পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মংলা সংবাদদাতা : মংলায় এহসান সোসাইটির লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ নিয়ে নানা রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। সংস্থাটির কর্মকর্তা ও মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়ায় এ রহস্য দেখা দিয়েছে আর টাকা আত্মসাতের দায়ভার এক পক্ষ অপর পক্ষকে দায়ী করছেন। এ অবস্থায় গ্রাহকদের সঞ্চয় ফেরৎ পাওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তবে সংস্থার মংলা শাখার সমন্বয়কারী ক্বারী মো: সাইয়েদ আহম্মদ জানান, সঞ্চয়ের হিসাব চাইতে গেলে কতিপয় মাঠ কর্মকর্তা বিভিন্ন সময় তাকে ভাড়াটিয়া মাস্তান দিয়ে জীবন-নাশের হুমকি দিচ্ছে।
ক্বারী মো: সাইয়েদ আহম্মদ লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, এহসান সোসাইটি মংলা শাখায় এ যাবৎ গ্রাহকদের কাছ থেকে ৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা গ্রহণ করে। আর ইতিমধ্যে ২ কোটি ৫১ লাখ টাকা গ্রাহকদের ফেরত দেয়া হয়েছে। বাকী ৯৬ লাখ টাকা গ্রাহকরা এখনও পাওনা রয়েছে।
মংলা শেহলাবুনীয়া মৌজার জায়গা বিক্রয় করার ৪০ লাখ টাকার হিসাব রুহুল আমীনসহ কিছুসংখ্যক কর্মীর কারণে সমম্বয় করা সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে এহসান সোসাইটি গ্রাহকরা ৯৬ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। ওই টাকার হিসাব সমন্বয় হলে ৫৬ লাখ টাকার দাবিদার গ্রাহকরা।
এ ছাড়া এহসান রিয়েল এস্টেটের নিকট এহসান সোসাইটি ৩৫ লাখ টাকা পাওনা আছে। আর জমি ক্রয় বাবদ পাওনা ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অপর দিকে রূপসা ফিলিং-এর নামে ক্রয়কৃত জমির বর্তমান মূল্য ১৮ লাখ টাকা। আর গ্রাহকদের ঋণ খেলাপী ২৭ লাখ টাকা। মংলা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন দপ্তরে দায়ের করা লিখিত অভিযোগে সংস্থার মংলা শাখার সমন্বয়কারী ক্বারী মো: সাইয়েদ আহম্মদ আরও জানান, গত ১৫ আগস্ট অফিসের হিসাব প্রদান করার জন্য মাঠ কর্মকর্তা রহুল আমীনসহ তার অনুসারী মাঠকর্মীকে নোটিশ প্রদান করা হয়। কিন্তু হিসাব না দিয়ে রহুল আমীন গং ৪০ লাখ টাকা আত্মসাত করে নানা রকম অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় ভাড়াটিয়া মাস্তান দিয়ে তাকে জীবননাশের হুমকি ও মামলায় ফাঁসানোর চক্রান্ত করছে।
তিনি জানান, ২০০৫ সালে আলেম ওলামার পরামর্শে স্থানীয় ঈমাম মুয়াজ্জিন ও মাদ্রাসার শিক্ষকদেরকে নিয়ে এহসান সোসাইটি কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৪ সাল পর্যন্ত সুনামের সহিত কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। এহসান রিয়েল এস্টেট নামক প্রজেক্ট এর নামে টঙ্গীতে জমিও ক্রয় করে। এহসান সোসাইটি মংলা শাখার সঞ্চিত অর্থে ক্রয়কৃত ওই জমিতে মুনাফার আশায় ৮৯ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়। ২০১৪ সালে ওই জমির বাজারমূল্য কমে যাওয়ায় রিয়েল এস্টেট কর্মকর্তারা টাকা দিতে ব্যর্থ হয়। এ নিয়ে একাধিক বার সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও বিনিয়োগের টাকা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। অথচ রুহুল আমীনসহ কতিপয় মাঠকর্মী গং ২১ আগস্ট সংবাদ সম্মলেনের মাধ্যমে ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা নিয়ে প্রধান সমম্বয়কারী ও ম্যানেজার অফিসের তালা ঝুলিয়ে উধাও হওয়ার অপপ্রচার চালায়।
এ অবস্থায় এহসান সোসাইটির কর্মকর্তা ও মাঠ কর্মীদের দু’গ্রæপের রেসারেসিতে জড়িয়ে পড়ায় চরম বেকায়দায় পড়েছেন ২ হাজার গ্রাহক। গ্রহকরা তাদের সঞ্চয়ের লাখ লাখ টাকা অদৌ ফেরৎ পাবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।