মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ চীন, রাশিয়া ও অন্যান্য দেশের ওপর উচ্চমাত্রার শুল্ক আরোপ করার সুপারিশ করেছে। বিশ্বব্যাপী ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের অতি সরবরাহ রোধ করার উদ্দেশ্যে এ সুপারিশ করা হয়েছে। অতি সরবরাহকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করছে দেশটির বাণিজ্য বিভাগ। এ পদক্ষেপে প্রেসিডেন্টব্র ট্রাম্প তার ঘোষিত ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির পক্ষে একটি শক্ত বার্তা দিতে পারবেন; তবে একই সঙ্গে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, যেসব দেশকে লক্ষ্য করা হচ্ছে, তাদের পাল্টা জবাবে নিশ্চিতভাবেই বাণিজ্য যুদ্ধের সূচনা হতে পারে। গত মাসে প্রেসিডেন্টের কাছে পেশ করা দুটি প্রতিবেদন শুক্রবার প্রকাশ করা হয়। এতে বাণিজ্য সচিব উইলবার রস বেশকিছু সম্ভাব্য বিকল্পের কথা তুলে ধরেন। এসবের মধ্যে আছে আমদানি করা সব ইস্পাতের ওপর অন্তত ২৪ শতাংশ শুল্ক এবং চীন, রাশিয়া ও অন্য তিনটি দেশ থেকে আমদানি করা অ্যালুমিনিয়ামের ওপর অনুরূপ হারে শুল্ক আরোপ করা। অন্য যেসব বিকল্প রয়েছে, সেগুলো হচ্ছে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর উচ্চমাত্রায় শুল্ক বা কোটা আরোপ করা। সাংবাদিকদের রস বলেন, মূল প্রশ্ন হচ্ছে সস্তা আমদানি অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত পণ্যগুলোকে বিপন্ন করে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ন্ন করছে কিনা। তিনি বলেন, ‘আমি হিসাব করে দেখেছি যে, সস্তা পণ্যগুলো সেটি করে।’ রস বলেন, ডাম্পিং বা অবৈধ ভর্তুকির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথাগত পদক্ষেপ বাজারের অতি সরবরাহ সমস্যা, বিশেষত চীনেরটি চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছে, কারণ গুরুতর আইন লঙ্ঘনকারীরা আরেক দেশের মাধ্যমে আন্তঃচালান করে এসব এড়িয়ে যেতে পারে। সম্ভাব্য বিকল্পগুলোর মধ্যে কোনটি গ্রহণ করবেন, এ ব্যাপারে ট্রাম্প মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত সময় পাবেন। রস মনে করেন যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় রফতানিকারক দেশগুলো সম্ভবত সেটিকে চ্যালেঞ্জ করবে। ইস্পাত ও অ্যালুমিনায়ামের ওপর যেসব নিষেধাজ্ঞা সুপারিশ করা হয়েছে, সেগুলো অনেক দিন ধরে উদ্বেগের বিষয় হয়ে থাকা চীনের অতি উৎপাদনের ব্যাপারটি চিহ্নিত করেছে, তবে এর কারণ হিসেবে জাতীয় নিরাপত্তা ও সুরক্ষার তকমা এঁটে দেয়া হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসনও এ বিষয়টি মোকাবেলার ইচ্ছা পোষণ করেছিল, তবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে তারা চীনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা করার ব্যাপারে জোর দিয়েছিল। তবে এসব প্রস্তাব চীনের চেয়ে অন্য দেশগুলোকে বেশি ক্ষতি করতে পারে। চীন বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ ইস্পাত নির্মাতা হলেও এটি যুক্তরাষ্ট্রের মোট আমদানির ১ শতাংশেরও কম সরবরাহ করে এবং উৎপাদিত পেটা ইস্পাতের মাত্র ১০ ভাগ রফতানি করে। শুক্রবারের প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ২০০০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ১০টি ইস্পাত কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে ৩৫ শতাংশ কর্মসংস্থান হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে মূলত চীনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদার চেয়ে বৈশ্বিক উৎপাদন সাত গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।