট কক্ষে বসে অফিসের কার্যক্রম চালাতে হয়। ওই কক্ষেই রয়েছে রেজিস্ট্রিকৃত দলিলাদি। গত বৃহস্পতিবার উপরোক্ত বিষয়টি নিয়ে জেলা ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি উপরোক্ত সমস্যাগুলোর কথা স্বীকার করেছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- একটি অস্পষ্ট অভিযোগ এনে পত্রিকায় সংবাদ হলে বিষয়টি জেলা রেজিস্ট্রার স্থায়ীভাবে কর্মরত হলে তিনি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তিনি আরও বলেন- প্রতিবছরই সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দিন দিন রাজস্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে শিবগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নকল নবিশেরা জানান, জরুরী ভিত্তিতে তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হলে পরিবার নিয়ে অভাব অভিযোগ কাটিয়ে কাজের গতিশীলতা ফিরে আসবে মত দিয়েছেন তারা। অবিলম্বে তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন নবল নবিশেরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মানবেতর


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ