বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মংলা সংবাদদাতা : মংলায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সাবেক কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ২৫ লাখ টাকা আত্বসাতের চেষ্টা ব্যর্থ করে দিল পুলিশ। পুলিশের হাতে প্রমানসহ আটক হয় প্রকল্পের মংলা শাখার সিও অর্চনা গুপ্ত। স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দেয় সে। অর্চনা গুপ্তর ৮ মাসের বাচ্চার কথা বিবেচনা করে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হলে, পুলিশের হেফাজত থেকে সে ছাড়া পায়। তবে সাবেক কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করার জন্য মানবিক বিবেচনায় ছাড় পেলেও অর্থ আত্বসাতের বিষয় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এই স্বাক্ষর জালিয়াতির সাথে আরো ৩ জন জড়িত ছিল বলে জানা গেছে।
মংলায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের তৎকালিন উপজেলা সমন্বয়কারী জুলেখা বিবি ২০১৬ সালের ১৪ আগস্টে ৩মাসের ছুটি শেষে বিদেশ থেকে ফিরে এসে অফিসের টাকা আত্বসাতের বিষয় ধরে ফেলেন। এসময় কম্পিউটার অপারেটর কাম হিসাব সহকারী (সিও) অর্চনা গুপ্তকে হিসাব বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিলে অর্চনা গুপ্ত অসুস্থতার কথা বলে তালবাহানা করতে থাকে। এক পর্যায় অর্চনা গুপ্তর বিরুদ্বে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান কার্যালয় লিখিত ভাবে অনুরোধ করলে অর্চনা গুপ্ত ৬ সাসের মাতৃত্বকালিন ছুটি নিয়ে চলে যায়। এরপরে উপজেলা সমন্বয়কারী ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই বদলী জনিত কারণে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলায় চলে যায়। মংলা উপজেলায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আর্থিক অনিয়মের বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল ইসলামের আবেদনের পেক্ষিতে হেড অফিসের স্মারক নং-এবাএখা/প্রশাঃ/তদন্ত/১৪০/২০১৭-১৩/৬৯ তাং-১৭/০১/২০১৮ এর আলোকে একটি অডিট টিম গত ১২ ফেব্রæয়ারি মংলাতে তদন্তে আসে। ঐ টিমের তদন্তকালে অর্চনা গুপ্ত সাবেক উপজেলা সমন্বয়কারী জুলেখা বিবির স্বাক্ষর কম্পিউটার স্ক্যান করে বসিয়ে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেন।
সাবেক উপজেলা সমন্বয়কারী জুলেখা বিবি তার স্বাক্ষর কম্পিউটার স্ক্যান করে জালিয়াতির বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত ভাবে আবেদন করলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মংলা থানায় পাঠানো হয়। পরে পুলিশের এস আই গোলাম মোস্তফা গত বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার সামনে তাকি কম্পিউটারের অভিযান চালিয়ে স্বাক্ষর জালিযাতির সেই প্রমানসহ একটি ল্যাপটপ জব্দ করে। এরপর আটক করা হয় কঃ অঃ কাঃ হিসাব সহকারী অর্চনা গুপ্তকে। বৃহস্পতিবার রাত প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে নিজের দোষ স্বীকার করে ৮ মাসের সন্তানের কথা বিবেচনা করে ক্ষমা করে দেয়ার অনুরোধ করে অর্চনা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি বিবেচনায় এনে থানা হাজত থেকে মুক্ত করেন অর্চনাকে।
আটক হওয়া তাকি কম্পিউটার অপারেটর মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, অর্চনা গুপ্ত তাকে মিথা কথা বলে সাবেক উপজেলা সমন্বয়কারী জুলেখা বিবির স্বাক্ষর কম্পিউটার স্ক্যান করে জালিয়াতি করে নিয়েছিলেন। ভবিষতে আমরা আর সতর্কতা অবলম্বন করবোনা বলে লিখিত দিলে, পুলিশ তাকে ও জব্দ হওয়া ল্যাপটপ ফেরত দেয়।
মংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, আটক অর্চনা গুপ্ত নিজের দোষ স্বীকার করে লিখিত দিয়েছে কিন্তু তার শিশু সন্তানের কথা বিবেচনা করে তার বাবার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, টাকা আত্বসাতের বিষয় প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।