Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নোয়াখালী : তার অপার সম্ভাবনা

আনোয়ারুল হক আনোয়ার | প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০২২, ১২:০৩ এএম

১৮৬৮ সালে নোয়াখালী জেলা নামকরণ করা হয়। এর আগে ১৮২১ সালে ভূলুয়া নামে স্বতন্ত্র জেলা প্রতিষ্ঠার পূর্ব পর্যন্ত এ অঞ্চল ত্রিপুরা জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। নোয়াখালী জেলা ফেনী, লক্ষীপুর নিয়ে গঠিত একটি বৃহত্তর অঞ্চল ছিল, যা এখনো বৃহত্তর নোয়াখালী নামে পরিচিত। নোয়াখালী জেলা মর্যাদা পায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এদেশে জেলা প্রশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় থেকেই। ১৭৭২ সালে ওয়ারেন হেস্টিংস এদেশে প্রথম আধুনিক জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগে নেন। তিনি সমগ্র বাংলাদেশেকে ১৯টি জেলায় বিভক্ত করে প্রতি জেলায় একজন করে কালেক্টর নিয়োগ করেন। এই ১৯টি জেলার একটি ছিল কালিন্দা। এ জেলাটি গঠিত হয়েছিল মূলত নোয়াখালী অঞ্চল নিয়ে। কিন্তু ১৭৭৩ সালে জেলা প্রথা প্রত্যাহার করা হয় এবং প্রদেশ প্রথা প্রবর্তন করে জেলাগুলোকে প্রদেশের অধীনস্থ করা হয়। ১৭৮৭ সালে পুনরায় জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয় এবং সমগ্র বাংলাদেশকে ১৪টি জেলায় ভাগ করা হয়। এই ১৪টির মধ্যে ভুলুয়া নামে নোয়াখালী অঞ্চলে একটি জেলা ছিল। পরে ১৭৯২ সালে ত্রিপুরা নামে একটি নতুন জেলা সৃষ্টি করে ভুলুয়াকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তৎকালে শাহবাজপুর, হাতিয়া, নোয়াখালীর মূলভূখন্ড, লক্ষীপুর, ফেনী, ত্রিপুরার কিছু অংশ, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও মীরসরাই নিয়ে ছিল ভুলুয়া পরগণা। ১৮২১সালে ভুলুয়া নামে স্বতন্ত্র জেলা প্রতিষ্ঠার পূর্ব পর্যন্ত এ অঞ্চল ত্রিপুরা জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৬৮ সালে ভুলুয়াকে নোয়াখালী জেলা নামকরণ করা হয়। নোয়াখালী, লক্ষীপুর ও ফেনী মহকুমা নিয়ে নোয়াখালী জেলা চট্টগ্রাম বিভাগের একটি বৃহৎ জেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৮৪ সালে সকল মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হলে লক্ষীপুর ও ফেনী জেলা আলাদা হয়ে যায়। শুধুমাত্র নোয়াখালী মহকুমা নিয়ে নোয়াখালী জেলা গঠিত হয়। তখন নোয়াখালীর উপজেলা ছিল ৬টি। পরবর্তীতে আরও ৩টি উপজেলা সৃষ্টি করার পর বর্তমানে উপজেলার সংখ্যা ৯টি।

নোয়াখালী শহর
নোয়াখালী একমাত্র জেলা, যার নিজ নামে কোনো জেলা শহর নেই। এ জেলার কেন্দ্রবিন্দু মাইজদী নামে পরিচিত। ১৯৪৮ সালে নোয়াখালী উপজেলা সদর দপ্তর মেঘনা নদীগর্ভে বিলীন হয়। ১৯৫০ সালে ৮ কিলোমিটার উত্তরে জেলার সদর দপ্তর অস্থায়ীভাবে মাইজদীতে স্থানান্তর করা হয়। মাইজদী মৌজায় ক্ষেত ও খোলা মাঠে পুরাতন শহরের ভাঙ্গা অফিস আদালতের মালামাল এনে এখানে স্থাপন করা হয় এবং ১৯৫৩ সালে শহরের পুরানো এলাকা কালিতারা, সোনাপুর ও মাইজদীসহ কাদিরহানিফ ইউনিয়নের কয়েকটি মৌজা নিয়ে গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে নোয়াখালী পৌর এলাকা ঘোষণা করা হয়। মাইজদীতে শহর স্থানান্তর করা হলেও দীর্ঘ একযুগ পর্যন্ত মাইজদীকে নোয়াখালী জেলা সদর দপ্তর হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি বিতর্কিত ছিল। এর মধ্যে বর্তমান বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে জেলা সদর দপ্তর স্থানান্তরের দাবিতে গ্রুপিং সৃষ্টি হয়। কথিত আছে, সে সময় নোয়াখালীর সুধারাম থানার সল্যাঘটাইয়া নিবাসী উপমহাদেশের বিশিষ্ট খনিজ বিজ্ঞানী ওবায়েদ উল্যাহ ইঞ্জিনিয়ার সাহেব চৌমুহনী বাজারের মাটির নিচে কয়লার খনি থাকার সম্ভাবনার কথা বলার পর অবশেষে ১৯৬২ সাল মাইজদীকে নোয়াখালী জেলার স্থায়ী সদর দপ্তর হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

দর্শনীয় স্থান
নোয়াখালীতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বৃহৎ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ‘স্বর্ণদ্বীপ’, রোহিঙ্গাদের আবাসনের জন্য নির্মিত ‘ভাসানচর’ এবং পর্যটন সমৃদ্ধ ‘নিঝুমদ্বীপ’ এখন দেশ-বিদেশে পরিচিত। এছাড়া জেলা জামে মসজিদ, বজরা শাহী মসজিদ, সেনবাগ উপজেলার ডুমুরুয়া ইউনিয়নের আধুনিক স্থাপত্যসমৃদ্ধ নলুয়া মিয়াবাড়ি জামে মসজিদ ও কাবিলপুর ইউনিয়নের কাবিলপুর গ্রামে হাসেম সওদাগরের বাড়িতে অবস্থিত হাক্কানি জামে মসজিদ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, জয়াগ গান্ধী আশ্রম, সোনাইমুড়িতে বীর শ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর, ডেল্টা জুট মিলস লি., কমলা রাণীর দিঘী, বেগমগঞ্জ হাফেজ মহিউদ্দিন (র.) এর মাজার শরীফ, চৌমুহনীতে ঠাঁকুর রামচন্দ্র দেবের সমাধি আশ্রম, কবিরহাট উপজেলায় হযরত ছনখোলা দরবেশ সাহেবের মাজার শরীফ, বদরীপুর হযরত ইয়াকুব নূরী (রহ.) এর মাজার শরীফ, সোনাইমুড়ি বাজার বড় মসজিদ, মুছাপুর ক্লোজার, হাতিয়া চেয়ারম্যান ঘাট, সোনাপুর হলিডে ড্রিম পার্ক, সেনবাগ প্রতাপপুর রাজবাড়ি, সোনামুড়ির গোপালপুর চৌধুরী বাড়ি, চৌমুহনী কৃষি প্রশিক্ষণ ইনিস্টিটিউট, মাইজদী কোর্ট বিল্ডিং দিঘী উল্লেখযোগ্য।

সম্ভবনাময় অঞ্চল
মেঘনা বেষ্টিত হাতিয়া উপজেলার পূর্বদিকে অবস্থিত ‘ভাসানচর’, উত্তর-পূর্বদিকে দেশের বৃহৎ সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ‘স্বর্ণদ্বীপ’ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে পর্যটন খ্যাত ‘নিঝুমদ্বীপের’ সুবাদে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নোয়াখালীর জেলা পরিচিতি লাভ করেছে। অপরদিকে হাতিয়াদ্বীপের চতুর্পাশের্^ মেঘনার বুক চিরে বিস্ময়করভাবে শত শত বর্গকিলোমিটার ভূমি জাগছে। নদীবেষ্টিত হাতিয়ায় বিস্তীর্ণ ভূমি জেগে উঠায় নোয়াখালী জেলার মানচিত্রেও ক্রমান্বয়ে পরিবর্তন ঘটছে। বর্তমানে হাতিয়া উপজেলার আয়তন চার হাজার বর্গকিলোমিটারের বেশি বলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যান সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া হাতিয়াদ্বীপের উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণদিকে প্রতি বছর বিশাল চর জাগছে। এর মধ্যে অর্ধশতাধিক চরের সন্ধান মিলছে। আগামী এক দশকের মধ্যে এসব জেগে ওঠা চর পূর্ণতা লাভ করবে। এছাড়া জেগে ওঠা আরও কয়েকটি নতুন চরে বসতি গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে হরনী ও চানন্দি ইউনিয়ন, ঘাসিয়ার চর, ঢালচর, কালির চর ও দমারচরে দেড় লক্ষাধিক অধিবাসী বসবাস করছে। হাতিয়া নিঝুমদ্বীপের দক্ষিণে বাংলাদেশের জন্য আরো বিস্ময় অপেক্ষা করছে। নিঝুমদ্বীপের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ-জাহাজমারা ইউনিয়নের মধ্যবর্তী চ্যানেল পেরিয়ে অসংখ্য ট্রলার গভীর সমুদ্রে ইলিশ আহরণে পাড়ি জমায়। স্থানীয় জেলেদের সূত্রে জানা গেছে, নিঝুমদ্বীপ থেকে দক্ষিণে ৩৫/৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত পানির গভীরতা ৬/৭ মিটার। এরপর আরও ৫০/৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত পানির গভীরতা ১২/১৩ মিটার। আগামী এক থেকে দেড় দশকে এপথে আরও কয়েকশত বর্গকিলোমিটার ভূমি জেগে উঠার উজ¦ল সম্ভাবনা রয়েছে। হাতিয়ার চর্তুদিকে ভূমি জেগে ওঠা অব্যাহত থাকলে আগামী দুই দশকে আরও একটি জেলার আয়তনের সমান হবে।

অর্থনৈতিক সম্ভাবনা: নোয়াখালীর দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকা এবং মেঘনাবেষ্টিত হাতিয়া উপজেলাকে ঘিরে আশার আলো দেখছে এ এলাকার অধিবাসীরা। বিশেষ করে, নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় সরকারের বিস্তীর্ণ ভূমির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক গতি সঞ্চারের উজ¦ল সম্ভাবনা রয়েছে। সূবর্ণচর মেঘনার উপকূলবর্তী হওয়ায় কৃষি, মৎস্য, বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্র, পর্যটন, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিপুল সম্ভাবনা বিরাজ করছে। আশার কথা, সরকারের উদ্যোগে সুবর্ণচরে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। এছাড়া উপকূলীয় ও দ্বীপাঞ্চলে মৎস্য, ধান, শুঁটকি, চিনাবাদাম, মরিচ, সয়াবিন, আলু, তরমুজসহ বরিশস্য ও শাকসবজির জন্য বিখ্যাত। বিশেষ করে, সুবর্ণচরে বিভিন্ন মৎস্য খামারে উৎপাদিত মৎস্য ও মেঘনায় আহরণকৃত হাজার হাজার টন মৎস্য স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। হাতিয়ায় নৌঘাটগুলোতে শতাধিক মাছের আড়ত রয়েছে। ভরা ইলিশ মৌসুমে এখানে ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য লক্ষ করা যায়। প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এ পেশার সাথে সম্পৃক্ত। সংরক্ষণের অভাবে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার সামুদ্রিক মাছ বিনষ্ট হচ্ছে। এতে করে জেলেরা আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে। হাতিয়ায় সরকারি-বেসরকারিভাবে একটি মৎস্য প্রক্রিয়াজাত কারখানা প্রতিষ্ঠা হলে পুরো মৌসুমে মৎস্য সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।


যোগাযোগ ব্যবস্থা
নোয়াখালীতে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটছে। দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে সড়কযোগে অনায়াসেই নোয়াখালীতে যাতায়াত করা যায়। কুমিল্লা-বেগমগঞ্জ-সোনাপুর জিরোপয়েন্ট চার লেন সড়কের প্রায় ৮০% কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী-২০২৩ সালে অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন হলে যোগাযোগ ক্ষেত্রে নব দিগন্তের সূচনা ঘটবে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সাথে নোয়াখালী অঞ্চলের দ্রুত ও নিরাপদ সড়ক যোগাযোগের লক্ষ্যে সোনাপুর-সোনাগাজী-জোরালগঞ্জ সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী-২০২৩ সালে সড়কটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ১৬টি জেলার দেড় কোটি অধিবাসী উপকৃত হবে। লক্ষীপুর-বেগমগঞ্জ-ফেনী চারলেন সড়কের নির্মাণ কাজ চলছে। অপরদিকে নোয়াখালী জেলা সদরের সাথে উপকূলীয় সুবর্ণচর উপজেলা ও দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সড়ক ও নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ হচ্ছে। সোনাপুর থেকে সুবর্ণচর-হাতিয়া চেয়ারম্যান ঘাট পর্যন্ত সড়কটি বিভিন্ন অংশে নির্মাণ ও সংস্কার কাজ চলছে। এছাড়া চেয়ারম্যান ঘাট থেকে হাতিয়া নলচিরা নৌঘাট রুটে যাতায়াতের জন্য সার্বক্ষণিক নৌযান রয়েছে। হাতিয়াদ্বীপের অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও সন্তোষজনক। নলচিরা নৌঘাট থেকে জাহাজমারা ইউনিয়ন পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। পর্যটন নগরী নিঝুমদ্বীপের অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো থাকায় পর্যটকরা সহজেই পুরো নিঝুমদ্বীপ ভ্রমণ করতে পারে।

প্রবাসী ও শিল্পায়ন
নয়টি উপজেলা নিয়ে গঠিত নোয়াখালী জেলার আয়তন সাড়ে চার হাজার বর্গকিলোমিটার বলা হলেও হাতিয়া উপজেলায় মেঘনার বুক চিরে যে পরিমাণ ভূমি জেগে উঠেছে তার সঠিক পরিমাপ এখনো সম্পন্ন হয়নি। নোয়াখালীর জনসংখ্যা ৩৭ লাখ। শিক্ষার হার ৭০%। জেলার অর্থনীতি মূলত কৃষিনির্ভর হলেও সাড়ে ছয় লক্ষাধিক প্রবাসীর প্রেরিত রেমিটেন্স জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। একমাত্র ইসরাইল ব্যতীত বিশে^র প্রতিটি দেশে নোয়াখালীর অধিবাসীরা অবস্থান করছে। বিশেষ করে, মধ্যপ্রাচ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় বেশিরভাগ কর্মরত। সে সুবাদে প্রতিমাসে দুই থেকে তিনশ’ কোটি টাকার রেমিটেন্স আসে বিদেশ থেকে। নোয়াখালীতে জন্মগ্রহণকারী বেশ কয়েকজন শিল্পপতি জাতীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, প্রদীপের নিচে অন্ধকারের ন্যায় এসব শিল্পপতি নোয়াখালীতে শিল্পায়নে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছেন না। চৌমুহনীতে ডেল্টা জুট মিলস ও বেগমগঞ্জে গ্লোব শিল্প গোষ্ঠির কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান ব্যতীত বৃহদাকারের আর কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান নেই। বেগমগঞ্জ ও নোয়াখালী সদরের সোনাপুরে ২টি বিসিক শিল্পনগরী থাকলেও এগুলো ক্ষুদ্রাকারের। নোয়াখালীতে শিল্পায়নের লক্ষ্যে জেলা সদরের দক্ষিণে বিস্তীর্ণ সরকারি খাস জমি রয়েছে। এর মধ্যে কয়েক হাজার একর জমি দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে বেহাত হওয়া জমি একদিনেই উদ্ধার করা সম্ভব। উপকূলীয় এলাকায় সরকারের খাসভূমিতে শিল্পায়ন এখন সময়ের দাবি। বিশেষ করে, উপকূলীয় এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, পরিবেশ ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শিল্পায়নের যথেষ্ট সুযোগ বিদ্যমান।

লেখক : বিশেষ সংবাদদাতা, নোয়াখালী ব্যুরো, দৈনিক ইনকিলাব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নোয়াখালী : তার অপার সম্ভাবনা
আরও পড়ুন