Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অংশহণমূলক নির্বাচনে শর্তগুলো কেবল ভোটের দিন নয় সব সময়ই নিশ্চিত করতে হয় -বার্নিকাট

সব দলকে ভোটে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা চান তোফায়েল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:৫৫ এএম, ২ মার্চ, ২০১৮

বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট বলেছেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের শর্তগুলো কেবল ভোটের দিন নয়, সব সময়ই নিশ্চিত করতে হয়। তিনি বলেন, সবাই যাতে অংশ নিতে পারে, সবাই যাতে সভা, সমাবেশ, বৈঠক করতে পারে, সবাই যেন নির্বিঘ্নে তাদের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যেতে পারে- সেটাও নিশ্চিত করতে হয়। গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত ২৫তম ইউএস ট্রেড শো’র উদ্বোধনীতে মেলা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের মতো সবাই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আগামী নির্বাচনে সব দলকে আনতে দেশটির রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটকে ভূমিকা রাখার আহবান জানান। জনাব তোফায়েল আহমেদ বলেন, অন্যদের মতো আমরা সবাই চাই আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। যাদের রেজিস্ট্রেশন আছে তারা সবাই নির্বাচনে অংশ নেবে। তবে সংবিধান অনুয়ায়ী বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের অধীনে নির্বাচন হবে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়-মার্শা বার্নিকাটের বুধবারের এক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসছে। তোফায়েল বলেন, আমি জানি না, মন্তব্য করা আমার ঠিক হবে কি না। আমি আশা করব, আপনি (বার্নিকাট) এমন একটি ভূমিকা নেবেন, যাতে সব দল সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে অনুষ্ঠেয় আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতায় রেখেই যে নির্বাচন হয়, সে কথাও তিনি মনে করিয়ে দেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশেও আগামী নির্বাচনের সময় বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকবে এবং কেবল দৈনন্দিন রুটিন কাজগুলো করবে। নির্বাচনের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করা ব্রিটিশ হাই কমিশনারকেও একই আহ্বান জানিয়েন বাণিজ্যমন্ত্রী। তোফায়েল বলেন বলেন, আমি তাদের (যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য) অনুরোধ করব, তারা যেন সব দলকে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে বলেন। এই নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে। যুক্তরাষ্ট্রের গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রসঙ্গে তোফায়েল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সেখানেও গত নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এসেছে।
মেলা পরিদর্শন শেষে তোফায়েল আহমেদের বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি সরাসির কোন উত্তর না দিয়ে বলেন, মন্ত্রী যা বলেছেন, তারপর আমি শুধু যোগ করতে চাই যে, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের যেসব শর্ত, সেগুলো আসলে সব সময় কার্যকর থাকতে হয়, কেবল ভোটের দিন নয়।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অ্যাডভোকেসি সেন্টারের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ম্যালকম ব্রæক। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সহযোগিতায় আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) ১৯৯২ সাল থেকে প্রতিবছরই ‘ইউএস ট্রেড শো’র আয়োজন করছে। এ বছরও তিনদিনের জন্য এই ট্রেড শো’র আয়োজন করেছে এমচেম।
ট্রেড শো’তে ৪৩টি দেশি-বিদেশি স্টলে তিনদিনের এ প্রদর্শনীতে যুক্তরাষ্ট্রের ১৫০টি কোম্পানির পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। কৃষি থেকে শুরু করে ভোগ্যপণ্য, এমনকি গাড়ি নির্মাতাদেরও অংশগ্রহণ রয়েছে এ প্রদর্শনীতে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই প্রদর্শনীতে প্রবেশ ফি ৩০ টাকা। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা তাদের ইউনিফর্মে অথবা স্কুলের পরিচয়পত্র দেখিয়ে ফি ছাড়াই ট্রেড শো’তে প্রবেশ করতে পারবে।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ২ মার্চ, ২০১৮, ৮:২৩ পিএম says : 0
    বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে অন্তর্জাতিক শক্তি দশ্চিন্তা গ্রস্থ, বাংলাদেশের এমন এক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে, এরা (বিদেশীরা) এখন কোন ভাবেই সরকারি দলকে একছত্র ভাবে নিয়ন্ত্রনে নিতেই পারছেনা। আবার আওয়ামী লীগের গোড়ামীও সহ্য করতে পারছেনা। এখন এমন এক উভয় সঙ্কটের মধ্যদিয়ে এরা অতিবাহিত করেছে সেটা বুঝা যায় কিন্তু ধরা যায় না। বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট বলেছেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের শর্তগুলো কেবল ভোটের দিন নয়, সব সময়ই নিশ্চিত করতে হয়। কথাটা তিনি বাণিজ্যমন্ত্রী প্রবীন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রামের সময়ে একজন ক্ষমতাধর অগ্রনায়ক তোফায়েল আহমেদের করা উক্তির জবাবে এসব বলেছেন। লক্ষনিয় যে, রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীর বিপক্ষে কোন মন্তব্যই করেননি, যা সাধারণত হয়ে থাকে বরং মন্ত্রীর কথায় সম্মত হয়েই একটু পেচকষে দিয়েছেন যাতে এখনি বিএনপিকে সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় যেটা সরকারি দল দিচ্ছেনা।....................। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে সত্য কথা বলা এবং সততার সাথে চলার ক্ষমতা দান করুন। আমীন
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ৩ মার্চ, ২০১৮, ৭:৩৮ এএম says : 0
    ১৯৯২ সাল থেকে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের বানিজ্য মেলা বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশে। পূর্বে এই মেলায় সাধারন লোকদের সমাগম খুবই কত হতো কিন্তু এখন প্রচুর লোকের উপস্থিতি লক্ষকরা যায়। যে কারনে বাংলাদেশে মার্কিনরাও তাদের পশার সাজিয়ে ব্যাবসা করতে আগ্রহ। আর এই ব্যাবসার প্রশারের জন্য চাই দেশে সুস্থ পরিবেশ তাই এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিদেশীদের এত আগ্রহ। মেলায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট ও বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। এসময়ে সাংবাদিকরা বাংলাদেশের বর্তমান নির্বাচন নিয়ে দুজনের সাথেই কথা বলেছেন। মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ তার বক্তব্যে আমেরিকার নির্বাচনকে সামনে এনে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান। মন্ত্রীর মেলা পরিদর্শন শেষে মন্ত্রীর বক্তব্যের উপর মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনিও প্রশ্নের কোন সড়াসড়ি জবাব না দিয়ে এড়িয়ে যান এবং বলেন, আমি শুধু যোগ করতে চাই যে, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের যেসব শর্ত সেগুলো আসলে সব সময় কার্যকর থাকতে হয়, কেবল ভোটের দিন নয়। এখনে বুঝা যাচ্ছে সাংবাদিকরা রাষ্ট্রদূত বিএনপিকে রাজপথে যায়গা দিয়ে তাদের নির্বাচন প্রচারনা চালানোর জন্য পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষে বিএনপির নেতাদের জেল থেক মুক্ত করা সহ এদেরকে পুলিশি হয়রানি থেকে মুক্ত রাখার বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন কিন্তু রাষ্ট্রদূত সেদিকে পা দেননি। এখন দেখার বিষয় রাষ্ট্রদূতের কথাটা কতটুকু মর্যাদা পাচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তোফায়েল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ