পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : একজন জার্মান লেখক মুম্বাইয়ের ২৬/১১ সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে বিষ্ফোরক তথ্য উদঘাটন করেছেন, যার জন্য ভারত দীর্ঘদিন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে আসছে। এলিয়েস ডেভিডসন তার বইয়ে ‘ভারতের বিশ্বাসঘাতকতা-ফিরে দেখা ২৬/১১’ শিরোনামে বলেছিলেন যে এই হামলাগুলি প‚র্ব পরিকল্পিত এবং বিচারে ভারত কর্তৃক জড়িতদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছিল। তার লেখায় জোর দিয়ে বলা হয় ইসরাইল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এতে জড়িত ছিল।
লেখক লিখেছেন, এটি অত্যন্ত কৌশলী এবং সুনিপুন কাজ, যেখানে ভারত, যুক্তরাষ্ট্রে এবং সম্ভাব্য ইসরাইল এই ঘটনার মূল প্রাতিষ্ঠানিক অভিনেতা, ও একি সাথে ২৬/১১ এর আক্রমণের পরিকল্পনা, নির্দেশনা ও বাস্তবায়নে সহায়কের ভূমিকা পালন করেছে।
ডেভিডসন তার লেখায় স্বাক্ষী প্রত্যক্ষদর্শী বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে তার দৃষ্টিভঙ্গী প্রকাশ করেন। এছাড়াও ডজন ডজন গুরুত্বপ‚র্ণ সাক্ষী এবং মিডিয়া রিপোর্ট, আদালতের নথি এবং সাক্ষ্য বিশ্লেষণসহ বিভিন্ন বিষয় তার লেখায় উল্লেখ করেন।
জার্মান লেখক তার এই বইয়ে চারটি প্রধান কারণ নিয়ে আলোচনা করেছেন যা পুরো ঘটনাকে আলোকপাত করে
প্রথমত, এটি বুঝতে অসুবিধা হয় যে, কোন অপারেশন ৬০ ঘন্টার বেশি প্রয়োজন হয় সম্পন্ন করতে?? যখন প্রশিক্ষিত কমান্ডো সহ ১ হাজার নিরাপত্তা রক্ষী অংশ নেয় মাত্র ১০ হামলাকারীকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য।
দ্বিতীয়ত, আক্রমণের পর কোন প্রাথমিক তদন্ত ছাড়াই ভারতীয় সরকার পাকিস্তানী সন্ত্রাসীদের হামলা চালানোর জন্য দায়ী করে।
তৃতীয়ত, ভারতের একটি প্রধান শহরে পরিচালিত এই জটিল অপারেশনটির জন্য কোনো দলই দায়িত্ব গ্রহণ করেনি।
চতুর্থ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিকরা ঘটনাগুলিতে আকস্মিক যে স্বার্থ দেখিয়েছেন, যদিও তারা হাজার হাজার মাইল দ‚রে অবস্থান করছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর অযাচিত হস্তক্ষেপ যা অনেক প্রশ্নের জন্ম দেয়।
ডেভিডসন তার বইতে আরও বলেন যে, হামলার ২০ দিন আগে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আজমল কাসাবকে গ্রেফতার করে বলেছিল যে, সন্ত্রাসীদের সাহায্যকারীরা যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক টেলিফোন নম্বর ব্যবহার করেছে।
এলিয়াস ডেভিডসন ভারতীয় প্রতারণা এবং প্রত্যক্ষ মিথ্যা ভিত্তিক কাহিনীকে বাতিল করে দিয়েছেন। তিনি বলেন যে এখানে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংঘঠিত হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন যে ভারতীয় দাবি অনুযায়ী সন্ত্রাসীরা, একে -৪৭ ব্যাবহার করেছিল; তবে মুম্বাইয়ের কামাউ হাসপাতালে করা হামলার ফরেনসিক রিপোর্টে একে -৪৭ বুলেটের সংস্করণটি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বইটি আরও প্রকাশ করে যে পাকিস্তান এই হামলার কঠোর নিন্দা করে এবং এই বিষয়ে একটি স্বচ্ছ তদন্তের প্রস্তাব দেয় কিন্তু ভারত সবসময় আদালতের কার্যধারা উপেক্ষা করে চলছে।
ডেভিডসনের বইরেয় দৃষ্টিভঙ্গী পাকিস্তানি মনোভাব সমর্থন করে।
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে, ভারত মুম্বাইয়ে হামলার পরিকল্পনা ও প্রয়োগের অভিযোগে পাকিস্তানকে মারাত্মকভাবে প্রতিহত করার চেষ্টা করে, যা পাকিস্তান স্পষ্টভাবে অস্বীকার করে আসছে। সূত্র: ডেইলি পাকিস্থান গ্লোবাল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।