Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুকুলে ছেয়ে গেছে শহর-নগর, গ্রামগঞ্জ

কুমিল্লায় আমের ব্যাপক ফলনের সম্ভাবনা

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে: | প্রকাশের সময় : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

মুকুলের ভারে নুয়ে পড়েছে গাছের ডাল-পালা। ঢাকা পড়েছে গাছের পাতা। এবারে কুমিল্লার বিভিন্ন গ্রাম ও নগরের বাড়িগুলোর আমগাছে মুকুলের বিপুল সমারোহ ঘটেছে। আমগাছগুলোতে মুকুলের ব্যাপক সমারোহ দেখে জেলার উদ্ভিদবিদরা বলছেন এবারে কুমিল্লা অঞ্চলে আমের ব্যাপক ফলনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
এবারে কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলার কৃষি নির্ভর গ্রামগুলোতে ধান, পাট, সরিষাসহ নানা প্রকারের ফল ও সবজি উৎপাদনে সমৃদ্ধ পেলেও মধুমাসের ফল আম উৎপাদন হয়না। কারণ কুমিল্লায় কোন আম বাগান নেই। তবে গ্রামগঞ্জের প্রতিটি বাড়িতেই কমবেশি আমগাছ রয়েছে। আবার শহরের দালান-কোঠায় আচ্ছন্ন পরিবেশেও অনেক বাড়িতে ছোটবড় আম গাছের দেখা মেলে। অনেকের বাড়ির ছাদেও উন্নত জাতের আমগাছের চারা লাগিয়ে পরিচর্যা করে প্রতি মৌসুমেই আম পাচ্ছেন। আবার অনেকে বারোমাসি আমগাছও লাগিয়েছেন। কুমিল্লা শহর ও বিভিন্ন গ্রামের বাড়িতে থাকা আমগাছগুলোতে অন্যান্যবারের তুলনায় এবারে বিপুল পরিমাণ মুকুল এসেছে। যেসব আমগাছে গত কয়েক বছরেও মুকুলের দেখা মেলেনি সেসব গাছের ডাল-পালা, পাতা মুকুলে ঢাকা পড়েছে। মুকুলের সমারোহ দেখে বাড়ির লোকদের মনে-প্রাণে আনন্দ বইছে। অনেকেই মুকুল রক্ষার জন্য কৃষি অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিচ্ছেন। কেউ কেউ গাছের যতেœ বেশ মনোযোগি উঠেছেন। কুমিল্লার কয়েকজন উদ্ভিদবিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আমের মাস বলতে জ্যৈষ্ঠ মাসকে বুঝালেও কুমিল্লা অঞ্চলে সাধারণত বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ে এখানকার আম হাট-বাজারে উঠে থাকে। সেই হিসেবে এবারে মাঘ মাসের শুরু থেকেই এখানকার আমগাছগুলোতে মুকুলের সমারোহ বলে দিচ্ছে ব্যাপক ফলনের ইতিবাচক লক্ষণ। ফালগুন-চৈত্রে এসব মুকুল শেষ পর্যন্ত গাছে টিকে থাকলে কুমিল্লায় আমের বেশ ভালো ফলন মিলবে।     
কুমিল্লা সদর উপজেলার শহর এলাকার হাউজিং এষ্ট্রেট, গাংচর, চাঁনপুর, শুভপুর, সংরাইশ, সুজানগর, জগন্নাথপুর, বালুতুপা, নুরপুর, ছোটরা, কালিয়াজুরি, অশোকতলা, ধর্মপুর, শহরতলীর দূর্গাপুর, পাঁচথুবি, আমড়াতলি, কালিরবাজার, সদর দক্ষিণের চৌয়ারা, সুয়াগাজী, বিজয়পুর, ভুশ্চি, যুক্তিখোলা, গৈয়ারভাঙ্গা, বাগমারা, লালমাই, কোটবাড়ি, বরুড়ার বেলভুজ, তলাগ্রাম, ঝলম, খোশবাশ, দেওরা, পয়েলগাছা, শিলমুড়ি, চান্দিনার বাড়েরা, মাইজখার, জয়দেবপুর, দেবিদ্বারের ধামতি, গুনাইঘর, রাজামেহের, এলাহাবাদ, মুরাদনগরের জাহাপুর, যাত্রাপুর, রামচন্দ্রপুর, নবীপুর, কামাল্লা, শ্রীকাইল, ভাংগোরা, হোমনার ঘোরমোরা, নাগেরচর, চান্দেরচর, দাউদকান্দির সুন্দালপুর, বড়পাড়া, কড়িকান্দি, গৌরিপুর, পাঁজগাছিয়া, বিতিসর, বুড়িচংয়ের পীরযাত্রাপুর, ষোলনল, রাজাপুর, ময়নামতি, বাকশিমূল, ব্রাহ্মণপাড়ার দুলালপুর, সাহেবাবাদ, শিদলাই, লাকসামের, গোবিন্দপুর, দৌলতগঞ্জ, বাইশগাঁও, নাঙ্গলকোটের মৌকারা, আদ্রা, বক্সগঞ্জ, বাঙ্গড্ডা, দৌলখার, পেরিয়া, জোড্ডা, চৌদ্দগ্রামের বাতিশা, কনকাপৈত, চিওড়া, হরিপুর, মিয়াবাজার, কাশিনগর, উজিরপুর, জোড়কানন, মুন্সিরহাট, শ্রীপুরসহ অন্যান্য উপজেলার বিভিন্ন গ্রামেন্যাংড়া, ফজলি, হিমসাগর ও আশ্বিনিজাতের আমগাছগুলো মুকুলে ছেয়ে গেছে। হলুদ বর্ণের মুকুল সূর্যের সোনালী আলোয় যেনো অপরূপ রঙ ছড়াচ্ছে। মাস দুয়েকের মধ্যে পরিপূর্ণ আমে ছেয়ে যাবে গাছগুলো। শহরের যেসব বাড়ির আমগাছে মুকুল এসেছে সেসব বাড়ির লোকজন আম পাকার পর নিজেরা খেয়ে থাকেন এবং আত্মীয়-স্বজনের মাঝে বিলি করে থাকেন। আর গ্রামের বেশির লোকজনই গাছের আম গঞ্জের হাটে বা শহরের বাজারে এনে বিক্রি করে থাকেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সম্ভাবনা

৮ এপ্রিল, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ