Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মিয়ানমার সেনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন দেব : বারবারা

রোহিঙ্গারা নাগরিকত্ব চায় নিরাপদে বাঁচতে চায়

| প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টের এক জার্মান সদস্য। বার্তা সংস্থা ডিপিএ-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংসদ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি মিয়ানমার সফর করছেন। সেই প্রতিনিধি দলে আছেন বারবারা লখবিহলার নামের ওই জার্মান আইনপ্রণেতা। ডিপিএকে দেয়া সাক্ষাৎকারে গ্রিন পার্টির সদস্য ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জার্মানির সাবেক মহাসচিব বারবারা বলেন যে, মিয়ানমার মিলিটারির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির মতো যে কোনো সিদ্ধান্তে তিনি সমর্থন দেবেন। আগামী ২৬ ফেব্রæয়ারি ইইউ›র ফরেন অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলের সভা বসবে। সেখানে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার একটি সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে মনে করেন বারবারা। তিনি বলেন যে, সাত লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অত্যাচারে পালিয়েছে। যে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, তারা পরিষ্কারভাবে দেশে ফিরতে চান, যদিও তারা তাদের দেশে চরম বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। বলছিলেন বারবারা। ‘কিন্তু তারা নাগরিকত্ব চান। নিরাপদে বাঁচতে চান। তিনি আরো বলেন, তারা শরণার্থী শিবিরে নিরাপদ বোধ করছেন। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় মিয়ানমার সরকার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থাকে যুক্ত হতে বাধা দিচ্ছে মিয়ানমার সরকার, যা উচিত হচ্ছে না বলে মনে করেন বারবারা। তারা যদি মনে করে, জাতিসংঘকে বাদ দিয়ে তারা এসব করবে, তাহলে ভুল করছে। ইইউ প্রতিনিধি দলটি রাখাইন সফর করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সফর করতে দেয়া হয়নি। গত শুক্রবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ করার কথা ছিল, কিন্তু অং সান সু কি তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় দেননি। তবে শোনা যাচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা শুধু মিয়ানমারের সেনাদের ওপরই করা হবে, জনগণের ওপর নয়। প্রসঙ্গত, কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের ওপর গত ২৫ আগস্ট নতুন করে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরু হলে ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসতে শুরু করে তারা। এই কয় মাসে সাত লাখের মতো রোহিঙ্গা এসে আশ্রয় নিয়েছে। আগে বিভিন্ন সময়ে আসা আরও চার লাখের মতো রোহিঙ্গার ভার বহন করছে। ডয়েচে ভেলে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ