Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মংলায় ১৯০০ গাড়ির নিলাম চলতি মাসেই

প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মনিরুল ইসলাম দুলু : মংলা বন্দরের জেটিতে খোলা আকাশের নিচে ২০১০ সাল থেকে প্রায় ১ হাজার ৯শ’ আমদানিকৃত রিকন্ডিশনড গাড়ি ৫ বছর ধরে পড়ে আছে। গাড়িগুলো শুল্কায়নে এনবিআর সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব করায় সেগুলো ছাড় করাতে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে আমদানিকারকদের অভিযোগ। অন্যদিকে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা গাড়িগুলো পুলিশের ব্যবহারের জন্য দিয়ে দিতে প্রস্তাব করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। আমদানি হওয়ার পর থেকে এক মাস পর্যন্ত বন্দরে রাখার বিধান রয়েছে। এত বছর ধরে বন্দর জেটিতে পড়ে থাকা গাড়িগুলোতে দেখা দিয়েছে যান্ত্রিক ত্রুটি ও মরিচা। ওই গাড়িগুলো চলতি মাসেই নিলামে দেবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এর আগে ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই প্রায় ২ হাজার ১৩৬টি রিকন্ডিশনড গাড়ি নিলামের মাধ্যমে বিক্রির উদ্যোগ নেয় মংলা কাস্টমস। কিন্তু বাণিজ্য ও অর্থমন্ত্রনালয়ের নিষেধাজ্ঞার কারণে সেই নিলাম স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। এবার ৪ মাস পর ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর ৩৬৪টি গাড়ি নিলাম হলেও পরে তা স্থগিত হয়ে যায় ।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রফিক) গোলাম মোক্তাদির জানান, মংলা বন্দরের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আনা প্রায় ১৯০০ গাড়ি শুল্কায়নের জটিলতায় ছাড় করাতে পারেনি আমদানি কারকরা। ওই গাড়িগুলো চলতি মাসেই নিলামে দিবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বারভিডার সভাপতি মো. আবদুল হামিদ শরিফ বলেন, দীর্ঘদিন গাড়িগুলো মংলা বন্দর জেটিতে পড়ে থাকায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিচ্ছে। শুল্কায়নে এনবিআর সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব করায় গাড়ি ছাড় করাতে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আইনের মধ্যে থেকে ব্যবসায়ীদের ছাড় দিয়ে দিলে তাদের পুঁজি রক্ষা পেত।তাই কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এ জটিলতার নিরসন করতে পারে। এসব রিকন্ডিশন গাড়ি শুল্কায়নের জটিলতায় হয়রান হয়ে এখন মংলা বন্দর থেকে ছাড় করাতে আমদানিকারকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।
গাড়ি আমদানীকারক সিনওয়া অটো মোবাইলস এর মালিক ক্যাপ্টেন মোঃ রফিক বলেন, নতুন ও পুরাতন গাড়ির জন্য একই কর ধার্য করায় দামের বৈষম্য সৃষ্টি হয়। এ কারণে গাড়ি বিক্রি করতে পারেনি তারা । ফলে আমদানীকাররা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, আমদানি নীতিতে ৫ বছরের অধিক পুরাতন গাড়ি ছাড় করনোর ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রানালয়ের অনুমতি নেওয়ার নিয়ম আছে। কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ছাড়পত্র না দেওয়ায় মংলা বন্দরে গাড়ির জট বেড়েছে।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ জানান, শুল্কায়নের জটিলতার কারণে ২০১০ সাল থেকে মংলা বন্দরে ১ হাজার ৯০০ গাড়ি পড়ে আছে। গাড়ি পড়ে থাকায় বন্দরের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আমরা জায়গার ভাড়া পাচ্ছি। যদিও গাড়ি আমদানি হওয়ার পর থেকে এক মাস পর্যন্ত বন্দরে রাখার বিধান রয়েছে। তবে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমার এ জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছেন। আশা করছি, অচিরেই এ জটিলতার নিরসন হবে।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা গাড়িগুলো পুলিশের ব্যবহারের জন্য দিয়ে দিতে প্রস্তাব করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। এদিকে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভায় গাড়িগুলোর শুল্ক-কর নির্ধারণ করে ৪ মাসের মধ্যে খালাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা না হলে খালাস-ব্যর্থ গাড়িগুলো আইনানুগভাবে নিলামে বিক্রির ব্যবস্থা হবে। এ ব্যাপারে মংলা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মংলায় ১৯০০ গাড়ির নিলাম চলতি মাসেই
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ