নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : দক্ষিন আফ্রিকা সফর থেকে বিপর্যয় সঙ্গী করে ফিরেছিল ভঙ্গুর এক বাংলাদেশ দল। সেই দলটিই ছন্দ ফিরে পাবার সুযোগ পেয়েছিল ঘরের মাটিতে র্যাংকিংয়ে নিজেদের নীচে থাকা শ্রীলঙ্কাকে পেয়ে। তবে সেই আশায় গুড়ে বালি। সিরিজের শুরটা দুর্দান্ত করেও ফাইনালসহ শেষ দুই ম্যাচ হেরে ছোঁয়া হয়নি ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফি। ২০১৫ সালের পর প্রথমবারের মত দেশের মাটিতে হারতে হয়েছে টেস্ট সিরিজ। আত্মবিশ্বাস কমতির দিকে। দল চোট জর্জর। টি-টোয়েন্টি সংস্করণের ভাষা দলের কাছে এখনও দুর্বোধ্য। এরপরও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের এগিয়ে রাখছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মূল কারণ, খেলা নিজেদের আঙিনায়। দুই ম্যাচের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আজ শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। মিরপুরে খেলা শুরু বিকেল ৫টায়।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে হতাশার পর বাংলাদেশের কিছু পাওয়ার সুযোগ এখন টি-টোয়েন্টিতেই। যদিও দুই সংস্করণের হারে আত্মবিশ্বাস গেছে দমে। একের পর এক চোটের ছোবলেও বিপর্যস্ত দল। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের কাজটা কঠিন। সাকিব আল হাসানের চোটে নেতৃত্ব পাওয়া মাহমুদউল্লাহ তবু বিশ্বাসের রসদ পাচ্ছেন দেশের মাটি থেকে, ‘আমি সবসময়ই বলি, ঘরের মাটিতে আমরা যার বিপক্ষেই খেলি না কেন, আমাদের দলকে এগিয়ে রাখব। যদিও ওয়ানডে ও টেস্টে আমরা আশানুরূপ পারফরম্যান্স দেখাতে পারিনি। তারপরও আমি খুব আশাবাদী যে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব। ভালো খেলেই আমরা ঘুরে দাঁড়াব আশা করি। টি-টোয়েন্টি ভিন্ন ঘরানার খেলা। ওয়ানডের ধরণ আলাদা, টেস্টের ধরন আলাদা। আমরা গত কয়েক বছর যেভাবে পারফর্ম করছিলাম, আমরাই প্রত্যাশা তৈরি করেছিলাম। তবে এবার সেই ফলটা দেখাতে পারিনি। আশা করি টি-টোয়েন্টিতে ভিন্ন কিছু হবে।’
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ যতটা রঙিন, প্রায় ততটাই বিবর্ণ টি-টোয়েন্টি। এই সংস্করণে কখনোই ধারাবাহিক ভাবে ভালো খেলতে পারেনি দল। র্যাঙ্কিংয়েও তাই পড়ে থাকতে হচ্ছে তলানিতে। তবে সেই পারফরম্যান্সকে অতীতে ফেলে আসতে চান মাহমুদউল্লাহ। এই সিরিজ দিয়েই নিজেদের বদলে যাওয়ার বার্তা ক্রিকেট বিশ্বকে দিতে চান অধিনায়ক, ‘আমার মনে হয়, আমাদের টি-টোয়েন্টির সামর্থ্য নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন আছে। তবে সেই ব্যাপারগুলো নিয়ে না ভাবাই ভালো। আমি মনে করি, এই সিরিজ দিয়ে আমাদের একটা বার্তা দেওয়ার আছে বাকি বিশ্বকে। সেদিক থেকে আমাদের ক্রিকেটের জন্য এই সিরিজটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি- সীমিত ওভারের খেলায় বাংলাদেশের বড় এক চিন্তার নাম ডট বল। ব্যাটসম্যানরা বাউন্ডারি মারতে যত স্বচ্ছন্দ এক-দুই রান নেওয়ায় যেন ততই আড়ষ্ট। বাউন্ডারিতে রানের চাকা সচল হওয়ার পরই ডট বলে আবার কমে যায় গতি। টি-টোয়েন্টিতে সাফল্য আনতে এবার এই হার কমাতে চায় বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সাতটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। জিতেছে মাত্র একটিতে। পাঁচটিতেই ৪০ এর বেশি ডট বল খেলেছেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। একটিতে তো ডট বল ছিল ৫০ এর বেশি। সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৪৫টি ডট বল খেলে বাংলাদেশ, পরেরটিতে ৪০টি। এর আগে শ্রীলঙ্কায় প্রথমটিতে ছিল ৪২টি ডট, পরেরটিতে সে সংখ্যা ৩৭। মাশরাফি মর্তুজার বিদায়ী ওই ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ।
বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। প্রথমটিতে ১২০ বলের মধ্যে ৫৩টিতেই কোন রান বের করতে পারেনি ব্যাটসম্যানরা। পরেরটাতে রান আসেনি ৪৪ বল থেকে। আর তিন নম্বর ম্যাচে ডট বলের সংখ্যা ছিল ৩৫টি। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর মতে ডট বলের এই হার টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রাখে বড় প্রভাব, ‘টি-টোয়েন্টিতে ডট বলের হার অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। ডট বলগুলো যদি সিঙ্গেল বা স্ট্রাইক রোটেটে মনোযোগ দিতে পারি তাহলে আমার মনে হয় অনেক ভালো হবে।’ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৬৯টি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র ২১টি। সাফল্যের হার ৩১.৩৪ শতাংশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭ টি-টোয়েন্টি খেলে জয় ২টি। টি-টোয়েন্টিতে সফল দলগুলোর খতিয়ান ঘেঁটে মাহমুদউল্লাহ এই সংকট কাটিয়ে উঠার দিকে দিতে চাইছেন মনোযোগ, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সফল দলের পরিসংখ্যান যদি দেখেন তাদের যাদের কম ডট থাকে তাদের সফলতার হারও বেশি থাকে। এটা তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।