গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের (রেজিঃ নং বি-১৯৮৭) দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে রুহুল আমিন গাজী সভাপতি ও এম আবদুল্লাহ মহাসচিব বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে গভীর রাতে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিটি। এর আগে ঢাকাসহ সারা দেশে বিএফইউজে’র অঙ্গ ইউনিয়নগুলো থেকে প্রতি দশজনে একজন করে নির্বাচিত কাউন্সিলররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
সর্বমোট ২৩৮ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২৩৩ জন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের পর গণনা শেষে নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র সাংবাদিক কায়কোবাদ মিলন আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনে ‘রুহুল আমিন গাজী-এম আবদুল্লাহ’ পরিষদ ও ‘এম এ আজিজ-জাহাঙ্গীর আলম প্রধান’ পরিষদ নামে দুটি প্যানেলের মোট ৩৮ জন এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ১৯টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, ১৯টি পদের মধ্যে ১৮টিতেই জয়ী হয়েছেন গাজী-আবদুল্লাহ প্যানেলের প্রার্থীরা। আজিজ-প্রধান পরিষদ থেকে কেবল শফিউল আলম দোলন সহকারী মহাসচিব পদে জয় পেয়েছেন।
সভাপতি পদে রুহুল আমিন গাজী (দৈনিক সংগ্রাম) পেয়েছেন ১৩৩ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী এম এ আজিজ (সরাসরি) ৯৪ ভোট পেয়েছেন। বর্তমান মহাসচিব এম আবদুল্লাহ (দৈনিক আমার দেশ) একই পদে বিএফইউজে’র ইতিহাসে রেকর্ড সংখ্যক ৮৫ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৫৬টি। তার প্রতিদ্ধন্দি জাহাঙ্গীর আলম প্রধান পেয়েছেন ৭১ ভোট।
সহসভাপতির ৩টি পদে নুরুল আমিন রোকন (সর্বোচ্চ ১৬৩ ভোট), মোদাব্বের হোসেন (১৪৮ ভোট) ও শামসুদ্দিন হারুন (১২৮ ভোট) নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী একেএম মোহসিন ৭৭ ভোট, সৈয়দ আলী আসফার ৬২ ভোট এবং জাহিদুল করিম কচি ৬০ ভোট পেয়েছেন। সহকারী মহাসচিবের ৩টি পদে আহমদ মতিউর রহমান (১৩৬ ভোট), জিএএম আশেক উল্লাহ (১২৮ ভোট) ও শফিউল আলম দোলন (১১৮ ভোট) নির্বাচিত হয়েছেন। এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা মো. আনিসুজ্জামান ১০৫ ভোট, জামাল উদ্দিন বারী ৭৭ ভোট এবং আবদুস সবুর ৭০ ভোট পেয়েছেন।
কোষাধ্যক্ষ পদে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন ওবায়দুর রহমান শাহীন। তিনি পেয়েছেন ১২৩ ভোট। তাঁর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বেলায়েত হোসেন ৯৮ ভোট এবং শেখ শায়ন্তি শীলা ৬ ভোট পেয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. মেহেদী মাসুদ (১১৭ ভোট) নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী এম শামসুদ্দিন আহমদ পেয়েছেন ১০৫ ভোট। দপ্তর সম্পাদক পদে আবু ইউসুফ ১৩২ ভোট পেয়ে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী এম শাখাওয়াত হোসেন মুকুল পেয়েছেন ৮৭ ভোট। প্রচার সম্পাদক পদে বিজয়ী আসাদুজ্জামান আসাদ পেয়েছেন ১২০ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী জাকির হোসেন পেয়েছেন ১০২ ভোট।
নির্বাহী পরিষদের ৭টি সদস্য পদে গাজী-আবদুল্লাহ পরিষদ থেকে নির্বাচিতরা হলেন- মুনশী আবদুল মান্নান (১৫৮ ভোট), কামার ফরিদ (১৪৬ ভোট), নাসির আল মামুন (১৪২ ভোট), সৈয়দ ফজলে রাব্বি ডলার (১৪২ ভোট), এডিএম সাদ বিন রাবি (১৩১ ভোট), মোহাম্মদ শাহ আলম শফি (১১৮ ভোট) এবং সাদিকুল ইসলাম স্বপন (১০০ ভোট)। সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী আজিজ-প্রধান প্যানেলের প্রার্থীরা পেয়েছেন মোস্তফা কামাল মজুমদার ৯১ ভোট, দেওয়ান মাসুদা সুলতানা ৮৩ ভোট, মশিউর রহমান রুবেল ৮০ ভোট, একাব্বর আলী ৭৭ ভোট, বাবুল খন্দকার ৫৫ ভোট এবং শাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী ৩৪ ভোট।
বিপুল সংখ্যক কাউন্সিলর ও ঢাকার সাংবাদিক ইউনিয়নের উৎসাহী সদস্য ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে রোববার রাত দেড়টার দিকে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার পর সেখানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নবনির্বাচিত সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবদুস শহীদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন ও নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান কায়কোবাদ মিলন। নির্বাচন কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছে মোঃ সাদাত হোসেন, আবুল হোসেন খান মোহন, নজীব ওয়াদুদ ও শহীদুল ইসলাম।
এ দিকে সোমবার সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে নবনির্বাচিত নেতাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান অঙ্গ ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা। এর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।